আমেরিকার অটো ট্যারিফ নিয়ে কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কর্নি কঠোর অবস্থান নিয়ে বলেছেন যে, দুই দেশের দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক, সামরিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক এখন শেষ হয়ে গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-কানাডা: আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার উপর প্রচুর ট্যারিফ আরোপের ঘোষণা দেওয়ার পর দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়েছে। ট্রাম্প প্রশাসন আমেরিকায় উৎপাদিত নয় এমন সকল যানবাহনে ২৫% ট্যারিফ আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ১লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। এটি কানাডার অটোমোবাইল শিল্পের জন্য বড় ধাক্কা হতে পারে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সতর্কবাণী
এই সিদ্ধান্তের পর কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কর্নি আমেরিকার সাথে সম্পর্ক নিয়ে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেছেন, "কানাডা ও আমেরিকার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অর্থনৈতিক, সুরক্ষা ও সামরিক সম্পর্কের অধ্যায় এখন শেষ হয়ে গেছে।" প্রধানমন্ত্রী কর্নি তার নির্বাচনী প্রচারণা ভ্রমণ মাঝপথে থামিয়ে ওটাওয়ায় ফিরে মন্ত্রিসভার সদস্যদের সাথে জরুরি বৈঠক করেছেন।
আমেরিকার বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থার প্রস্তুতি
কানাডার প্রধানমন্ত্রী অটো ট্যারিফকে 'অন্যায়' বলে অভিহিত করে দেশবাসীকে সতর্ক করে দিয়েছেন যে, এই সিদ্ধান্ত আমেরিকা-কানাডা সম্পর্ককে স্থায়ীভাবে পরিবর্তন করে দেবে। তিনি বলেছেন, "এখন কোন বাণিজ্য চুক্তির প্রতি লক্ষ্য না রেখে, আমরা পিছনে ফিরে তাকাবো না।" কর্নি এটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, কানাডা এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।
পুরোনো সম্পর্ক শেষ, নতুন কৌশলের উপর কাজ
মার্ক কর্নি বলেছেন যে, কানাডার সাথে আমেরিকার যে ঐতিহ্যগত অর্থনৈতিক, সামরিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিল, তা এখন শেষ হয়ে গেছে। তিনি আমেরিকাকে কঠোর বার্তা দিয়ে বলেছেন যে, এখন কানাডা তার স্বার্থ রক্ষার জন্য নতুন কৌশল তৈরি করবে।