টংকের বনাস নদীতে ডুবে ৮ জনের মৃত্যু

🎧 Listen in Audio
0:00

টংকে বনাস নদীতে ডুবে ৮ জনের মৃত্যু, ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। জয়পুরের ১১ জন বন্ধু পিকনিকে এসেছিল। পুলিশ তদন্ত করছে, মুখ্যমন্ত্রী শোক প্রকাশ করেছেন।

রাজস্থান: রাজস্থানের টংক জেলার বনাস নদীতে মঙ্গলবার এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে, যাতে ডুবে ৮ জনের মৃত্যু হয়। জয়পুর থেকে আসা ১১ জন বন্ধু পিকনিক করতে নদীতে স্নান করতে নেমে এই দুর্ঘটনা ঘটে। টংক পুলিশ দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে এবং তিনজনকে উদ্ধার করে, যাদের অবস্থা এখন স্থির। এই দুর্ঘটনায় গোটা এলাকা শোকে ডুবে গেছে।

কীভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল?

টংক জেলার বনাস নদীতে মঙ্গলবার এক হৃদয়বিদারক দুর্ঘটনা ঘটে। ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ১১ জন বন্ধুর একটি দল জয়পুর থেকে পিকনিক করতে টংকে এসেছিল। তারা নদীতে স্নান করতে নামে, কিন্তু নদীর গভীর জলে চলে যাওয়ার কারণে আনন্দের মুহূর্ত শোকে পরিণত হয়। টংকের পুলিশ অধীক্ষক (এসপি) বিকাশ সাংওয়ান জানিয়েছেন, ১১ জনের মধ্যে ৮ জন ডুবে মারা গেছে এবং ৩ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।

পুলিশ এবং স্থানীয়রা দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে। ১১ জনকেই নদী থেকে উঠিয়ে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু ৮ জনকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বাকি তিনজনের অবস্থা এখন স্থির, এবং তাদের চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।

দুর্ঘটনার কারণ কী ছিল?

পুলিশের মতে, এখনও স্পষ্ট নয় যে তারা কীভাবে গভীর জলে চলে গেছে। বনাস নদী কিছু জায়গায় বেশ গভীর এবং বর্ষাকালে এর জলস্তর এবং প্রবাহ বেড়ে যায়। সম্ভবত বন্ধুদের নদীর গভীরতার ধারণা ছিল না, এবং তারা অজান্তেই গভীর জলে চলে গেছে।

এসপি বিকাশ সাংওয়ান জানিয়েছেন, দলটি জয়পুর থেকে পিকনিক করতে টংকে এসেছিল। নদীতে স্নান করার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে, যাতে দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যায়। এটি অসাবধানতা ছিল, নাকি নদীর অবস্থার জন্য দায়ী? তদন্তের পরে সত্য সামনে আসবে।

মৃতদের পরিচয় কী?

পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তিরা জয়পুরের বাসিন্দা ছিলেন। তারা সকলেই ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী যুবক ছিলেন, যারা বন্ধুদের সাথে পিকনিক উপভোগ করতে টংকে এসেছিলেন। তাদের নাম এবং অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি, কারণ পুলিশ তাদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করছে। এই দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার এবং বন্ধুরা গভীর শোকে আচ্ছন্ন।

উদ্ধার অভিযান এবং পুলিশের কার্যক্রম

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে টংক পুলিশ দ্রুত উদ্ধার অভিযান শুরু করে। স্থানীয়রাও এতে সাহায্য করে। নদী থেকে ১১ জনকে উঠিয়ে নিয়ে তাদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন, কিন্তু ৮ জনকে বাঁচানো যায়নি।

এসপি বিকাশ সাংওয়ান জানিয়েছেন, বাকি তিনজনের অবস্থা এখন স্থির। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। নদীতে কোনো বিপজ্জনক চিহ্ন ছিল কি না, বা এই দুর্ঘটনার জন্য অন্য কোনও কারণ দায়ী কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ মৃতদের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করছে এবং তাদের সাহায্যের জন্য সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নিচ্ছে।

মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মার বক্তব্য

এই দুঃখজনক ঘটনায় রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তিনি এক্স-এ একটি পোস্ট শেয়ার করে টংকে ঘটে যাওয়া এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করে এবং আহতদের দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য কামনা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, প্রশাসনকে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Leave a comment