প্রিন্স নরুলা এবং যুবিকা চৌধুরীর বিয়ের বিষয়ে সম্প্রতি অনেক জল্পনা-কল্পনা ছড়িয়ে পড়েছিল যে তারা আলাদা হচ্ছেন। এছাড়াও দাবি করা হয়েছিল যে প্রিন্স যুবিকার প্রসবের সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন না।
বিনোদন: বলিউড এবং টেলিভিশন জগতের আলোচিত জুটি যুবিকা চৌধুরী এবং প্রিন্স নরুলা – তাদের জীবন সবসময়ই ভক্তদের কাছে আকর্ষণের বিষয়। বিশেষ করে যখন তাদের পারিবারিক এবং ব্যক্তিগত জীবনের কথা আসে। সম্প্রতি যুবিকা এক বিশেষ আলাপচারিতায় তাঁর মেয়ের জন্মের সময়ের অমূল্য মুহূর্তগুলি প্রকাশ করেছেন, যা মিডিয়া এবং ভক্তদের মধ্যে অনেক গুজব ছড়িয়ে দিয়েছে।
পারস ছাবড়ার পডকাস্টে যুবিকা তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে জানান যে কীভাবে তাঁর স্বামী প্রিন্স নরুলা প্রসব কক্ষে তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন এবং নিজেই নাভি কাটার সাহস দেখিয়েছিলেন।
গুজবের খণ্ডন
গত কয়েক সময় ধরে আলোচনা চলছিল যে প্রিন্স নরুলা এবং যুবিকা চৌধুরীর মধ্যে সম্পর্কে ফাটল ধরেছে এবং তারা বিচ্ছেদের দ্বারপ্রান্তে। এছাড়াও গুজব ছড়িয়েছিল যে প্রিন্স যুবিকার প্রসবের সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন না। তবে, যুবিকা এ কথা সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করে বলেছেন যে এগুলি সব মিথ্যা। তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে প্রিন্স প্রসব কক্ষে তাঁর সাথে ছিলেন, তাঁর সন্তানের জন্মের প্রতিটি সুন্দর মুহূর্তে তাঁর পাশে ছিলেন।
প্রসবের সময়ের বিশেষ অভিজ্ঞতা
যুবিকা জানিয়েছেন যে তিনি প্রসবের সময় ভক্তিগীত "কौन कहते हैं भगवान आते नहीं" গাইছিলেন। এই সময় প্রিন্স তাঁর পাশে ছিলেন, যিনি কেবল তাঁর উৎসাহ বৃদ্ধি করছিলেন না, বরং নাভি কাটার দায়িত্বও তিনিই পালন করেছিলেন। যুবিকা জানিয়েছেন যে প্রিন্স এই দায়িত্ব পালন করার সময় খুবই নার্ভাস এবং কাঁপছিলেন, কারণ তিনি প্রথমবারের জন্য পিতা হচ্ছিলেন। তিনি এও বলেছেন যে প্রিন্স প্রসবের পুরো প্রক্রিয়াটি দেখেছেন এবং সেই সময়ের অনুভূতিগুলিকে অনুভব করেছেন।
স্বামীর প্রথম পদক্ষেপ পিতৃত্বের দিকে
যুবিকা বলেছেন যে প্রিন্স নরুলার মুখে আনন্দের সাথে সাথে একটা নতুন ভয়ও ছিল। তিনি ভাবছিলেন যে কোনোভাবে শিশুটি ঠিকমতো বেরোবে কিনা। কিন্তু তবুও তিনি পুরো মন দিয়ে তাঁর দায়িত্ব পালন করেছেন। যুবিকা বলেছেন, তিনি খুব শক্তিশালী মানুষ, কিন্তু এই নতুন অভিজ্ঞতা তাঁকে ভেতর থেকেও বদলে দিয়েছে। একটি ছেলে হঠাৎ পিতা হয়ে ওঠে, এই পরিবর্তন অনুভব করা অত্যন্ত বিশেষ।
জীবনের এই বিশেষ মোড়ে আধ্যাত্মিক শান্তি
প্রসবের সময় ভক্তিগীত গাওয়ার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়ে যুবিকা বলেছেন যে এই গীত তাঁকে মানসিক এবং আধ্যাত্মিকভাবে স্থির রাখতে সাহায্য করেছিল। তিনি হাসছিলেন এবং তাঁর ভেতরে এক অদ্ভুত শান্তি অনুভব করছিলেন। যুবিকা বলেছেন, "আমি জানতাম যে প্রথম স্তর কেটে গেছে, কিন্তু আমি সম্পূর্ণ শান্ত ছিলাম কারণ আমি ভগবানের উপর ভরসা করছিলাম।"
যুবিকা এই আলাপচারিতার মাধ্যমে সেসব গুজবকে ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ করেছেন যা তাঁর এবং প্রিন্সের মধ্যে দূরত্বের কথা বলেছিল। তিনি ভক্তদের অনুরোধ করেছেন যে তারা কোনও খবরে যাচাই-বাছাই না করে বিশ্বাস না করবে।