ঔরঙ্গজেবের কবরকে কেন্দ্র করে নগপুরে হিংসা ছড়িয়ে পড়েছে, মহাল-হান্সপুরীতে সংঘর্ষ ও পাথর ছোড়াছুড়ি হয়েছে। অনেক বাড়িঘর ও দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস বলেন, হিংসা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল।
Nagpur violence: মহারাষ্ট্রের নগপুর হিংসার আগুনে জ্বলে উঠেছে। ঔরঙ্গজেবের কবরকে কেন্দ্র করে বিরোধের পর নগপুরের মহাল ও হান্সপুরী এলাকায় দুটি দলের মধ্যে হিংসাত্মক সংঘর্ষ বেধেছে। এ সময় দাঙ্গা-বাঁধিরা প্রচুর পাথর ছুড়েছে এবং অনেক বাড়ি, দোকান এবং গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। এই ঘটনায় এখন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের বক্তব্য প্রকাশ পেয়েছে।
হিংসা পূর্ব পরিকল্পিত ছিল: ফড়নবিস
মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিস এই হিংসাকে পরিকল্পিত বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেছেন যে, দাঙ্গা হঠাৎ করেই ছড়িয়ে পড়েনি, বরং এটি পূর্ব পরিকল্পিত একটি ষড়যন্ত্রের ফল। তিনি আরও বলেছেন যে, সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ‘ছাওয়া’ ঔরঙ্গজেবকে কেন্দ্র করে মানুষের মধ্যে ইতোমধ্যে বিদ্যমান ক্ষোভকে আরও উস্কে দিয়েছে। তবে তিনি সকলকে মহারাষ্ট্রে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
পুলিশে আক্রমণ সহ্য করা হবে না
ফড়নবিস স্পষ্ট করে বলেছেন যে, পুলিশের উপর আক্রমণ কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন যে, দাঙ্গা-বাঁধিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই হিংসায় অনেক পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, যাদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সিসিটিভি ফুটেজে হিংসার উদ্ঘাটন
এই হিংসার অনেক ভিডিও এবং সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে দাঙ্গা-বাঁধিদের জনসম্পত্তি ক্ষতিগ্রস্ত করতে এবং পাথর ছুড়তে দেখা যাচ্ছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (VHP) এবং বজরঙ্গ দলের প্রতিবাদীদের সাথে সংঘর্ষের সময় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। এরপর হিংসা আরও বেড়ে যায় এবং অনেক এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
আবাসিক এলাকায় দাঙ্গা
পুলিশের মতে, গত রাত প্রায় ১০:৩০ টা থেকে ১১:৩০ টার মধ্যে ওল্ড ভান্ডারা রোডের কাছে হান্সপুরী এলাকায় সংঘর্ষ হয়। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, উগ্র জনতারা অনেক গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে এবং বাড়িঘরে ভাঙচুর করেছে। একজন স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন যে, বিকেল প্রায় ৭:৩০ টায় চিটনিস পার্কের কাছে ওল্ড হিসলপ কলেজ এলাকায় হঠাৎ করে জনতা ঢুকে পড়ে এবং বাড়িঘরে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে।