লখনউতে করোনাভাইরাসের ৮ নতুন সংক্রমণ

🎧 Listen in Audio
0:00

লখনউয়ের রাজধানীতে করোনাভাইরাস আবারও নিজের উপস্থিতি টের করিয়ে দিয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় মোট ৮ জন নতুন পজিটিভ কেস পাওয়া গেছে, যাদের মধ্যে কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (KGMU) -এর একজন রেসিডেন্ট ডাক্তার, একজন মেডিকেল ছাত্র এবং একজন হৃদরোগে আক্রান্ত বৃদ্ধ রোগী রয়েছেন।

উত্তর প্রদেশ: রাজধানী লখনউতে করোনাভাইরাস আবারও আঘাত হানল। গত ২৪ ঘন্টায় শহরে কোভিড-১৯ এর ৮ জন নতুন সংক্রমিত রোগীর সন্ধান পাওয়া গেছে, যার ফলে স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্বেগ বেড়েছে। সাম্প্রতিক ঘটনাগুলিতে কিং জর্জ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (KGMU)-এর একজন রেসিডেন্ট ডাক্তার এবং একজন মেডিকেল ছাত্রের পজিটিভ ধরা পড়ায় চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানগুলিতেও সতর্কতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

এছাড়াও, একজন সংক্রমিত রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত একজন বৃদ্ধ, যিনি আগে থেকেই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাঁদের সংস্পর্শে আসা লোকদের ট্রেসিং এবং টেস্টিং শুরু হয়েছে।

সংক্রমণের বর্তমান অবস্থা

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, লখনউতে বুধবার পর্যন্ত মোট ৮ জন নতুন কোভিড-১৯ সংক্রমিত রোগী পাওয়া গেছে। এর মধ্যে ৩ জন কেস KGMU থেকে, ২ জন কেস একটি বেসরকারি ল্যাবের টেকনিশিয়ান এবং তার আত্মীয়ের সাথে সম্পর্কিত এবং ৩ জন কেস বিভিন্ন এলাকা থেকে এসেছে। এই সকল রোগীদের হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে এবং তাদের অবস্থা স্থির বলে জানানো হয়েছে।

KGMU কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, রেসিডেন্ট ডাক্তার হালকা জ্বর এবং গলা ব্যথার অভিযোগে পরীক্ষা করেছিলেন এবং রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মেডিকেল ছাত্রটিও একই বিভাগের সাথে যুক্ত ছিল এবং উভয়ের ভ্রমণের ইতিহাস বর্তমানে স্থানীয় বলে জানানো হয়েছে।

বৃদ্ধ রোগীর রিপোর্ট উদ্বেগ বৃদ্ধি করেছে

একজন ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধ, যিনি হার্ট ব্লকেজের সমস্যার কারণে KGMU-এর কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি ছিলেন, তাঁর রিপোর্টও কোভিড পজিটিভ এসেছে। তাঁর হালকা কাশি এবং শ্বাসকষ্টের লক্ষণ ছিল। চিকিৎসকদের মতে, তাঁর চিকিৎসা চলছে এবং অক্সিজেন লেভেল নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বৃদ্ধের অবস্থা দেখে তাঁকে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

রিপোর্ট পজিটিভ আসার সাথে সাথেই KGMU কর্তৃপক্ষ এবং স্বাস্থ্য বিভাগ অবিলম্বে এক্টিভ কন্টাক্ট ট্রেসিং শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত মোট ৩৮ জনের সন্ধান পাওয়া গেছে, যারা এই রোগীদের সাথে সরাসরি যোগাযোগে ছিলেন। তাদের সকলের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে এবং রিপোর্টের অপেক্ষা করা হচ্ছে। হাসপাতাল চত্বরেও স্যানিটাইজেশন অভিযান চালানো হয়েছে এবং যে ওয়ার্ডে সংক্রমিত রোগী ভর্তি ছিলেন, তা অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

ডাঃ আর.কে. বর্মা (ভাইরোলজিস্ট, KGMU) বলেন, যদিও এটি একটি নগণ্য সংখ্যা, তবে এটি ইঙ্গিত দেয় যে ভাইরাসটি এখনও চলে যায়নি। পরিবর্তিত আবহাওয়া, জনসমাগম এবং ঢিলামি বার্তার ফলে আবারও সংক্রমণ ছড়াতে পারে। লোকদের মাস্ক, হাত ধোয়া এবং জনসমাগম থেকে দূরত্ব বজায় রাখার মতো নিয়মগুলি ভুলে গেলে চলবে না। স্বাস্থ্য বিভাগ শহরের সকল বড় হাসপাতালকে সতর্কতা জারি করেছে।

এছাড়াও RT-PCR টেস্টিং এর সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে। KGMU সহ অন্যান্য মেডিকেল প্রতিষ্ঠানকে কোভিড প্রোটোকল কঠোরভাবে পালন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনগণের কাছে আবেদন করা হয়েছে যে, যদি তাদের सर्दी, কাশি, জ্বর বা শ্বাসকষ্ট হয়, তাহলে অবিলম্বে পরীক্ষা করানো এবং নিজেকে আইসোলেট করা উচিত।

Leave a comment