বিএলএ-র ৫১টির অধিক পাকিস্তানি সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দাবি

🎧 Listen in Audio
0:00

বলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) পাকিস্তানি সেনা ও আইএসআই’র ৫১টিরও বেশি ঘাঁটিতে হামলার দাবি করেছে। বিএলএ পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ ও পারমাণবিক হুমকি নিয়ে ভারতের কাছ থেকে সমর্থন চেয়েছে।

পাকিস্তান সংবাদ: বেলুচিস্তানে পাকিস্তানের দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে বলুচ লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) বড় ধরনের হামলার দাবি করেছে। সংগঠনটি জানিয়েছে, তারা পাকিস্তানি সেনা ও গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র ঘাঁটিতে একযোগে ৭১টি হামলা চালিয়েছে, যা ৫১টিরও বেশি স্থানে সংঘটিত হয়েছে। এই হামলা কয়েক ঘন্টা ধরে চলেছে। লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে ছিল সেনার কাফেলা, গোয়েন্দা কেন্দ্র এবং খনিজবাহী যানবাহন। বিএলএ-এর দাবি, এটি শুধুমাত্র শত্রুকে ক্ষতিগ্রস্ত করার কর্মসূচী ছিল না, বরং আগামী সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতির একটি কৌশলও ছিল।

ভারতসহ বিশ্বের কাছে সমর্থনের আবেদন

বিএলএ এই উপলক্ষে বিশ্বের, বিশেষ করে ভারতের কাছে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদ ও পারমাণবিক হুমকির বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে। বলুচ সংগঠনটির দাবি, পাকিস্তান সরকার বারবার শান্তি ও যুদ্ধবিরতির ভুয়া প্রচার করে, যখন বাস্তবে তারা সন্ত্রাসবাদকে উন্মুক্তভাবে সমর্থন করে। লস্কর-ই-তৈয়বা, জৈশ-ই-মোহাম্মদ ও আইএসআইএস-এর মতো সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে পাকিস্তানের সেনা ও আইএসআই সক্রিয়ভাবে সাহায্য করছে। বিএলএ স্পষ্ট করে বলেছে, পাকিস্তানের প্রতিটি প্রতিশ্রুতিই প্রতারণা এবং প্রতিটি বক্তব্যই রক্তাক্ত।

বিদেশি প্রক্সি হওয়ার অভিযোগ অস্বীকার

বিএলএ তাদের উপর আরোপিত 'বিদেশি প্রক্সি' হওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে। সংগঠনটি স্পষ্ট করেছে যে বলুচ প্রতিরোধ আন্দোলন সম্পূর্ণ স্বদেশী এবং কোনও বহিরাগত শক্তির দ্বারা পরিচালিত নয়। বিএলএ নিজেদের দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যতের একটি নির্ণায়ক ও প্রভাবশালী শক্তি বলে অভিহিত করেছে। তাদের দাবি, বলুচ আন্দোলন পাকিস্তানের দখলমুক্তির একটি বৈধ ও ন্যায়সঙ্গত লড়াই, যা মিথ্যা প্রচারের মাধ্যমে দমন করা যাবে না।

পাকিস্তানের উপর ‘পারমাণবিক সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র’ হওয়ার অভিযোগ

বিএলএ পাকিস্তানকে ‘হিংস্র মতাদর্শের পারমাণবিক রাষ্ট্র’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। সংগঠনটির দাবি, পাকিস্তান শুধুমাত্র সন্ত্রাসী সংগঠনগুলিকে পোষণ করে না, বরং তার পারমাণবিক অস্ত্রেরও ভুল ব্যবহারের কৌশলে কাজ করছে। আইএসআই’র উপর সরাসরি অভিযোগ আনতে গিয়ে বিএলএ বলেছে, এই সংস্থা বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসবাদের জালের মেরুদণ্ড। বিএলএ-এর মতে, পাকিস্তানের নীতি শুধুমাত্র বেলুচিস্তান নয়, সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার শান্তির জন্য হুমকি হয়ে উঠেছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন ব্যবস্থার দাবি

বলুচ লিবারেশন আর্মির মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে দক্ষিণ এশিয়ায় ‘নতুন রাজনৈতিক ও কৌশলগত ব্যবস্থার’ প্রয়োজন। বিএলএ বলেছে, ভারত ও অন্যান্য বিশ্ব শক্তিকে পাকিস্তানের দ্বৈত নীতি উন্মোচনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। তাদের দাবি, যতক্ষণ না পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদপোষণকারী নীতির বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী পদক্ষেপ নেওয়া হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এ অঞ্চলে স্থায়িত্ব সম্ভব নয়।

Leave a comment