আব্বাস হামাসকে ‘কুকুরের পোষা’ বলে আক্রমণ: যুদ্ধবিরতি আলোচনায় বড় ধাক্কা

🎧 Listen in Audio
0:00

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস হামাসকে “কুকুরের পোষা” বলে আক্রমণ করেছেন, যা যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যে হামাসের কাছে এক কঠোর রাজনৈতিক ধাক্কা হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে।

মিডল ইস্ট ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রপতি: ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস তার এক বিবৃতিতে হামাসকে “কুকুরের পোষা” বলে অভিহিত করেছেন এবং ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন। এই মন্তব্য এমন সময় এসেছে যখন ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অভিঘাত অব্যাহত রয়েছে। আব্বাসের এই বক্তব্য হামাসের জন্য একটি বড় ধাক্কা এবং এটিকে তাদের সবচেয়ে তীব্র জনসম্মুখী সমালোচনা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

হামাসের উপর কেন রাগ?

মাহমুদ আব্বাসের এই বিবৃতি এমন পরিস্থিতিতে এসেছে যখন ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে সংঘর্ষ অব্যাহত রয়েছে। রাষ্ট্রপতি আব্বাস হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করার এবং ইসরাইলি বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে ইসরাইলের সামরিক অভিযানের প্রধান কারণ এই বন্দিদের গ্রেপ্তার, এবং বন্দিদের মুক্তি ইসরাইলের অজুহাত দূর করতে পারে।

আব্বাস রামাল্লাহ থেকে টেলিভিশনে দেওয়া তার বক্তৃতায় বলেছেন, “কুকুরের পোষাগুলো, বন্দিদের মুক্তি দাও এবং ইসরাইলের ন্যায্যতা বন্ধ করো।” তিনি জোর দিয়ে বলেছেন যে গাজা পট্টিতে চলমান নৃশংসতা বন্ধ করা উচিত সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার।

ইসরাইলের প্রতিক্রিয়া

ইসরাইল আব্বাসের এই মন্তব্যকে নাকচ করে দিয়ে বলেছে যে তারা গাজায় আত্মরক্ষার জন্য যুদ্ধ করছে এবং তাদের প্রধান লক্ষ্য হামাসকে নির্মূল করা। ইসরাইলি কর্মকর্তারা বলেছেন যে গাজায় চলমান সংঘর্ষ তাদের কাছে একটি নিরাপত্তা সমস্যা, এবং তাদের উদ্দেশ্য হামাসের সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস করা বন্দিদের মুক্তি থেকে অনেক বেশি।

আব্বাসের সমালোচনা এবং হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান

ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আব্বাস ৭ অক্টোবর হামাস কর্তৃক ইসরাইলি হামলার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি PLO (Palestine Liberation Organisation) এর অধীনে সমস্ত ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে ফিলিস্তিনি জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বাধীনতার দিকে এগিয়ে যেতে হবে, এবং আমাদের আভ্যন্তরীণ সমস্যা সমাধান করার জন্য প্রথমে সম্মিলিতভাবে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

আব্বাস এবং হামাসের মধ্যে মতবিরোধ গভীর। আব্বাস PLO থেকে আসেন, যারা ওয়েস্ট ব্যাংকে শাসন করে, অন্যদিকে হামাস গাজায় নিজের শাসন চালায়। উভয় গোষ্ঠীর আদর্শের মধ্যে বিশাল পার্থক্য রয়েছে, যার ফলে এই দুটি পক্ষ প্রায়শই পরস্পরের সাথে সংঘর্ষে জড়িত হয়েছে।

হামাসের উপর বর্ধিত আন্তর্জাতিক চাপ

হামাসের উপর এখন আন্তর্জাতিক চাপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। মিশরও সম্প্রতি হামাসকে অস্ত্র ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছে। আব্বাসের এই বক্তব্যও সেই চাপের অংশ হতে পারে, কারণ যুদ্ধবিরতির চেষ্টায় ত্বরণ ঘটানো হচ্ছে। ইসরাইল এবং হামাসের মধ্যে শান্তির দিকে সকল দেশের এই প্রচেষ্টাই রয়েছে যে সংঘর্ষ বন্ধ করা এবং মীমাংসার প্রক্রিয়া শুরু করা যায়।

Leave a comment