প্রধানমন্ত্রী মোদী কেরালের বিঝিনজাম বন্দরের উদ্বোধন করেছেন। তিনি বিরোধীদের উদ্দেশ্যে তোপ দাগ করে বলেছেন, আজকের এই অনুষ্ঠান অনেকেরই ঘুম কেড়ে নেবে, বার্তা পৌঁছে গেছে।
তিরুবনন্তপুরম (কেরল) – শুক্রবার কেরালের উপকূলীয় শহর বিঝিনজামে ভারতের প্রথম গভীর সমুদ্র ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দরের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই অনুষ্ঠানে তিনি বিরোধীদের আক্রমণ করে বলেছেন, “আজকের এই অনুষ্ঠান অনেকেরই রাতের ঘুম কেড়ে নেবে।” প্রধানমন্ত্রী মোদী আরও বলেছেন, “যেখানে বার্তা পাঠানোর দরকার ছিল, সেখানে বার্তা পৌঁছে গেছে।”
৮৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিঝিনজাম আন্তর্জাতিক বন্দর
৮৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে বিঝিনজাম বন্দর। এটি ভারতের প্রথম এমন বন্দর যা বৃহৎ ট্রান্সশিপমেন্ট কনটেইনার জাহাজ পরিচালনা করতে সক্ষম। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, এবার ভারতকে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য বিদেশের উপর নির্ভর করতে হবে না। এখনও পর্যন্ত ভারতের ৭৫% ট্রান্সশিপমেন্ট কার্যকলাপ বিদেশী বন্দরগুলিতে হত, যার ফলে দেশের রাজস্ব ক্ষতি হত। কিন্তু এখন সেই পরিস্থিতি বদলাতে চলেছে।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোটের উপর আক্রমণ
প্রধানমন্ত্রী মোদী তার বক্তৃতায় সরাসরি কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাম না নিলেও তাঁর উপর ব্যঙ্গ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই অনুষ্ঠানের বার্তা সেখানে পৌঁছে গেছে যেখানে পৌঁছানোর দরকার ছিল। মঞ্চে উপস্থিত মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন ও কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের উপস্থিতির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী বিজয়ন এখানে বসে আছেন, থারুরও আছেন – ইন্ডিয়া জোটের প্রধান স্তম্ভদের মধ্যে। আজকের এই অনুষ্ঠান তাদের কাছেও স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে।”
আদানি গ্রুপের উল্লেখ: “গুজরাটের চেয়ে ভালো বন্দর কেরালে”
বিঝিনজাম বন্দর প্রকল্প পরিচালনা করা আদানি গ্রুপের প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেছেন, “আদানি যেভাবে কেরালে চমৎকার বন্দর তৈরি করেছে, তেমন ভালো বন্দর গুজরাটেও নেই।” এর থেকে স্পষ্ট হচ্ছে যে প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন।
আদি শঙ্করাচার্যের জন্মদিনে জাতি গঠনের বার্তা
আজকের দিনটি ছিল আদি শঙ্করাচার্যের জন্মদিন। এই উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে বলেছেন, “আদি শঙ্করাচার্য সমগ্র ভারতকে এক আধ্যাত্মিক সূত্রে বেঁধেছিলেন এবং জাতীয় চেতনাকে জাগ্রত করেছিলেন। তাঁর শিক্ষা আজও প্রাসঙ্গিক।”