কাশ্মীর সহিংসতা: আমেরিকার ভ্রমণ সতর্কতা ও ভারতের কঠোর পদক্ষেপ

🎧 Listen in Audio
0:00

আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর জম্মু ও কাশ্মীরের পাহলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর কাশ্মীরে ভ্রমণ না করার পরামর্শ দিয়েছে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে।

ভারত-পাকিস্তান: ২২শে এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এই হামলায় ২৬ জন নিরপরাধ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে, যাদের অধিকাংশই পর্যটক ছিলেন। এরপর ভারত কঠোর অবস্থান নিয়ে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বেশ কিছু কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই ঘটনার পর আমেরিকাও তাদের নাগরিকদের জন্য একটি নতুন ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে। আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর তাদের নাগরিকদের জম্মু ও কাশ্মীরে ভ্রমণ না করার কঠোর পরামর্শ দিয়েছে।

আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তরের পরামর্শ কী বলেছে?

ওয়াশিংটন থেকে জারি করা বিবৃতিতে আমেরিকার পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে:

“আমেরিকান নাগরিকদের স্মরণ করিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং সহিংস নাগরিক অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে। তাই সেখানে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকাই নিরাপদ।”

পরামর্শে আরও বলা হয়েছে যে ভারতের অনেক শহর বর্তমানে উচ্চ সতর্কতার মধ্যে রয়েছে এবং বিশেষ করে জম্মু ও কাশ্মীরে নিরাপত্তা পরিস্থিতি সংবেদনশীল।

ভারতের পক্ষ থেকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ধারাবাহিক কঠোর সিদ্ধান্ত

পাহলগাম সন্ত্রাসবাদী হামলার পর ভারত সরকার সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত নিরাপত্তা বৈঠকের পর ভারত নিম্নলিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে:

১. সিন্ধু জল চুক্তি স্থগিত - ভারত ১৯৬০ সালের সিন্ধু জল চুক্তি অস্থায়ীভাবে স্থগিত করেছে। এই চুক্তিটি ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে জল বণ্টন নিয়ে স্বাক্ষরিত হয়েছিল।

২. কূটনৈতিক সম্পর্ক হ্রাস - ভারত পাকিস্তানের সামরিক ও প্রতিরক্ষা উপদেষ্টাদের অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এক সপ্তাহের মধ্যে দেশ ত্যাগ করার নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি ভারত ইসলামাবাদে অবস্থিত ভারতীয় হাই কমিশন থেকে তাদের কূটনীতিকদের ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

৩. ভিসা নীতিতে পরিবর্তন - ভারত সরকার সার্ক ভিসা ছাড় প্রকল্প (SVES)-এর আওতায় জারি করা সমস্ত ভিসা বাতিল করেছে। এছাড়াও, পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘন্টার মধ্যে দেশ ত্যাগ করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

৪. আটারী সীমান্ত বন্ধ - আটারী-ওয়াঘা সীমান্ত অবিলম্বে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, যার ফলে সীমান্ত পারাপার সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে গেছে।

ভারতের পক্ষ থেকে ‘ডিজিটাল আঘাত’ও

পাহলগাম হামলার পর ভারত ডিজিটাল স্তরেও কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। ভারতে পাকিস্তান সরকারের সরকারি X (পূর্বের টুইটার) অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড করা হয়েছে।

Leave a comment