সম্ভল প্রশাসন হোলি উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। এবার শুধুমাত্র পুলিশ ও পিএসি জওয়ানই নয়, শহরের ২১টি মসজিদের নিরীক্ষণের দায়িত্বও লেখপালদের দেওয়া হয়েছে।
সম্ভল: হোলি উপলক্ষে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য পুলিশ প্রশাসনের সাথে সাথে লেখপালদেরও গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে মসজিদ এবং সংবেদনশীল স্থানে লেখপালদের নিয়োগ করা হয়েছে যাতে তারা পরিস্থিতির উপর নজর রাখতে পারে এবং কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা সময়মতো রোধ করতে পারে।
এছাড়াও, হোলির শোভাযাত্রার সময় নিরাপত্তার দিকে লক্ষ্য রেখে পুলিশ বাহিনী ও পিএসি জওয়ানদের নিয়োগ করা হয়েছে। উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারাও নিয়মিত তাদের অধীনস্থদের কাছ থেকে এলাকার পরিস্থিতির রিপোর্ট নিয়ে থাকেন।
লেখপালদের বিশেষ দায়িত্ব
সম্ভলের এসডিএম বন্দনা মিশ্রা শহরের ১৩টি মসজিদ এবং সারায়তারিনের ৮টি মসজিদ চিহ্নিত করে সেখানে লেখপালদের নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছেন। লেখপালদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা সর্বদা সতর্ক থাকবে এবং কোনো অস্বাভাবিক কার্যকলাপের তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসন ও পুলিশে খবর দেবে। প্রশাসন পুলিশ ও পিএসি (Provincial Armed Constabulary) জওয়ানদেরও নিয়োগ করেছে।
এছাড়াও, গোয়েন্দা সংস্থাগুলিকেও সক্রিয় করা হয়েছে যাতে সম্ভাব্য বিবাদ সময়মতো রোধ করা যায়। কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা শোভাযাত্রা এবং সংবেদনশীল এলাকার নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করবে।
রঙ ছোড়ার মতো ঘটনার উপর কড়া নজর
হোলির সময় কিছু অসামাজিক তত্ত্ব জ্ঞানপূর্বক বিবাদ সৃষ্টি করার চেষ্টা করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে লেখপালদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে তারা মসজিদের আশেপাশে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করবে এবং রঙ ছোড়ার মতো ঘটনা রোধ করবে। হোলির সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত না হয় সেজন্য বিদ্যুৎ বিভাগও বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে।
প্রতিটি উপকেন্দ্রে কর্মীদের দল নিয়োগ করা হয়েছে। ঢিলা তার সংশোধন এবং ট্রান্সফরমারের নিরাপত্তার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিক মেরামতের জন্য কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। প্রশাসন স্পষ্ট করে দিয়েছে যে শান্তিভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এসডিএম সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে নির্দেশ দিয়েছেন যে তারা সংবেদনশীল স্থানে সতর্কতা বজায় রাখবে এবং যে কোন পরিস্থিতিতে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে।