মোদী সরকারের ১১ বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে লখনউতে মুখ্যমন্ত্রী যোগী কেন্দ্রের সাফল্যের কথা তুলে ধরেছেন। তিনি ভারতের পরিবর্তিত বিশ্ব দৃষ্টিভঙ্গি, অপারেশন সিন্দুর এবং উন্নয়ন পরিকল্পনাগুলিকে ভারতের স্বর্ণযুগের ভিত্তি বলে উল্লেখ করেছেন।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের ১১ বছর পূর্ণ হওয়ার উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ লখনউস্থিত বিজেপি সদর দফতরে এক সংবাদ সম্মেলন করে কেন্দ্রের প্রধান সাফল্যগুলিকে জনসাধারণের সামনে তুলে ধরেছেন। এই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী যোগী একটি বিশেষ প্রদর্শনীর উদ্বোধনও করেছেন, যেখানে মোদী সরকারের কাজকর্ম চিত্র ও তথ্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে।
১১ বছরের কর্মকালকে স্বর্ণযুগ বলে অভিহিত
মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর বিগত ১১ বছরের কর্মকাল ভারতের আত্মনির্ভর ও উন্নত জাতি হিসেবে গড়ে ওঠার দিকে একটি দৃঢ় ভিত্তি হিসেবে পরিচিত হবে। তিনি এই সময়কালকে ভারতের "স্বর্ণযুগ" বলে অভিহিত করেছেন এবং বলেছেন যে এই সময়কালে দেশ সকল ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
বিশ্বব্যাপী পরিবর্তিত ভারতের ভাবমূর্তি
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী মোদীর নেতৃত্বে ভারতের আন্তর্জাতিক পরিচয় আরও শক্তিশালী হয়েছে। পূর্বে যেখানে ভারত বিশ্বমঞ্চে অসহায় ও দুর্বল বলে মনে করা হত, সেখানে এখন দেশের কথা গুরুত্ব সহকারে শোনা এবং মেনে নেওয়া হয়। তিনি বলেছেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন অস্থির সরকারের ফলে জনগণের আস্থা কমে গিয়েছিল, কিন্তু মোদী সরকার সেই আস্থা পুনরুদ্ধার করেছে।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে সরকারের পরিবর্তিত অবস্থান
দেশের নিরাপত্তা নীতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী যোগী বলেছেন, ২০০৪-এর পূর্বে ভারতের সন্ত্রাসবাদের প্রতি প্রতিক্রিয়া নরম ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী মোদী একটি নতুন বার্তা দিয়েছেন—ভারত শান্তি চায়, কিন্তু যদি কোনও দেশ আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদ ছড়ায়, তাহলে ভারত সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, এয়ার স্ট্রাইক এবং 'অপারেশন সিন্দুর' এর মতো কঠোর পদক্ষেপ নেবে। যোগী দাবি করেছেন যে, সম্প্রতি ভারত 'অপারেশন সিন্দুর' এর মতো অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন করে বিশ্বকে তার শক্তির পরিচয় দিয়েছে।
সরকারি পরিকল্পনা এখন যোগ্যতার ভিত্তিতে
মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, মোদী সরকারের নীতি এখন "মুখ দেখে নয়, যোগ্যতা দেখে" সুবিধা প্রদান করা। পূর্ববর্তী সরকারগুলিতে তুষ্টিকরণ করা হত, কিন্তু এখন সন্তুষ্টির নীতির উপর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। অর্থাৎ, যার যোগ্যতা আছে, সেই পরিকল্পনার সুবিধা পাবে, সে যে কোনও জাতি, ধর্ম বা সম্প্রদায়েরই হোক না কেন।