সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ: বিহারের আরজেডি বিধায়ক সুনীল সিংহের সদস্যপদ পুনঃস্থাপন

🎧 Listen in Audio
0:00

বিহারের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় এসেছে, যখন সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর বিধান পরিষদ সদস্য (এমএলসি) সুনীল সিংহের সদস্যপদ পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে।

পাটনা: বিহারের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ মোড় এসেছে, যখন সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি)-এর বিধান পরিষদ সদস্য (এমএলসি) সুনীল সিংহের সদস্যপদ পুনঃস্থাপনের নির্দেশ দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের বিরুদ্ধে কথিত অবমাননাকর মন্তব্য এবং তাঁর মিমিক্রি করার অভিযোগে সুনীল সিংহের বিধান পরিষদ সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছিল। তবে, উচ্চতম আদালত এই সিদ্ধান্তকে উল্টে দিয়ে তাঁকে বড় রকমের স্বস্তি দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

মঙ্গলবার বিচারপতি সূর্য কান্ত ও বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চ শুনানির সময় মনে করেছিলেন যে সুনীল সিংহের আচরণ অনুচিত ছিল, কিন্তু তাঁর সদস্যপদ বাতিল করা শাস্তির দিক থেকে অত্যধিক ছিল। আদালত ধারা ১৪২ ব্যবহার করে তাঁর সদস্যপদ পুনঃস্থাপন করেছে এবং বিধান পরিষদের সভাপতি কর্তৃক জারি করা অধিসূচনা বাতিল করেছে।

সুপ্রিম কোর্ট - আবার যদি অসদাচরণ করে?

সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট করেছে যে যদি সুনীল সিংহ আবার সদনে অনুচিত আচরণ করে, তাহলে নীতি-নির্ধারণ কমিটি এবং বিধান পরিষদের সভাপতি এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। আদালত এটাও বলেছে যে সংবিধানবদ্ধ আদালত আইনসভার কাজে অযথা হস্তক্ষেপ করে না, কিন্তু ন্যায়ের নীতিগুলি পালন করা উচিত।

সম্পূর্ণ ঘটনা কী?

২৬ জুলাই ২০২৪-এ বিধান পরিষদে সুনীল সিংহের সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছিল। তাঁর উপর অভিযোগ ছিল যে রাজ্যপালের ভাষণের সময় তিনি মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের মিমিক্রি করেছিলেন। এই বিষয়ে জেডিইউ-এর এমএলসি একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন, যার পরে তদন্ত কমিটি অনুশাসনহীনতা মনে করে তাঁর সদস্যপদ বাতিল করার সুপারিশ করেছিল।

এর পর সুনীল সিংহ এই সিদ্ধান্তকে "নিরঙ্কুশতা" বলে অভিহিত করে সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তিনি দাবি করেছিলেন যে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বিধান পরিষদে তাঁর আসন শূন্য বলে মনে করে নির্বাচন কমিশন উপনির্বাচনের অধিসূচনা জারি করেছিল, যাতে জেডিইউ-এর জ্যেষ্ঠ নেতা ললন সিংহ মনোনয়ন দায়ের করেছিলেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে এই প্রক্রিয়া বাতিল হয়ে গেছে।

ভবিষ্যতে সাবধানতা অবলম্বনের পরামর্শ

সুপ্রিম কোর্ট তাঁদের সিদ্ধান্তে এটাও বলেছে যে সুনীল সিংহ গত ৭ মাস ধরে সদন থেকে বাইরে ছিলেন, এটাকেই যথেষ্ট শাস্তি বলে মনে করা হবে। তবে, এই সময়ের জন্য তিনি কোনো আর্থিক সুবিধা পাবেন না, কিন্তু তাঁর কার্যকাল শেষ হলে তিনি সকল সুবিধা পাবেন। আদালত সুনীল সিংহকে ভবিষ্যতে এ ধরণের বক্তব্য দেওয়া এবং সদনে শৃঙ্খলা বজায় রাখার কঠোর নির্দেশ দিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পরে বিহারের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে পারে, কারণ আরজেডি অবশ্যই এতে শক্তি পাবে।

 

Leave a comment