কাজাখস্তানে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত, হতাহতের খবর নেই

🎧 Listen in Audio
0:00

কাজাখস্তানের আকুত বিমানবন্দরে অবতরণের সময় আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান ভেঙে পড়েছে। বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। দুর্ঘটনার কারণ তদন্ত করা হচ্ছে, উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ দ্রুত চলছে।

কাজাখস্তান: কাজাখস্তানের আকুত বিমানবন্দরে আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের একটি যাত্রীবাহী বিমান অবতরণের সময় ভেঙে পড়েছে। দুর্ঘটনার সময় বিমানটিতে ৬৭ জন যাত্রী ও ৫ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। বিমানটি বাকু থেকে রাশিয়ার গ্রোজনী যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পরপরই বিমানবন্দরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ দ্রুত চলছে, তবে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বিমানটিতে আগুন লাগা এবং ধোঁয়ার বড় কুণ্ডলী ওঠার কারণে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হয়ে ওঠে।

আকুত বিমানবন্দরে কী ঘটেছিল?

আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের মতে, বিমানটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করার সময় ভেঙে পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করা হচ্ছে, তবে প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, বিমানটি প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং দ্রুত রানওয়ের সাথে ধাক্কা খায়। ঘটনার একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে, যেখানে স্পষ্ট দেখা যায় যে বিমানটি অবতরণের সময় হঠাৎ ভেঙে পড়ে এবং আগুনের শিখায় ঢেকে যায়।

এয়ারলাইন্সের বিবৃতি

আজারবাইজান এয়ারলাইন্স এই ঘটনা নিয়ে একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করেছে। এয়ারলাইন্সের মতে, বিধ্বস্ত হওয়া বিমানটি ছিল এমব্রায়ার ১৯০ মডেলের এবং এর ফ্লাইট নম্বর ছিল J2-8243। এই বিমানটি বাকু থেকে গ্রোজনীর দিকে যাচ্ছিল। এয়ারলাইন্স জানিয়েছে যে আকুত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণের প্রক্রিয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। বিমানে আগুন লাগার কারণে যাত্রীদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এয়ারলাইন্স দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য বিশেষজ্ঞদের একটি দল গঠন করেছে।

ঘটনার পর উদ্ধার ও ত্রাণ কাজ

দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধার ও ত্রাণ দল ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকল বিভাগকে ডাকা হয়েছে এবং যাত্রীদের নিরাপদে বের করে আনার চেষ্টা চলছে। বিমানে আটকে পড়া লোকদের অবস্থা সম্পর্কে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক তথ্য দেওয়া হয়নি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হলো সকল যাত্রী ও ক্রু সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

দুর্ঘটনার প্রভাব
এই দুর্ঘটনা বিমান চলাচলের নিরাপত্তা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছে। জরুরি অবতরণের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটি বা পাইলটের ভুলের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এই ঘটনা যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিমানবন্দর এবং এয়ারলাইন্সের প্রস্তুতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। বিমান দুর্ঘটনার কারণ এবং এর মধ্যে হওয়া ত্রুটিগুলো তদন্ত শেষ হওয়ার পরেই জানা যাবে।

Leave a comment