অপারেশন সিন্দুর: ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, লালু-তেজস্বীসহ নেতাদের প্রশংসা

অপারেশন সিন্দুর: ভারতীয় সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক, লালু-তেজস্বীসহ নেতাদের প্রশংসা
সর্বশেষ আপডেট: 08-05-2025

অপারেশন সিন্দুরের আওতায় ভারতীয় সেনা পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে (পিওকে) জঙ্গি ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। লালু-তেজস্বী যাদবসহ অনেক নেতা সেনার প্রশংসা করেছেন।

নয়াদিল্লি: ভারতীয় সেনা কর্তৃক পাকিস্তান ও পিওকে (পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর) -এর জঙ্গি ঘাঁটিতে চালানো সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে দেশজুড়ে প্রশংসার বন্যা বয়ে গেছে। সেনার এই অভিযান আবারও প্রমাণ করেছে যে ভারত এখন জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে কঠোর ও সিদ্ধান্তমূলক অবস্থান গ্রহণ করেছে।

লালু যাদবের প্রশংসা

আরজেডি নেতা লালু প্রসাদ যাদব সেনার এই অভিযানের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন, "জয় হিন্দ! জয় হিন্দ সেনা!"। এটিই প্রথমবার যখন তিনি কোনও সামরিক অভিযান নিয়ে এত স্পষ্ট ও সরাসরি প্রতিক্রিয়া জানালেন।

তেজস্বী যাদব বলেন- ‘জঙ্গিবাদ ও বিচ্ছিন্নতাবাদের অবসান জরুরি’

বিহারের সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবও এই হামলার প্রশংসা করে বলেন, "জয় হিন্দ! জয় ভারত! না থাকুক জঙ্গিবাদ, না থাকুক বিচ্ছিন্নতাবাদ! আমাদের বীর জওয়ান ও ভারতীয় সেনার উপর আমাদের গর্ব।"

অন্যান্য নেতাদের প্রতিক্রিয়া

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাশওয়ান লিখেছেন, "সত্যমেব জয়তে! জয় হিন্দ সেনা।" অন্যদিকে, বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা বলেছেন, "এটি ৫৬ ইঞ্চি বুকের উত্তর। পুলওয়ামা হামলা যখন হয়েছিল, সেদিনই ঠিক হয়ে গিয়েছিল যে জঙ্গিদের ছাড়া হবে না।"

সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শাহনওয়াজ হুসেনও সেনার প্রশংসা করে বলেছেন, "জয় হিন্দ! জয় হিন্দ সেনা! ভারতের উপর গর্ব।"

সেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইক

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, এই অভিযানে পাকিস্তান সেনাকে নয়, বরং জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করা হয়েছে। নিউজ এজেন্সি পিটিআই-এর মতে, সেনা বাহালপুরে জইশের সদর দপ্তর এবং মুরিদকে লস্করের ঘাঁটি ধ্বংস করেছে।

বাহালপুর হল সেই এলাকা, যেখানে ১৯৯৯ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মাসুদ আজহার জইশ-ই-মোহাম্মদের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। লাহোর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত মুরিদকে, লস্কর-ই-তৈয়বার প্রধান ঘাঁটি হিসেবে বিবেচিত হয়, যাকে ২৬/১১ হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছিল।

Leave a comment