নতুন দিল্লি রেল স্টেশনের আজমেরি গেটের দিকে যাত্রীদের ভিড় এবং যানবাহনের চলাচল সুষ্ঠু রাখার জন্য ২৫ জুন থেকে ‘পার্কিং কম এক্সেস কন্ট্রোল’ ব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে।
নতুন দিল্লি রেল স্টেশন: ২৫ জুন থেকে নতুন দিল্লি রেল স্টেশনের আজমেরি গেটের দিকে একটি নতুন পার্কিং এবং ট্রাফিক কন্ট্রোল ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। রেল প্রশাসন পিক অ্যান্ড ড্রপ জোনে ভিড় কমাতে এবং যানবাহনের চলাচল সুষ্ঠু রাখার জন্য “পার্কিং কম এক্সেস কন্ট্রোল” ব্যবস্থার সূচনা করেছে। এই নতুন ব্যবস্থার অধীনে কোনও যানবাহন স্টেশন চত্বরে সর্বাধিক ৮ মিনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে থাকতে পারবে। ৮ মিনিটের বেশি থাকলে জরিমানা দিতে হবে, যার ফলে যাত্রী এবং চালকদের মধ্যে অসন্তোষ বেড়েছে।
নতুন ব্যবস্থার প্রধান বিষয়গুলি
- প্রথম ৮ মিনিট পর্যন্ত – যানবাহন বিনামূল্যে থাকতে পারবে।
- ৮ থেকে ১৫ মিনিট পর্যন্ত থাকলে – ৫০ টাকা ফি নেওয়া হবে।
- ১৫ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত থাকলে – ২০০ টাকা ফি প্রযোজ্য হবে।
- ৩০ মিনিটের বেশি থাকলে – যানবাহন জব্দ করা হবে এবং ৫০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে।
রেল কর্মকর্তাদের ধারণা, এই ব্যবস্থা ভিড় কমাতে, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ করতে এবং রেলের রাজস্ব বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। এই নিয়ম আগেও প্রযোজ্য ছিল, কিন্তু টেন্ডার শেষ হওয়ার পরে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখন একবার আবার তা সক্রিয় করা হয়েছে।
আনন্দ বিহারে পূর্বেই প্রযোজ্য
দিল্লির আনন্দ বিহার রেল স্টেশনে এই ব্যবস্থা পূর্বেই প্রযোজ্য ছিল এবং কর্মকর্তাদের মতে, সেখানে এর ইতিবাচক ফলাফল পাওয়া গেছে। নতুন দিল্লি রেল স্টেশনেও একই মডেল অনুসরণ করে ট্রাফিক ব্যবস্থা উন্নত করা হচ্ছে। যদিও রেলের দাবি, এই নতুন ব্যবস্থা ট্রাফিকের গতি বাড়াবে, তবে যাত্রী এবং যানবাহন চালকদের কাছে এটি বেশ সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী, ভারী সামগ্রী নিয়ে যাত্রা করা যাত্রী এবং শিশুদের সাথে পরিবারের জন্য ৮ মিনিটের সময়সীমা অব্যবহারিক বলে মনে করা হচ্ছে।
একজন অটো চালকের কথা, একটি গাড়ি বা ট্যাক্সি থেকে অনেক যাত্রী নামে, তারপর সামগ্রী বের করে, তারপর টিকিট দেখিয়ে ভিতরে যায়। এগুলো ৮ মিনিটের মধ্যে কিভাবে সম্ভব? একজন নারী যাত্রী, যিনি তার বৃদ্ধ পিতামাতাকে স্টেশন ছেড়ে আসছিলেন, বলেন, তাদের হাঁটা ধীর, এবং আমাদের হুইলচেয়ারের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল। এদিকে ৮ মিনিটের বেশি সময় হয়ে গেল, এখন ৫০ টাকা জরিমানা দিতে হল।
রেলের পক্ষ
রেল কর্মকর্তাদের বক্তব্য, এই ব্যবস্থা পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা হয়েছে এবং যদি কোনো শ্রেণীর মানুষের সমস্যা হয়, তাহলে তাতে সংশোধন করা যেতে পারে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত এবং বাণিজ্যিক উভয় ধরণের যানবাহনকে সমানভাবে নিয়ম মেনে চলতে হবে। তবে, আগের তুলনায় এখন ব্যক্তিগত যানবাহনকেও মাত্র ৮ মিনিটের ছাড় দেওয়া হয়েছে।
- পিক অ্যান্ড ড্রপ জোনে অপ্রয়োজনীয় ভিড় কমবে।
- ক্যাব চালকদের मनमानীতে বাধা পড়বে।
- যারা দ্রুত যাত্রীদের নামিয়ে দেবে তাদের অগ্রাধিকার পাবে।
- কিন্তু অন্যদিকে,
- বৃদ্ধ, প্রতিবন্ধী এবং শিশুদের সাথে আসা-যাওয়া করার সময় সমস্যা হবে।
- ট্রাফিক দ্রুত চলবে, কিন্তু মানবিক প্রয়োজন উপেক্ষা করা হতে পারে।
- যারা বিশেষ সাহায্যের প্রয়োজন (যেমন বৃদ্ধ বা প্রতিবন্ধী) তাদের জন্য বিশেষ লেইন তৈরি করা।
- টোকেন ব্যবস্থা প্রয়োগ করা যাতে প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের ৮ মিনিটের বেশি সময় দেওয়া যায়।
- ড্রপ এলাকায় CCTV নজরদারি বাড়ানো যাতে জরিমানার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ থাকে।