উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অজয় রায় এবং কংগ্রেস হাইকমান্ডের মধ্যে মনোজ যাদবের পুনর্নিযুক্তিকে কেন্দ্র করে বিতর্ক তীব্র হয়ে উঠেছে। সংগঠনে ব্যাপক পরিবর্তন এবং নতুন নেতাদের নিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা চলছে।
UP রাজনীতি: উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসে সম্প্রতি মনোজ যাদবকে ওবিসি প্রকোষ্ঠের রাজ্য সভাপতি পুনর্নিযুক্ত করা নিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি অজয় রায় এবং কংগ্রেস হাইকমান্ডের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এই বিতর্ক দলের সাংগঠনিক কাঠামোতে চলমান পরিবর্তন এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে, যার ফলে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসে অভ্যন্তরীণ লড়াই আরও তীব্র হচ্ছে।
কংগ্রেস সংগঠনে কেন্দ্রীভূত হাইকমান্ডের কৌশল
গুজরাট, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা প্রভৃতি রাজ্যে কংগ্রেস সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য সক্রিয়। একই কৌশল অনুসরণ করে উত্তরপ্রদেশেও সাংগঠনিক নিয়োগ করা হচ্ছে। ৩১শে মে কংগ্রেসের ওবিসি প্রকোষ্ঠের রাজ্য সভাপতি পদে নতুন নিয়োগ করা হয়, যেখানে মনোজ যাদবকে পুনরায় পদ দেওয়া হয়। তবে, এই সিদ্ধান্তে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অজয় রায় অসন্তুষ্ট।
হাইকমান্ডের সাথে অজয় রায়ের মতবিরোধ
উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সূত্র অনুসারে, অজয় রায় এই বিষয়ে বেশ ক্ষুব্ধ যে হাইকমান্ড রাজ্য নেতৃত্বের সাথে পরামর্শ না করেই মনোজ যাদবের নিয়োগের ঘোষণা করেছে। ২৭শে ফেব্রুয়ারি রাজ্য নেতৃত্ব মনোজ যাদবকে পদ থেকে সরিয়ে দেয়, কিন্তু কোনো পূর্ব আলোচনার বিনা হাইকমান্ড তাকে পুনর্নিযুক্ত করে। এই পদক্ষেপ অজয় রায়ের জন্য গুরুতর চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।
মনোজ যাদবের নিয়োগ বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু
ওবিসি প্রকোষ্ঠের সভাপতি পদে মনোজ যাদবের পুনর্নিযুক্তিকে অজয় রায় স্পষ্টভাবে প্রতিবাদ করেছেন। তাঁর মতে, এই সিদ্ধান্ত রাজ্য নেতৃত্বের বিরুদ্ধে এবং এতে সংগঠনে অসন্তোষ ছড়াতে পারে। অজয় রায় বলছেন, জেলা সভাপতিদের নিয়োগেও তাকে উপেক্ষা করা হচ্ছে, যার ফলে তাঁর ভূমিকা দুর্বল হচ্ছে।
ইস্তফার জল্পনা
মনোজ যাদবের নিয়োগ নিয়ে চলমান আলোচনায় বলা হচ্ছে যে, অজয় রায় ইস্তফা দিতে পারেন। যদিও তিনি এই কথা স্পষ্টভাবে অস্বীকার করেছেন। দলের ভেতরে বড় ধরনের পরিবর্তন এবং ফेरবদলের আলোচনাও তীব্র হয়ে উঠেছে, যা শীঘ্রই ঘটতে পারে।
দলিত-ওবিসি সমীকরণ এবং নেতৃত্ব পরিবর্তনের সম্ভাবনা
কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের অধীনে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসে দলিত, ওবিসি এবং মুসলিম নেতৃত্বকে শক্তিশালী করার পরিকল্পনা রয়েছে। বর্তমানে রাজ্য প্রভারী অবিনাশ পান্ডে, বিধায়ক দলনেত্রী আরধনা মিশ্রা এবং রাজ্য সভাপতি অজয় রায় সাধারণ শ্রেণীর নেতা। রাহুল গান্ধীর নতুন কৌশল অনুসারে এদের পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে যাতে দলের সামাজিক সমীকরণ উন্নত হতে পারে।