মাইক্রোসফ্টের পরে এবার মেটা ৩৬০০ কর্মীর ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাদের কর্মদক্ষতা দুর্বল ছিল। মার্ক জুকারবার্গ নতুন কর্মীর নিয়োগের ঘোষণা করেছেন।
Meta: ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং ইন্সটাগ্রামের মাতৃ সংস্থা মেটা প্রায় ৩৬০০ কর্মীকে চাকরিচ্যুত করার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানি একটি অভ্যন্তরীণ স্মারকলিপি প্রকাশ করে জানিয়েছে, এই ছাঁটাই দুর্বল কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে করা হবে। তবে, এই কর্মীদের স্থলে নতুন লোক নিয়োগ করা হবে। এই সিদ্ধান্তের ফলে কোম্পানির মাত্র ৫% কর্মী প্রভাবিত হবে।
কর্মদক্ষতার ভিত্তিতে ছাঁটাই
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মেটাতে মোট ৭২,৪০০ কর্মী কর্মরত ছিলেন। মার্ক জুকারবার্গ এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে বলেছেন, নতুন এবং উন্নত প্রতিভাকে কোম্পানিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। তাঁর বিশ্বাস, এতে মেটার কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পাবে এবং কোম্পানি নতুন দিক পাবে।
আমেরিকান কোম্পানিগুলিতে পারফরম্যান্স-ভিত্তিক ছাঁটাই সাধারণ প্রক্রিয়া
আমেরিকান কোম্পানিগুলিতে দুর্বল পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে কর্মী ছাঁটাই একটি সাধারণ প্রক্রিয়া হয়ে উঠেছে। এর আগে, মাইক্রোসফ্টও তাদের কর্মীদের এক শতাংশকে বের করে দিয়েছিল। এই সকল কর্মীও দুর্বল পারফরম্যান্সের জন্য বাদ পড়েছিলেন।
মার্ক জুকারবার্গ বলেছেন, "আমি কোম্পানিতে ব্যবস্থাপনার স্তর বৃদ্ধি এবং দুর্বল পারফরম্যান্স সম্পন্ন কর্মীদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।"
রিপাবলিকানদের সাথে বর্ধিত ঘনিষ্ঠতা এবং মেটার কর্মী ছাঁটাই
মেটার ছাঁটাইয়ের ঘোষণা এমন সময়ে আসে যখন রিপাবলিকান পার্টির সাথে মার্ক জুকারবার্গের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের শপথ গ্রহণের কয়েক দিন আগেই এই খবর প্রকাশিত হয়। জুকারবার্গ ট্রাম্পের সাথে ডিনার মিটিং করেছিলেন এবং মেটার পাবলিক অ্যাফেয়ার্স হেড হিসাবে রিপাবলিকান নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। এই ধরনের ঘটনা তাঁর রিপাবলিকান নেতাদের সাথে বর্ধিত সম্পর্ককে আরও শক্তিশালী করেছে।
ফ্যাক্ট চেকিং টিমের অবসান এবং নতুন পরিবর্তন
এর সাথে সাথে, গত সপ্তাহে মার্ক জুকারবার্গ ঘোষণা করেছিলেন যে মেটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের ফ্যাক্ট চেকিং প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেবে। এই প্রোগ্রাম ভুল তথ্যের ফ্যাক্ট চেক করত, কিন্তু কনজারভেটিভদের দ্বারা এর উপর সেন্সরশিপের অভিযোগ আনা হয়েছিল। এখন, মেটার নতুন সিস্টেম অনুসারে ব্যবহারকারীরা তাদের পোস্টের সাথে রেফারেন্স যোগ করতে পারবেন, যেমনটি এলন মাস্কের মালিকানাধীন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম X-এ হয়।
এছাড়াও, ফেসবুক এবং ইন্সটাগ্রামে কনটেন্ট মডারেশনের নিয়মেও ঢিলেঢালা করা হয়েছে, যার ফলে ব্যবহারকারীরা তাদের মতামত অধিক স্বাধীনভাবে প্রকাশ করার সুযোগ পাবে।
