মার্কিন-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ: ২৪৫% ট্যারিফে উত্তেজনা বৃদ্ধি

🎧 Listen in Audio
0:00

আমেরিকা প্রথমে ৩৪% থেকে ৮৪% এবং পরে ১২৫% ট্যারিফ বৃদ্ধি করেছিল। চীনের প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর আমেরিকা এখন ২৪৫% ট্যারিফ আরোপ করেছে। চীন জানিয়েছে তারা বাণিজ্য যুদ্ধে ভয় পায় না।

বাণিজ্য যুদ্ধ: আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ (Trade War) আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনের উপর ২৪৫% ভারী ট্যারিফ (Tariff) আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এটি আগে আরোপিত ট্যারিফের চেয়ে অনেক বেশি, যার ফলে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা (Tension) আরও বেড়েছে।

কীভাবে শুরু হল ট্যারিফ বৃদ্ধির ধারা?

২ এপ্রিল ট্রাম্প ৩৪% ট্যারিফ ঘোষণা করেন, এর পর চীনও একই হারে ট্যারিফ আরোপ করে। এরপর আমেরিকা ট্যারিফ বাড়িয়ে ৮৪% এবং পরে ১২৫% করে। এখন, চীন প্রতিক্রিয়া জানানোর পর আমেরিকা চীনের উপর ২৪৫% ট্যারিফ আরোপ করেছে। এভাবেই এই বাণিজ্য যুদ্ধ (Trade War) আরও তীব্র হয়েছে।

চীনের প্রতিক্রিয়া: বাণিজ্য যুদ্ধে ভয় পায় না আমরা

২৪৫% ট্যারিফ আরোপের পর চীন তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেছেন, "চীন বাণিজ্য যুদ্ধ (Trade War) থেকে ভয় পায় না" এবং এটি অব্যাহত রাখার জন্য প্রস্তুত। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হয়েছে যে চীন এই সংঘাত দীর্ঘদিন ধরে চালিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং আমেরিকার চাপের সামনে নতি স্বীকার করবে না।

ট্রাম্পের বক্তব্য: "আলোচনার জন্য চীনের উপর নির্ভরশীল"

ট্যারিফ যুদ্ধ আরও বাড়ানোর পর ট্রাম্প মিডিয়ার সাথে কথা বলে বলেছেন যে এখন চীনের উপর নির্ভর করবে তারা চুক্তির জন্য আলোচনার (Negotiation) টেবিলে আসবে কিনা। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন, "বল এখন চীনের কাছে।" ট্রাম্পের দাবি, যদি চীন চুক্তিতে সম্মত না হয়, তাহলে আমেরিকা তার নীতি অব্যাহত রাখবে।

আমেরিকা অন্যান্য দেশের উপরও অভিযোগ আনেন

আমেরিকার রাষ্ট্রপতি চীনের পাশাপাশি ভারত, ব্রাজিল এবং বিশ্বের অনেক দেশের উপর অভিযোগ করেছেন যে তারা আমেরিকান পণ্যের (Products) উপর অতিরিক্ত ট্যারিফ আরোপ করে। ট্রাম্প বলেছেন যে তাঁর উদ্দেশ্য এই দেশগুলি থেকে আমদানির উপর কম ট্যারিফ (Lower Tariffs) প্রয়োগ করা, যাতে আমেরিকার উৎপাদন (Manufacturing) খাতকে উন্নত করা যায় এবং দেশে কর্মসংস্থানের (Employment) সুযোগ সৃষ্টি করা যায়।

Leave a comment