প্রধানমন্ত্রী মোদী ৫১,০০০-এর অধিক যুবক-যুবতীকে কর্মসংস্থান মেলার মাধ্যমে চাকরি দিলেন

🎧 Listen in Audio
0:00

প্রধানমন্ত্রী মোদী ১৫তম কর্মসংস্থান মেলার মাধ্যমে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ৫১,০০০-এরও বেশি যুবক-যুবতীকে বিভিন্ন সরকারি বিভাগে নিয়োগপত্র প্রদান করেছেন, যুবসমাজকে সবল করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার লক্ষ্য নিয়ে।

PM মোদী: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শনিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে ১৫তম কর্মসংস্থান মেলার আওতায় ৫১,০০০-এরও বেশি যুবক-যুবতীকে সরকারি বিভাগে নিয়োগপত্র বিতরণ করেছেন। এই বিশাল কর্মসূচীটি দেশজুড়ে ৪৭টি স্থানে আয়োজন করা হয়েছিল এবং এর উদ্দেশ্য যুবসমাজকে স্থায়ী ও সুদৃঢ় কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদান করা। এই উদ্যোগটি ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে শুরু হয়েছিল এবং তখন থেকে এ পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী সরকারি চাকরি পেয়েছেন।

কর্মসংস্থান মেলার উদ্দেশ্য এবং এর প্রভাব

কর্মসংস্থান মেলার প্রধান উদ্দেশ্য হল যুবসমাজকে সরকারি চাকরির মাধ্যমে সবল করে তোলা এবং তাদেরকে জাতির উন্নয়নে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার সুযোগ প্রদান করা। এই বিশেষ কর্মসংস্থান মেলায় নবনিযুক্ত প্রার্থীরা রাজস্ব বিভাগ, গৃহ মন্ত্রণালয়, ডাক বিভাগ, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, উচ্চশিক্ষা বিভাগ, রেল মন্ত্রণালয় ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে যুক্ত হয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (PMO) কর্তৃক প্রকাশিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে, এই মেলাগুলি কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি আরও জোরদার করে। কর্মসংস্থানের এই সুযোগগুলি নিশ্চিত করে যে সমস্ত নিয়োগ পূর্ণ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে সম্পন্ন হবে।

কর্মসংস্থান সৃষ্টির দিকে সরকারের উদ্যোগ

২০২২ সালের অক্টোবর মাসে কর্মসংস্থান মেলার সূচনা হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকার ১০ লক্ষেরও বেশি স্থায়ী সরকারি চাকরি সৃষ্টি করেছে। গত বছর ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত কর্মসংস্থান মেলার ১৪তম সংস্করণে প্রধানমন্ত্রী মোদী ৭১,০০০-এরও বেশি নিয়োগপত্র বিতরণ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন যে, কর্মসংস্থান মেলাগুলি সরকারের ব্যাপক দৃষ্টিভঙ্গীর অংশ, যার উদ্দেশ্য কর্মসংস্থান সৃষ্টিকে আরও স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীলভাবে করা।

কর্মসংস্থান মেলার সাফল্যের সূচনা

কর্মসংস্থান মেলার সূচনা হয়েছিল ২০২২ সালের ২২ অক্টোবর, যেখানে ৭৫,০০০ নিয়োগপত্র বিতরণ করা হয়েছিল। এই আয়োজনটি যুবসমাজকে সুদৃঢ় ও স্থায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ প্রদানের সরকারের পরিকল্পনাকে গুরুত্বপূর্ণভাবে সমর্থন করেছিল। এর পর থেকে কর্মসংস্থান মেলাগুলি কেবলমাত্র বেকারত্ব কমিয়েছে তাই নয়, এটি যুবসমাজকে দেশের উন্নয়ন যাত্রায় সক্রিয়ভাবে অবদান রাখার জন্যও অনুপ্রাণিত করেছে।

ভারত বিদেশে করেছে কর্মসংস্থান চুক্তি

প্রধানমন্ত্রী মোদী এও উল্লেখ করেছেন যে, ভারত সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ২১টি দেশের সাথে অভিবাসন ও কর্মসংস্থান সম্পর্কিত চুক্তি করেছে। এর মধ্যে রয়েছে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জার্মানি, ইসরায়েল, মরিশাস, যুক্তরাজ্য এবং ইতালি போன்ற প্রধান দেশগুলির সাথে সহযোগিতা। এই উদ্যোগের ফলে ভারতীয় যুবসমাজের জন্য আন্তর্জাতিক কর্মসংস্থানের নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে।

চাকরির সুযোগের বিস্তার এবং যুবসমাজের জন্য নতুন পথ

প্রধানমন্ত্রী মোদী জোর দিয়ে বলেছেন যে, কর্মসংস্থান মেলার মাধ্যমে যুবসমাজকে সরকারি সেবায় স্থায়ী ও সুদৃঢ় সুযোগ প্রদান করা হচ্ছে। কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ক্রমাগত অগ্রগতি হচ্ছে, যার ফলে লক্ষ লক্ষ যুবক-যুবতী চাকরি পাচ্ছে এবং তারা দেশের উন্নয়নে অবদান রাখছে।

Leave a comment