প্রধান বিচারপতি গাওয়াই: নেহেরু সরকারের বিচারপতি নিয়োগে নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ

🎧 Listen in Audio
0:00

প্রধান বিচারপতি বি আর গাওয়াই নেহেরু সরকারের দ্বারা প্রধান বিচারপতি নিযুক্তির ক্ষেত্রে নিয়ম লঙ্ঘনের কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন যে, জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের উপেক্ষা করে পি.বি. গজেন্দ্রগড়করকে প্রধান বিচারপতি করা হয়েছিল।

নয়াদিল্লি: ভারতের প্রধান বিচারপতি (CJI) বি আর গাওয়াই সম্প্রতি একটি আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্ট এবং হাইকোর্টে বিচারপতিদের নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি দেশের প্রথম সরকারের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন যে, ভারতে বিচারপতিদের নিয়োগ সর্বদা নিরপেক্ষ হয়নি। এই সময় তিনি পণ্ডিত জওহরলাল নেহেরু এবং ইন্দিরা গান্ধীর সরকার কর্তৃক করা দুটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়োগের উল্লেখ করে ব্যাখ্যা করেছেন যে, কীভাবে জ্যেষ্ঠতার নিয়মগুলিকে উপেক্ষা করে প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়েছিল।

কোথায় এবং কেন বক্তব্য দিলেন

প্রধান বিচারপতি গাওয়াই লন্ডনে ব্রিটেনের সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক আয়োজিত 'ন্যায়বিচারের বৈধতা এবং জনসাধারণের আস্থা বজায় রাখা' শীর্ষক একটি গোলটেবিল সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন। একই মঞ্চ থেকে তিনি ভারতের ন্যায়িক নিয়োগ নিয়ে নিজের মতামত ব্যক্ত করেছেন এবং ব্যাখ্যা করেছেন যে, অতীতে কীভাবে সরকারগুলি নিয়মগুলি উপেক্ষা করেছে। তিনি জানিয়েছেন যে, ১৯৯৩ সালের আগে বিচারপতিদের নিয়োগে চূড়ান্ত ক্ষমতা সরকারের কাছে ছিল এবং সেই সময়ে দুবার সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের উপেক্ষা করা হয়েছিল।

নেহেরু সরকার কীভাবে নিয়ম ভেঙেছিল?

প্রধান বিচারপতি গাওয়াইয়ের মতে, ১৯৬৪ সালে যখন দেশের নতুন প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করার সময় এসেছিল, তখন ঐতিহ্য অনুযায়ী বিচারপতি সৈয়দ জাফর ইমাম এবং বিচারপতি হনস রাজ খান্না এই পদে সবচেয়ে উপযুক্ত এবং জ্যেষ্ঠতম প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু সেই সময়ের নেহেরু সরকার স্বাস্থ্যগত কারণ দেখিয়ে তাদের দুজনকেই প্রধান বিচারপতি করা হয়নি। এর পরিবর্তে বিচারপতি পি.বি. গজেন্দ্রগড়করকে ভারতের নতুন প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত করা হয়েছিল।

কোন ছিলেন বিচারপতি পি.বি. গজেন্দ্রগড়কর?

বিচারপতি প্রহ্লাদ বালচন্দ্র গজেন্দ্রগড়কর (P.B. Gajendragadkar) ভারতের সপ্তম প্রধান বিচারপতি ছিলেন। ১৯০১ সালের ১৬ মার্চ মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায় তার জন্ম হয়। তিনি পুণের ডেক্কান কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর এবং পরে আইএলএস ল কলেজ থেকে এলএলবি পড়াশোনা করেছিলেন। ১৯২৬ সালে তিনি বম্বাই বারে আইনজীবী হন এবং ১৯৪৫ সালে বম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। ১৯৫৬ সালে তাকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি করা হয় এবং পরে ১ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৪ সালে দেশের প্রধান বিচারপতি হন। তিনি ১৫ মার্চ ১৯৬৬ পর্যন্ত এই পদে কর্মরত ছিলেন।

গজেন্দ্রগড়করের নিয়োগ নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন

নেহেরু সরকার কর্তৃক জ্যেষ্ঠ বিচারপতিদের উপেক্ষা করে বিচারপতি গজেন্দ্রগড়করকে প্রধান বিচারপতি করা নিয়ে বহু বছর ধরে প্রশ্ন উঠে আসছে। রাজনৈতিক মহল এবং আইনজীবী মহলে এমনটা মনে করা হতো যে, নেহেরু এবং পরবর্তীতে ইন্দিরা গান্ধীর সরকার তাদের ঘনিষ্ঠ এবং 'অনুকূল' বিচারপতিদের অগ্রাধিকার দিয়েছিল। यही কারণে গজেন্দ্রগড়করের উপর এই অভিযোগও ছিল যে, তিনি সরকারের প্রতি নম্র আচরণ রাখতেন।

অবসরের পরেও বিতর্কে ছিলেন গজেন্দ্রগড়কর

প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণের পর পি.বি. গজেন্দ্রগড়করকে আইন কমিশন, শ্রম আয়োগ, মূল্যবৃদ্ধি ভাতা আয়োগ ইত্যাদি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সরকারি আয়োগের দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি জম্মু-কাশ্মীর তদন্ত আয়োগ এবং বনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় তদন্ত আয়োগেরও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বলা হয়, কংগ্রেস সরকারের অনুগ্রহেই তিনি এই সব পদ পেয়েছিলেন, এবং সেজন্য তার ন্যায়িক কর্মজীবনের নিরপেক্ষতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়েছিল।

শান্তি ভূষণ এবং গজেন্দ্রগড়করের বিতর্ক

पूर्व कानून मंत्री शांति भूषण ने अपनी आत्मकथा में पी.बी. गजेंद्रगडकर पर गंभीर आरोप लगाए हैं। उन्होंने लिखा कि गजेंद्रगडकर ने जानबूझकर उन्हें सीजेआई बनने से रोका था। जब शांति भूषण सीजेआई पद के योग्य हो गए थे, तब गजेंद्रगडकर ने उनकी उम्र का हवाला देकर उनकी नियुक्ति रोक दी थी। बाद में जब जनता पार्टी की सरकार बनी और शांति भूषण कानून मंत्री बने, तो गजेंद्रगडकर को डर सताने लगा कि उन्हें लॉ कमीशन के अध्यक्ष पद से हटा दिया जाएगा।

शांति भूषण ने लिखा कि रिटायरमेंट के बाद गजेंद्रगडकर उनसे कई बार मिले और उनसे अनुरोध करते रहे कि उन्हें लॉ कमीशन के अध्यक्ष पद से न हटाया जाए। इससे यह सवाल खड़ा हुआ कि क्या वाकई नेहरू और इंदिरा सरकारों के करीबी होने का लाभ उन्हें मिला था?

Leave a comment