সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল বিদেশ সফরে: সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতির প্রচার

🎧 Listen in Audio
0:00

কিরণ রিজিজু এক্স পোস্টে জানিয়েছেন যে ভারত ঐক্যবদ্ধ। সাতজন সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল বিদেশ সফরে গিয়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার বার্তা দেবে। এটি জাতীয় ঐক্য এবং রাজনীতির উর্ধ্বে একটি বার্তা হবে।

নয়াদিল্লি: অপারেশন সিন্দুরের পর ভারত পাকিস্তান প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসবাদকে বিশ্বব্যাপী মঞ্চে উন্মোচন করার জন্য একটি বড় পদক্ষেপ নিয়েছে। দেশের সকল প্রধান রাজনৈতিক দল এখন এই অভিযানে একত্রিত হয়েছে। ভারত বিশ্বের বিভিন্ন প্রধান দেশে সাত সদস্যের সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাদের উদ্দেশ্য হল সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতির কঠোর বার্তা বিশ্বের কাছে পৌঁছে দেওয়া।

কিরণ রিজিজু জানিয়েছেন

সংসদীয় বিষয়ক মন্ত্রী কিরণ রিজিজু এই গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগের কথা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স (পূর্ব টুইটার)-এ জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, "সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলিতে ভারত ঐক্যবদ্ধভাবে দাঁড়ায়। সাতজন সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল শীঘ্রই প্রধান অংশীদার দেশগুলির সফর করবে এবং সন্ত্রাসবাদের প্রতি ‘শূন্য সহনশীলতা’র যৌথ বার্তা সেখানে পৌঁছে দেবে। এটি রাজনীতির উর্ধ্বে এবং মতবিরোধের বাইরে জাতীয় ঐক্যের প্রতীক।"

প্রতিনিধি দলে কারা কারা থাকবেন?

এই প্রতিনিধি দলে দেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির বড় নেতারা থাকবেন, যাদের মধ্যে রয়েছেন:

  • শশী থরুর (কংগ্রেস)
  • রবিশঙ্কর প্রসাদ (ভারতীয় জনতা পার্টি)
  • সংজয় কুমার ঝা (জনতা দল ইউনাইটেড)
  • বৈজয়ন্ত পান্ডা (ভারতীয় জনতা পার্টি)
  • কানিমোই করুণানিধি (ডিএমকে)
  • সুপ্রিয়া সুলে (এনসিপি)
  • শ্রীকান্ত শিন্ডে (শিবসেনা)

এই দল ‘টিম ইন্ডিয়া’ হিসেবে বিশ্বজুড়ে ভারতের বার্তা পৌঁছে দেবে।

কোন কোন দেশে যাবে প্রতিনিধি দল?

সূত্রের খবর, এই প্রতিনিধি দল আমেরিকা, ব্রিটেন, দক্ষিণ আফ্রিকা, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) সহ বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করবে। এই সফর ২২ মে'র পর শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই মিশন বিশেষ করে পাকিস্তান প্রশিক্ষিত সন্ত্রাসবাদ এবং বেসামরিক লক্ষ্যস্থলে হওয়া আক্রমণগুলি উন্মোচন করার জন্য হবে। এর মাধ্যমে ভারত বিশ্বকে দেখাতে চায় যে সে সন্ত্রাসবাদে ক্ষতিগ্রস্ত এবং এটিকে কোনও পর্যায়েই সহ্য করবে না।

ভারতের ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতির বিশ্বব্যাপী প্রচার

এই মিশনের মাধ্যমে ভারত তার ‘শূন্য সহনশীলতা’ নীতিটিকে বিশ্বব্যাপী মঞ্চে নিয়ে যেতে চায়। ভারতের এই পদক্ষেপ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে একটি বড় কূটনৈতিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। এর ফলে পাকিস্তান আন্তর্জাতিক মঞ্চে আটকে পড়তে পারে এবং সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার তার নীতি উন্মোচনে ভারতকে সাহায্য করবে।

প্রথমবার রাজনীতির উর্ধ্বে ঐক্য

এটি প্রথমবার যখন ভারতের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কিত বিষয়ে একত্রিত হয়েছে। এটি ভারতের রাজনীতির জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটি দেখায় যে সন্ত্রাসবাদ এরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে ভারত সম্পূর্ণরূপে ঐক্যবদ্ধ এবং দেশের স্বার্থে রাজনৈতিক মতবিরোধের উর্ধ্বে উঠতে পারে।

Leave a comment