ট্রাম্পের ট্যারিফ নীতির ফলে বাজারে অবনতি। ভারত, ভিয়েতনাম এবং ইসরায়েলের সাথে আলোচনা শুরু। সমঝোতার সম্ভাবনা, যা বিশ্বব্যাপী মন্দার আশঙ্কা থেকে কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে।
ট্রাম্প ট্যারিফ: ২ এপ্রিল, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশের উপর ব্যাপক ট্যারিফ আরোপের ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্তের পর মার্কিন শেয়ার বাজারে তীব্র অবনতি দেখা দেয় এবং কর্পোরেট জগতে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের এই নীতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক অর্থনীতিকে মন্দার দিকে ঠেলে দিতে পারে।
ভারত, ইসরায়েল এবং ভিয়েতনামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা
ট্যারিফের এই নেতিবাচক প্রভাব দেখে ট্রাম্প প্রশাসন এখন নমনীয় অবস্থান গ্রহণ করে আলোচনার পথে এগিয়েছে। জানা গেছে, ট্রাম্প ভারত, ইসরায়েল এবং ভিয়েতনামের সাথে আলোচনা করছেন যাতে ট্যারিফের সময়সীমা শেষ হওয়ার আগে কোনও সমঝোতায় পৌঁছানো যায়। হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই দেশগুলির সাথে বিশেষ বাণিজ্য চুক্তির চূড়ান্ত রূপ দেওয়ার চেষ্টা করছে।
প্রতিশোধমূলক ট্যারিফ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের উপর ৩৪% ট্যারিফ আরোপ করেছে, যার প্রতিক্রিয়ায় চীনও মার্কিন পণ্যের উপর একই হারে ট্যারিফ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। ট্রাম্প এটিকে চীনের উদ্বেগ বলে উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোনও প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপ থেকে পিছু হটবে না। ট্রাম্প প্রশাসন ইতোমধ্যেই চীনের উপর ২০% ট্যারিফ আরোপ করেছে, যার ফলে মোট কার্যকর ট্যারিফ ৫৪% এ পৌঁছেছে।
ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া কৌশল
ট্রাম্প একটা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছেন যে ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক প্রস্তাব দিয়েছেন যে, যদি পারস্পরিক সম্মতি হয়, তাহলে তারা ট্যারিফ শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রস্তুত। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, যেসব দেশ ট্যারিফ নিয়ে উদ্বিগ্ন, তারা উদ্বেগের পরিবর্তে সরাসরি আলোচনা করুক।
ভারতের উপরও ব্যাপক ট্যারিফ, কিন্তু সম্ভাবনা রয়েছে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভারতের উপর ২৭% ট্যারিফ আরোপ করেছে, যদিও ট্রাম্প একটা ব্রিফিংয়ে এটিকে ২৬% বলে উল্লেখ করেছেন। ভারত সরকার এই বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সাথে চিন্তাভাবনা করছে এবং আশা করা হচ্ছে, দুই পক্ষের মধ্যে যদি সম্মতি হয়, তাহলে বাণিজ্য সম্পর্কের নতুন মোড় আসতে পারে।