১৭ ফেব্রুয়ারী: নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের বৈঠক

১৭ ফেব্রুয়ারী: নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের বৈঠক
সর্বশেষ আপডেট: 14-02-2025

রাজীব কুমারের কর্মকাল শেষ হওয়ার পর, নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখে প্রধানমন্ত্রী মোদী, রাহুল গান্ধী এবং অর্জুন মেঘওয়ালের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার: আইন মন্ত্রণালয় ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখে নতুন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (CEC) নির্বাচনের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটির বৈঠক ডেকেছে। এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী অর্জুন মেঘওয়াল এবং লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী উপস্থিত থাকবেন। এই বৈঠকটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ বর্তমান মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমারের কর্মকাল ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ তারিখে শেষ হচ্ছে।

রাজীব কুমারের নিয়োগ ও কর্মকাল

মে ২০২২ সালে রাজীব কুমারকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন ২০২৪ সালে সফলভাবে লোকসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত করেছিল। এছাড়াও, এক দশকেরও বেশি সময় পর জম্মু ও কাশ্মীরে শান্তিপূর্ণ বিধানসভা নির্বাচনও তার কর্মকালে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

রাজীব কুমারের সাফল্য ও নির্বাচনের পরিচালনা

মুখ্য নির্বাচন কমিশনার হিসেবে রাজীব কুমার বহু গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের পরিচালনা করেছেন। লোকসভা নির্বাচনের পর, এই বছর মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, ঝাড়খণ্ড এবং দিল্লিতে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২৩ সালে কর্ণাটক, তেলেঙ্গানা, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল, যা তার নেতৃত্বের ক্ষমতা প্রমাণ করে।

রাজীব কুমারের অবসর পরিকল্পনা

জানুয়ারী ২০২৫ সালে দিল্লি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করার সময় রাজীব কুমার তার অবসর পরিকল্পনার কথাও বলেছিলেন। তিনি রসিকতার সঙ্গে বলেছিলেন যে ১৩-১৪ বছর ধরে কাজের চাপে তার ব্যক্তিগত জীবনের জন্য সময় পাননি। এখন, অবসরের পর তিনি হিমালয়ে ভ্রমণে যাবেন, যেখানে চার থেকে পাঁচ মাস একান্তে ধ্যান করবেন।

নতুন নির্বাচন কমিশনার নির্বাচনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ

রাজীব কুমারের কর্মকাল শেষ হওয়ার পর, নির্বাচন কমিশনের নতুন প্রধানের নির্বাচনের জন্য এই বৈঠকটি গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার অধীনে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিয়োগ, সেবা শর্ত এবং কার্যালয়ের মেয়াদ) আইন, ২০২৩-এর বিধানগুলি প্রথমবারের মতো প্রয়োগ করা হচ্ছে, যা এই নিয়োগ প্রক্রিয়াকে আরও বেশি স্বচ্ছ ও সুশৃঙ্খল করে তুলবে।

Leave a comment