চাকরির বিনিময়ে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় বিহারের প্রাক্তন মন্ত্রী এবং রাজদ নেতা লालু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজ প্রতাপ যাদব দিল্লির রাউজ এভিনিউ আদালত থেকে বড় স্বস্তি পেয়েছেন।
বিহার: চাকরির বিনিময়ে জমি কেলেঙ্কারি মামলায় রাজদ নেতা এবং লালু প্রসাদ যাদবের পুত্র তেজ প্রতাপ যাদব দিল্লির রাউজ এভিনিউ আদালত থেকে বড় স্বস্তি পেয়েছেন। বিশেষ বিচারক বিশাল গোগনে-এর আদালত আজ, মঙ্গলবার তেজ প্রতাপ যাদব, তার বোন হিমা যাদব এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের ৫০ হাজার টাকা মুচলেকা এবং সমপরিমাণের একটা সিকিউরিটি বন্ডে জামিন দিয়েছেন।
আদালতে হাজিরার পর স্বস্তি
এই মামলায় সিবিআই (CBI) অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছিল, যার পর আদালত প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব, তাঁর পুত্র তেজ প্রতাপ যাদব এবং কন্যা হিমা যাদবকে সমন জারি করেছিল। আদালত গত মাসেই লালু যাদবকে তলব করেছিল এবং এখন তেজ প্রতাপ এবং অন্যান্য অভিযুক্তদের ১১ই মার্চ হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
চাকরির বিনিময়ে জমি কেলেঙ্কারি কী?
এই কেলেঙ্কারি ২০০৪ থেকে ২০০৯ সালের মধ্যে ঘটেছিল, যখন লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী ছিলেন। সে সময় ভারতীয় রেলের পশ্চিম মধ্য রেল অঞ্চল (জবলপুর, মধ্যপ্রদেশ)-এ গ্রুপ ‘ডি’ নিয়োগে অনিয়ম হয়েছিল। অভিযোগ, রেলের চাকরির বিনিময়ে অনেক প্রার্থীর কাছ থেকে তাদের জমি অত্যন্ত কম দামে নেওয়া হয়েছিল অথবা সরাসরি লালু পরিবার অথবা তাদের ঘনিষ্ঠদের নামে হস্তান্তর করা হয়েছিল।
সিবিআই এই কেলেঙ্কারির তদন্তের সময় ৭৮ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে, যাদের মধ্যে লালু যাদব, তাঁর স্ত্রী রাবড়ী দেবী, তাঁর পুত্র-কন্যা, সরকারি কর্মকর্তা এবং ব্যক্তিগত ব্যক্তি রয়েছেন।
তেজস্বী যাদবের উপরও ঝুঁকছে তলোয়ার
বিশেষ বিচারক এই মামলায় বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকেও সমন জারি করেছেন এবং তাঁকেও আদালতে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছেন। মনে করা হচ্ছে এই মামলার শুনানিতে আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ঘটতে পারে। এই বিষয়ে রাজদ নেতারা বলছেন এটি বিজেপি-প্রেরিত রাজনৈতিক প্রতিশোধ, অন্যদিকে বিজেপি নেতারা এটিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান বলে দাবি করছেন।
এখন সবার দৃষ্টি পরবর্তী শুনানির উপর, যেখানে সিবিআই-এর দাখিল করা প্রমাণ এবং অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে আত্মরক্ষার বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হবে। এই মামলায় লালু যাদব এবং তাঁর পরিবারকে আরও আইনগত চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হতে পারে।