ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মতে, রাশিয়া রাতভর কিয়েভে বিমান হামলা চালিয়েছে, যার জবাব দিয়েছে এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। জেলেনস্কি বলেছেন, এই হামলাগুলি দেখায় যে রাশিয়ার উদ্দেশ্য বদলায়নি।
Ukraine-Russia: রাশিয়া এবং ইউক্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ থামার নাম নেই। সর্বশেষ ঘটনায় রাশিয়া কিয়েভে ভয়াবহ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, যার ফলে পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইউক্রেনের বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করে বহু রুশ ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংস করার দাবি করেছে। অন্যদিকে, রাশিয়াও দাবি করেছে যে তারা মস্কোতে হামলার জন্য পাঠানো ৬০টির বেশি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।
কিয়েভে রাতভর গুঞ্জন
ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মতে, কিয়েভে রাতভর তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। রাজধানীর মেয়র ভিটালি ক্লিটসকো বলেছেন যে বায়ু প্রতিরক্ষা বাহিনী ক্রমাগত হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে। হামলার ফলে অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে এবং বহু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে, এই হামলায় কতজন হতাহত হয়েছে তার আনুষ্ঠানিক নিশ্চিতকরণ এখনও করা হয়নি।
ইউক্রেনের পাল্টা আঘাত
রাশিয়ান কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে ইউক্রেন মস্কোতে ড্রোন হামলা চালিয়েছে, যা রাশিয়ার বায়ু প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। মস্কোর মেয়র সের্গেই সোবিয়ানিন জানিয়েছেন যে মঙ্গলবার সকালে মস্কোর দিকে যাওয়া ৬০টির বেশি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করা হয়েছে। এই হামলার পর মস্কোর দুটি প্রধান বিমানবন্দরে উড়ান বাতিল করা হয়েছে।
ডোব্রোপিলিয়া এবং খারকিভে ১৪ জনের মৃত্যু
ইউক্রেনের ডোব্রোপিলিয়া এবং খারকিভ অঞ্চলে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলায় কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ৩৭ জন আহত হয়েছে। ইউক্রেনীয় কর্মকর্তাদের মতে, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র এবং বহু রকেট লঞ্চারের হামলায় আটটি বহুতল ভবন এবং ৩০টি যানবাহন ধ্বংস হয়েছে।
জেলেনস্কি রাশিয়াকে দোষারোপ করেছেন
ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়ার হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, "রাশিয়ার উদ্দেশ্য স্পষ্ট—তারা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে চায়। আমাদের নিজেদের নিরাপত্তা শক্তিশালী করতে হবে এবং রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আরও কঠোর করতে হবে।"
আমেরিকা ইউক্রেনকে গোপন তথ্য দেওয়া বন্ধ করেছে
আমেরিকা সম্প্রতি ইউক্রেনের সাথে গোপন তথ্য আদান-প্রদান বন্ধ করে দিয়েছে, যার ফলে ইউক্রেনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা দুর্বল হতে পারে। এর আগে, আমেরিকার সামরিক সহায়তার অধীনে ইউক্রেনকে হামলার সতর্কতা দেওয়া হতো, যার ফলে তারা কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারত। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সিদ্ধান্তের প্রত্যক্ষ প্রভাব ইউক্রেনের বায়ু নিরাপত্তার উপর পড়বে এবং রাশিয়ার জন্য হামলা করা সহজ হতে পারে।
সৌদি আরবে জেলেনস্কি
এদিকে, ইউক্রেনীয় রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি সৌদি আরবে পৌঁছেছেন, যেখানে তিনি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে সাক্ষাত করেছেন। এই বৈঠকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার সম্ভাব্য পথ নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এর আগে, আমেরিকায় জেলেনস্কি এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে বিতর্কের পর এই বৈঠককে বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে।