সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতাদেশ: উত্তরপ্রদেশের মাদ্রাসা আদেশ বাতিল

🎧 Listen in Audio
0:00

উত্তর প্রদেশ সরকারের আদেশটি জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (NCPCR)-এর প্রতিবেদনের উপর নির্ভরশীল, যেখানে ২০১৯ সালের শিক্ষা অধিকার আইনের (RTE) নিয়মাবলী পালন না করা মাদ্রাসাগুলির স্বীকৃতি বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছিল।

নয়াদিল্লি: সুপ্রিম কোর্ট উত্তর প্রদেশ সরকারের সেই আদেশে স্থগিতাদেশ জারি করেছে, যা জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (NCPCR)-এর প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে ছিল। এই আদেশে ২০১৯ সালের শিক্ষা অধিকার আইনের (RTE) নিয়মাবলী পালন না করা মাদ্রাসাগুলির স্বীকৃতি বাতিল এবং অস্বীকৃত মাদ্রাসাগুলির ছাত্রছাত্রীদের সরকারি স্কুলে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কোর্ট মাদ্রাসাগুলি থেকে অ-মুসলিম ছাত্রছাত্রীদের বহিষ্কারের আদেশেও স্থগিতাদেশ জারি করেছে, যার ফলে সরকারের কার্যক্রম এখন অস্থায়ীভাবে বন্ধ রয়েছে।

যাচিকা দায়েরকারী কে?

উত্তর প্রদেশ এবং ত্রিপুরা সরকারের আদেশের বিরুদ্ধে মুসলিম সংগঠন জমিয়ত উলামা-এ-হিন্দ যাচিকা দায়ের করেছিল। এই আদেশটি জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (NCPCR)-এর প্রতিবেদনের উপর ভিত্তি করে ছিল, যেখানে ২০১৯ সালের শিক্ষা অধিকার আইনের (RTE) নিয়মাবলী পালন না করা মাদ্রাসাগুলির স্বীকৃতি বাতিল এবং সকল মাদ্রাসার তদন্তের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। প্রধান বিচারপতি ডি. ওয়াই. চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে. বি. পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চ জমিয়ত উলামা-এ-হিন্দ-এর জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর যুক্তি বিবেচনা করেছে। আইনজীবী বলেছেন, NCPCR-এর নির্দেশনা এবং কিছু রাজ্যের কার্যক্রমে স্থগিতাদেশের প্রয়োজন, যাতে মাদ্রাসাগুলির ছাত্রছাত্রীদের অধিকার রক্ষা করা যায়।

ইউপি সরকারের বিতর্কিত আদেশ

  এই আদেশটি জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (NCPCR)-এর সুপারিশের উপর ভিত্তি করে ছিল, যেখানে বলা হয়েছিল যে ২০১৯ সালের শিক্ষা অধিকার আইনের (RTE) পালন না করা সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এখন আদালত এই ব্যাপারে কেন্দ্র এবং রাজ্যগুলির কার্যক্রমেও স্থগিতাদেশ জারি করেছে।

সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশ

সুপ্রিম কোর্ট NCPCR কর্তৃক ২৭শে জুন পর্যন্ত জারি করা সকল সংবাদে স্থগিতাদেশ জারি করেছে, যার মধ্যে ৭ই এবং ২৫শে জুন জারি করা নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত। এছাড়াও আদালত রাজ্যগুলির পরবর্তী আদেশেও স্থগিতাদেশ জারি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আদালত মুসলিম সংগঠন জমিয়ত উলামা-এ-হিন্দকে উত্তর প্রদেশ এবং ত্রিপুরার বাইরে অন্যান্য রাজ্যগুলিকেও তাদের যাচিকায় পক্ষকারী করার অনুমতি দিয়েছে, যাতে এই ব্যাপারের ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।

NCPCR-এর সুপারিশ

জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন (NCPCR) তাদের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে পরামর্শ দিয়েছে যে যতক্ষণ পর্যন্ত মাদ্রাসাগুলি শিক্ষা অধিকার আইনের (RTE) পালন না করে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের দেওয়া সরকারি তহবিল বন্ধ করে দেওয়া উচিত। এই সুপারিশের উদ্দেশ্য হল মাদ্রাসাগুলিতে শিক্ষার মান উন্নত করা এবং ২০১৯ সালের শিক্ষা অধিকার আইনের (RTE) অধীনে সকল ছাত্রছাত্রীকে যথাযথ শিক্ষা প্রদান করা।

বিরোধীদের তীব্র প্রতিরোধ

এই প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়ায় বিরোধীরা বিজেপি সরকারের উপর তীব্র আক্রমণ চালিয়েছে। সমাজবাদী পার্টি (সপা)-এর প্রধান অখিলেশ যাদব অভিযোগ করেছেন যে, ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) সংখ্যালঘু প্রতিষ্ঠানগুলিকে নির্বাচনীভাবে লক্ষ্যবস্তু করেছে। পরবর্তীতে, NCPCR-এর চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্ক কানুনগো স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে, তিনি কখনোই মাদ্রাসা বন্ধ করার দাবি করেননি। বরং, তাঁর পরামর্শ ছিল যে সরকারি তহবিল বন্ধ করে দেওয়া উচিত, যারা দরিদ্র মুসলিম শিশুদের যথাযথ শিক্ষা দিচ্ছে না।

```

Leave a comment