ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: ট্রাম্পের কঠোর সতর্কবার্তা, পারমাণবিক কেন্দ্রে হামলা

🎧 Listen in Audio
0:00

ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে হামলা চালিয়েছে। প্রত্যুত্তরে ইরান ড্রোন আক্রমণ করেছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইরানকে সতর্ক করেছেন, চুক্তি না করলে ভয়াবহ ধ্বংসাবশেষ হবে।

Israel Iran Conflict: ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে বর্ধমান সামরিক সংঘাত নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানকে কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন। ট্রাম্প বলেছেন, যদি ইরান চুক্তির পথ না অবলম্বন করে তাহলে ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী। তিনি এও দাবি করেছেন যে, ইসরায়েলের কাছে মারাত্মক সামরিক অস্ত্রের বৃহৎ ভান্ডার রয়েছে এবং তারা সেগুলো ব্যবহার করতে জানে। ইসরায়েল ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলিতে হামলা চালিয়েছে, অন্যদিকে ইরানও ড্রোন আক্রমণের মাধ্যমে জবাব দিয়েছে।

কিভাবে শুরু হল ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে এই সংঘাত?

১৩ জুন ২০২৫ সালে ইসরায়েল ইরানের বিরুদ্ধে একটি ব্যাপক সামরিক অভিযান শুরু করে, যার নাম দেওয়া হয় ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্র ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ কেন্দ্রগুলিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এটিকে ইসরায়েলের নিরাপত্তা ও অস্তিত্বের সাথে জড়িত বিষয় বলে উল্লেখ করেছেন।

ইরান এই হামলার জবাব দিয়ে ইসরায়েলের উপর ড্রোন হামলার কথা নিশ্চিত করেছে এবং সতর্ক করেছে যে তারা প্রতিটি হামলার যথাযথ জবাব দেবে। এছাড়াও, ইরানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে তারা কোনো হামলায় ভয় পায় না এবং তারা নিজেদের রক্ষার জন্য সর্বাত্মক পদক্ষেপ নেবে।

ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর সতর্কবার্তা

এই সম্পূর্ণ ঘটনাপ্রবাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ট্রাম্প বলেছেন যে তিনি ইরানকে বারবার সুযোগ দিয়েছিলেন যাতে তারা চুক্তির জন্য প্রস্তুত হয়, কিন্তু ইরান প্রতিবারই তা উপেক্ষা করেছে।

ট্রাম্প বলেছেন, "আমি ইরানকে বারবার চুক্তি করার জন্য বলেছি। সবচেয়ে কঠোর ভাষায় বলেছি যে থেমে যাও। কিন্তু তারা যতই কাছে এসেছে না কেন, তারা কখনোই তা পূর্ণ করতে পারেনি। এখন ফল ভোগ করার সময়।" তিনি আরও বলেছেন যে, আমেরিকা বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক সামরিক প্রযুক্তি তৈরি করে এবং ইসরায়েলের কাছে তার বৃহৎ ভান্ডার রয়েছে। "এবং তারা জানে কিভাবে এটি ব্যবহার করতে হয়," ট্রাম্প সতর্ক করে বলেছেন।

"অনেক ইরানি উগ্রবাদী এখন মারা গেছে"

ট্রাম্পের বক্তব্য শুধুমাত্র সতর্কবার্তায় সীমাবদ্ধ ছিল না, তিনি ইরানের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর ভাষায় বলেছেন যে, যারা ইরানি বীরত্ব দেখাচ্ছিল, তারা আর জীবিত নেই। তিনি দাবি করেছেন যে, যদি ইরান পথ না বদলায় তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

"চুক্তি করো নয়তো ধ্বংস হয়ে যাও"

ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন যে ইরানকে এখন চুক্তি করতেই হবে। যদি এখনও সময় থাকতে পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে তার পুরো অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। তিনি ইরানকে সতর্ক করে বলেছেন যে, "এখনও সময় আছে। চুক্তি করো, নয়তো যা একসময় 'ইরানি সাম্রাজ্য' নামে পরিচিত ছিল, তা সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস হয়ে যাবে।"

তিনি আরও বলেছেন যে এখন আর কোন মৃত্যু হওয়া উচিত নয়, কোন ধ্বংসাবশেষ হওয়া উচিত নয়। তিনি তার বক্তব্যের শেষে বলেছেন, "God bless you all, ভগবান আপনাদের সকলের কল্যাণ করুন।"

ইসরায়েলের ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই সামরিক অভিযানকে একটি কৌশলগত অভিযান বলে বর্ণনা করেছেন যার উদ্দেশ্য ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা ধ্বংস করা। নেতানিয়াহুর মতে, ইরান যেভাবে পারমাণবিক অস্ত্র নির্মাণের দিকে এগোচ্ছে তা ইসরায়েলের অস্তিত্বের জন্য বড় বিপদ। নেতানিয়াহু বলেছেন, "এই অভিযান চলবে যতক্ষণ না ইরানের পারমাণবিক ক্ষমতা সম্পূর্ণরূপে নিষ্ক্রিয় করা হয়।"

Leave a comment