সোনিয়া গান্ধীর ভুল: ২০০৩-এর দিল্লি নির্বাচনে কংগ্রেসের জাতীয় মর্যাদা বিপন্ন

🎧 Listen in Audio
0:00

২০০৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীর এক ভুলের কারণে কংগ্রেসের জাতীয় মর্যাদা বিপন্ন হয়ে পড়েছিল। দিল্লি নির্বাচনের সময় এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে।

দিল্লি নির্বাচন: দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচনের সময় সকল প্রধান রাজনৈতিক দল নিজ নিজ জয় নিশ্চিত করার জন্য ব্যস্ত ছিল। এইরকম একটা নির্বাচনী ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে, যা ২০০৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সাথে জড়িত। সেই সময় কংগ্রেস পার্টির জাতীয় মর্যাদা বিপন্ন হয়ে পড়েছিল, এবং তার কারণ ছিল কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর একটি বড় ভুল।

২০০৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সোনিয়া গান্ধীর ভুল

২০০৩ সালে দিল্লি, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিসগড় ইত্যাদি রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। কেন্দ্রে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার ছিল। এই সময় ছত্তিসগড়ে বিজেপির दिग्गज নেতা দিলীপ সিংহ জুড়েওর উপর ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়, যার পর তাকে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে হয়। কংগ্রেস এই বিষয়টিকে নির্বাচনী প্রচারে ব্যাপকভাবে তুলে ধরে।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের উপর নির্বাচন কমিশন থেকে নোটিশ

কংগ্রেসের নেতারা সরকারি বিমান প্রচারে ব্যবহার করার কারণে নির্বাচন কমিশন তাদের নোটিশ পাঠায়, যার ফলে কংগ্রেসের জাতীয় মর্যাদা বিপন্ন হয়ে পড়ে। সোনিয়া গান্ধী এবং ছত্তিসগড়ের মুখ্যমন্ত্রী অজিত জোগীকে নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। কমিশন কংগ্রেসকে জিজ্ঞাসা করে যে কেন পার্টির জাতীয় স্বীকৃতি বাতিল করা উচিত নয়।

কমিশনের নোটিশে কংগ্রেসের পাল্টা বক্তব্য

কংগ্রেস কমিশনকে ব্যাখ্যা দেয় এবং তাদের নেতাদের পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে, যার পরে পার্টির জাতীয় মর্যাদা রক্ষা করা সম্ভব হয়।

কার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন নোটিশ পাঠিয়েছিল?

বিরোধী দলগুলির পক্ষ থেকে কমিশনে অনেক অভিযোগ জমা পড়ে, যার পর নির্বাচন পর্যবেক্ষকদের রিপোর্টের উপর সোনিয়া গান্ধী এবং অন্যান্য নেতাদের নোটিশ পাঠানো হয়। রিপোর্টে দেখা যায় যে সোনিয়া গান্ধী ১০-১১ অক্টোবর নির্বাচনের অধিসূচনা প্রকাশের পর বহুবার সরকারি বিমান প্রচারে ব্যবহার করেছিলেন।

আচরণবিধির গুরুত্ব এবং লঙ্ঘনের নিয়ম

নির্বাচন আদর্শ আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার সাথে সাথে সরকারি খরচে কোনও আয়োজন করা যায় না, যা কোনও দলের সুবিধার জন্য হয়। এই সময় মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী কোনও নতুন ঘোষণা বা প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারবেন না। এই আচরণবিধি লঙ্ঘনের গুরুতর পরিণাম হতে পারে, যেমনটি সোনিয়া গান্ধীর ক্ষেত্রে হয়েছিল।

Leave a comment