ভিজিলেঞ্স বিভাগ জালন্ধর পুরসভার সাবেক সহকারী টাউন প্ল্যানার (এটিপি) সুখদেব বশিষ্ঠের সাথে জড়িত দুর্নীতির মামলায় রমন অরোড়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। উল্লেখ্য, সুখদেব বশিষ্ঠকে সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
চণ্ডীগড়: পাঞ্জাবের ভগবন্ত মান সরকার আবারও প্রমাণ করেছে যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে তাদের অভিযানে কোনও ব্যতিক্রম নেই। শুক্রবার পাঞ্জাব ভিজিলেঞ্স ব্যুরো সাধারণ মানুষের দলের জালন্ধর সেন্ট্রাল থেকে বিধায়ক রমন অরোড়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে।
এই অভিযানের মূল জালন্ধর পুরসভার সাবেক সহকারী নগর পরিকল্পক (এটিপি) সুখদেব বশিষ্ঠের সাথে জড়িত একটি বহুল আলোচিত দুর্নীতির মামলায় নিহিত। কয়েকদিন আগে ভিজিলেঞ্স বিভাগ সুখদেব বশিষ্ঠকে হেফাজতে নিয়েছিল এবং এখন এই মামলায় বিধায়ক রমন অরোড়ার নাম উঠে এসেছে।
কী অভিযোগ?
প্রাথমিক তদন্ত অনুযায়ী, বিধায়ক রমন অরোড়ার উপর অভিযোগ রয়েছে যে তিনি পুরসভার কিছু কর্মকর্তার সাথে মিলে সাধারণ নাগরিকদের জাল নোটিশ পাঠিয়েছেন। এই নোটিশগুলির মাধ্যমে মানুষকে আইনি ব্যবস্থার হুমকি দেওয়া হতো এবং তারপর মামলা মীমাংসার নামে তাদের কাছ থেকে ব্যাপক অর্থ আদায় করা হতো।
সূত্র অনুযায়ী, সুখদেব বশিষ্ঠ এই অবৈধ কাজের প্রধান হাতিয়ার ছিলেন, যাকে অরোড়া কথিতভাবে নিয়ন্ত্রণ করছিলেন। এটাও বলা হচ্ছে যে বছরের পর বছর ধরে এই ব্যবস্থা সুষ্ঠুভাবে চলছিল, যতক্ষণ না কিছু ভুক্তভোগী ভিজিলেঞ্সে অভিযোগ জানায়।
আপ দলের কঠোর প্রতিক্রিয়া
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, পাঞ্জাব পুলিশ প্রায় ১০ দিন আগেই রমন অরোড়ার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল। তার কাছে নিয়োজিত ১৪ জন নিরাপত্তাকর্মীকে হঠাৎ সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এই পদক্ষেপটিকে তখন সাধারণ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত বলা হলেও, এখন পরিষ্কার হচ্ছে যে ভিজিলেঞ্সের প্রস্তুতি আগে থেকেই চলছিল।
আম আদমি পার্টি এই বিষয়ে স্পষ্ট স্থিতি গ্রহণ করেছে। দলের অফিসিয়াল সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করে বলা হয়েছে, “দোষী আমাদেরই হোক না কেন, দুর্নীতি কোনওভাবেই সহ্য করা হবে না। আইন নিজের কাজ করবে।” দল এটাও স্পষ্ট করেছে যে, যদি তদন্তে অরোড়া দোষী প্রমাণিত হন, তাহলে তাকে দল থেকে বের করে দেওয়ার ক্ষেত্রেও দেরি করা হবে না।
বিধায়কের বিরুদ্ধে ভিজিলেঞ্সের অভিযান পাঞ্জাবের রাজনীতিতে নতুন মোড় নিয়ে এসেছে। বিরোধী দল, বিশেষ করে কংগ্রেস এবং আকালি দল এই পুরো ঘটনার তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে। কংগ্রেস প্রশ্ন তুলেছে যে এ ধরণের ব্যক্তিদের কেন টিকিট দেওয়া হয়েছিল, আর আকালি দল আপের উপর ‘দুর্নীতির ভান’ করার অভিযোগ এনেছে।