ইসরাইলের আক্রমণের মধ্যেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন অস্ত্র কারখানার পরিদর্শন করে বোমা-গোলা উৎপাদন বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন। অটোমেশনের উপর জোর দিয়ে আধুনিক অস্ত্র উৎপাদনের কৌশল তৈরি করা হয়েছে।
ইসরাইল-ইরান: ইসরাইলের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় এয়ারস্ট্রাইকের পরপরই উত্তর কোরিয়ার শাসক কিম জং উন তাঁর অস্ত্র উৎপাদন ব্যবস্থাকে আধুনিকায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মধ্যপ্রাচ্যে বর্ধমান যুদ্ধের প্রভাব দ্রুত বিশ্বের অন্যান্য অংশেও পৌঁছেছে, যার ফলে কিমের উদ্বেগ বেড়েছে এবং তিনি অস্ত্র কারখানার পরিদর্শন করে উন্নতির কৌশল তৈরি করেছেন।
কারখানা পরিদর্শন: গতি বৃদ্ধির ঘোষণা
১৩ জুন কিম মেটাল প্রেসিং এবং অ্যাসেম্বলি ইউনিট পরিদর্শন করেন। উত্তর কোরিয়ার সরকারি সংস্থা KCNA জানিয়েছে, তিনি প্রথম ছমাসিকে তৈরি গোলাবারুদের পরিসংখ্যান দেখেছেন এবং উৎপাদনের গতি বৃদ্ধির নির্দেশ দিয়েছেন। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত যে তারা বোমা-গোলা উৎপাদন দ্রুত করতে চান।
অটোমেশনের উপর জোর
কিম স্পষ্ট করে বলেছেন যে মেশিনভিত্তিক উৎপাদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত যাতে মানবীয় ভুল কমে এবং উৎপাদন স্থায়ী হয়। তিনি যুক্তিসঙ্গত (rational) উৎপাদন প্রক্রিয়ার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন, যার ফলে কারখানায় মানুষের ভূমিকা কমে এবং মেশিনের ভূমিকা বাড়ে।
রাশিয়ার সাথে অস্ত্র সরবরাহ বৃদ্ধি পেতে পারে
বিশ্লেষকদের মতে, কিমের কৌশল উত্তর কোরিয়া-রাশিয়ার মধ্যে বর্ধমান সম্পর্কের সাথেও জড়িত। জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে ২০,০০০ এর বেশি কন্টেইনারে অস্ত্র পাঠিয়েছে। কিমের এই পদক্ষেপ সম্ভবত রাশিয়ার সহযোগিতাকে আরও জোরদার করার দিকে।
বিশ্বব্যাপী প্রেক্ষাপটে কিমের বার্তা
বলা হচ্ছে যে কিম কেবলমাত্র দেশে যুদ্ধক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চান না, বরং বিশ্বব্যাপী সামরিক ভারসাম্যেও নিজের ভূমিকা বাড়াতে চান। আমেরিকা, দক্ষিণ কোরিয়া এবং জাপানের মতো দেশগুলি এখন আরও সতর্ক থাকবে এবং ডিজিটালকরণ করা অস্ত্র উৎপাদনের উপর নজর রাখবে।