কাঁচি ধামের ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবস: ১৫ জুন ব্যাপক আয়োজন

🎧 Listen in Audio
0:00

১৫ই জুন নৈনিতালের কাঁচি ধামে ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবস পালিত হবে। দেশ-বিদেশ থেকে বহুসংখ্যক ভক্তের আগমন ঘটবে। প্রশাসন ট্রাফিক ডাইভারশন এবং প্রসাদ বিতরণের বিস্তৃত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।

নৈনিতাল নিউজ: নৈনিতাল জেলার ভবালি অঞ্চলে অবস্থিত প্রসিদ্ধ কাঁচি ধাম মন্দিরের ৬১তম প্রতিষ্ঠা দিবস ১৫ই জুন ২০২৫ খ্রিস্টাব্দে সম্পূর্ণ ভক্তি ও উল্লাসের সাথে পালিত হবে। বাবা নীম কারৌলি মহারাজ কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত এই ধাম কেবলমাত্র দেশ নয়, বিদেশ থেকেও লক্ষ লক্ষ ভক্তের আস্থার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। প্রতি বছর এই দিনে হাজার হাজার ভক্ত এখানে আগমন করে, যার ফলে সমগ্র অঞ্চলে উৎসবের পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

বাবা নীম কারৌলি মহারাজ এবং কাঁচি ধামের গুরুত্ব

কাঁচি ধামের প্রতিষ্ঠা ১৯৬৪ সালে বাবা নীম কারৌলি মহারাজ কর্তৃক করা হয়েছিল। এই স্থান আধ্যাত্মিকতা এবং সাধনার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত। বাবার অনুসারীদের মধ্যে অ্যাপলের প্রাক্তন সিইও স্টিভ জবস এবং ফেসবুকের মার্ক জুকারবার্গের মতো নামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যারা এখানে এসে অনুপ্রেরণা লাভ করেছেন। এ কারণেই আজও আমেরিকা, ইউরোপ এবং এশিয়ার অনেক দেশ থেকে ভক্তরা এখানে আগমন করে।

ভক্তদের সুবিধার্থে ট্রাফিক পরিকল্পনা কার্যকর

প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে অত্যধিক জনসমাগমের বিষয়টি বিবেচনা করে নৈনিতাল জেলা প্রশাসন ১৪ই জুন সকাল ৮টা থেকে ১৫ই জুন সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত বিশেষ ট্রাফিক পরিকল্পনা কার্যকর করেছে। এই সময়কালে ভবালি-কাঁচি ধাম পথে যানবাহনের চলাচল সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

  • কাঠগোদাম-জ্যোলিকোট থেকে আগত যানবাহন ভবালি-রামগড়-নাথুওয়াখান হয়ে কুয়ারব দিকে পাঠানো হবে।
  • হালদ্বানী থেকে ভীমতাল আগত যানবাহন খুটানী-ধানাচুলি হয়ে অলমোড়া দিকে যাবে।
  • অলমোড়া থেকে হালদ্বানী আগত যানবাহন কুয়ারব-নাথুওয়াখান-রামগড়-ভবালি রুট দিয়ে পাঠানো হবে।
  • এসপি সিটি ডাঃ জগদীশ চন্দ্র জানিয়েছেন, কেবলমাত্র জরুরী বা প্রয়োজনীয় সেবা সংশ্লিষ্ট যানবাহনকেই এই সময় কাঁচি ধাম পথে অনুমতি দেওয়া হবে।

তিন দিন মালপুয়া প্রসাদ বিতরণ

কাঁচি ধামে প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর বিশেষভাবে মালপুয়া প্রসাদ বিতরণ করা হয়, যা এখানকার পরিচয় হয়ে উঠেছে। এবার জনসমাগমের বিষয়টি বিবেচনা করে এই প্রসাদ কেবলমাত্র ১৫ই জুন নয়, ১৬ ও ১৭ জুনও ভক্তদের দেওয়া হবে। এ কথা এডিএম বিবেক রায় জানিয়েছেন। এর উদ্দেশ্য হলো যাতে কোন ভক্ত প্রসাদ থেকে বঞ্চিত না হয় এবং জনসমাগম সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের জন্য কঠোর ব্যবস্থা

  • ১৫ই জুন মন্দিরে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসন বিস্তৃত পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।
  • মন্দিরের প্রধান দ্বারে এসডিএম ধারী এবং জেলা পর্যটন কর্মকর্তাকে নিয়োজিত করা হয়েছে।
  • মন্দিরে একসাথে সীমিত সংখ্যক ভক্তকেই প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।
  • যখনই পিছনের দরজা দিয়ে ভক্তরা বের হবে, তখনই নতুন ভক্তদের প্রবেশ দেওয়া হবে।

প্রশাসন এবং মন্দির কমিটির আবেদন

প্রশাসন ভক্তদের প্রতি আবেদন জানিয়েছে যে তারা প্রশাসনের নির্দেশাবলী মেনে চলবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সহযোগিতা করবে। মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সকল ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হচ্ছে, যার মধ্যে পানীয় জল, স্বাস্থ্য সুবিধা, প্রসাদ বিতরণ এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অন্যতম।

Leave a comment