দুই দশকের দীর্ঘ অপেক্ষার পর উত্তরাখণ্ড পেয়েছে তার নতুন ও সম্পূর্ণরূপে আপডেটেড রাজ্য মানচিত্র। দেশের একমাত্র কেন্দ্রীয় মানচিত্রণ সংস্থা, সার্ভে অফ ইন্ডিয়া, উত্তরাখণ্ড রাজ্যের তৃতীয় আधिकারিক সংস্করণ প্রকাশ করেছে।
Uttarakhand New Map: মানচিত্র কোনও স্থানের ভৌগোলিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক তথ্যের সংক্ষিপ্তসার, এবং যখন কোনও রাজ্যের পরিচয় ও উন্নয়নের কথা আসে, তখন একটি সঠিক ও আপডেটেড মানচিত্র অপরিহার্য হয়ে ওঠে। উত্তরাখণ্ড রাজ্য এখন এমনই একটি আপডেটেড মানচিত্র পেয়েছে, যা দেশের একমাত্র কেন্দ্রীয় সংস্থা, সার্ভে অফ ইন্ডিয়া প্রস্তুত করেছে।
এটি রাজ্য মানচিত্রের তৃতীয় সংস্করণ, যা সম্পূর্ণরূপে আপডেটেড এবং 1:50,0000 স্কেলে তৈরি করা হয়েছে। এই মানচিত্রের সাহায্যে রাজ্যের ভৌগোলিক সীমানা, প্রধান স্থানগুলি, সম্পদ এবং কৌশলগত বিন্দুগুলির সঠিক তথ্য পাওয়া যাবে, যা প্রশাসনিক কাজ থেকে শুরু করে পরিকল্পনা প্রণয়ন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় ব্যাপক সাহায্য করবে।
মানচিত্রের নতুন স্কেল: এক সেন্টিমিটার = পাঁচ কিলোমিটার
উত্তরাখণ্ডের এই নতুন রাজ্য মানচিত্র 1:500000 (এক অনুপাত পাঁচ লক্ষ) স্কেলে তৈরি করা হয়েছে। এর অর্থ হল মানচিত্রে মাপা এক সেন্টিমিটার দূরত্ব, ভূমিভাগে পাঁচ কিলোমিটারের প্রকৃত দূরত্বকে নির্দেশ করে। এই স্কেলের মাধ্যমে মানচিত্র থেকে সঠিক দূরত্ব এবং দিক নির্ণয় করা আগের চেয়ে অনেক সহজ এবং নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে।
নতুন সংস্করণে রাজ্যের রোড নেটওয়ার্ক, প্রশাসনিক সীমানা, প্রধান স্থানগুলি, ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্য এবং তাদের দূরত্ব ও কোডিং সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যের মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলির দূরত্ব, রুট ভিত্তিক রূপে দেখানো হয়েছে যা আঞ্চলিক পরিকল্পনা এবং ভ্রমণ পরিকল্পনাকে উন্নত করবে।
ইতিহাসের ঝলক: ২০০৩ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত যাত্রা
উত্তরাখণ্ডের মানচিত্রের প্রথম সংস্করণ রাজ্য গঠনের তিন বছর পর ২০০৩ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। এর পর দ্বিতীয় সংস্করণ ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয়। কিন্তু এর পর ১৭ বছর ধরে কোনও আপডেটেড রাজ্য মানচিত্র প্রকাশিত হয়নি, যখন এই সময়কালে রাজ্যে রাস্তা, অবকাঠামো এবং ভৌগোলিক স্তরে ব্যাপক পরিবর্তন দেখা গেছে।
এই মানচিত্র এখন সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার আधिकারিক ওয়েবসাইট www.surveyofindia.gov.in এ উপলব্ধ, যেখান থেকে যেকোনো নাগরিক বা বিশেষজ্ঞ এটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারেন। মানচিত্রের নির্মাণ মহাসর্বভেক্ষক (Surveyor General) হিতেশ কুমার এস. মকওয়ানার তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়েছে। এই মানচিত্র কেবলমাত্র জাতীয় পর্যায়ে নয়, বৈশ্বিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, পরিবেশগত পরিকল্পনা এবং আন্তর্জাতিক পর্যটকদের জন্যও অত্যন্ত উপযোগী হবে। সঠিক এবং আপডেটেড মানচিত্র কোনও অঞ্চলের ভৌগোলিক, প্রশাসনিক এবং সাংস্কৃতিক বোধকে উন্নত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।