হরিয়ানায় এইচকেআরএনএল-এর অধীনে ঠিকাভিত্তিক কর্মীদের ছাঁটাই নিয়ে বিতর্ক তীব্র হয়ে উঠেছে। সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, ১.১০ লক্ষ যুবক নিয়োগের নিরাপত্তা পাবেন না। ১২০০ কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
হরিয়ানা সংবাদ: হরিয়ানার কৌশল রোজগার নিগম (এইচএসইআরসি)-এর অধীনে কর্মরত ঠিকাভিত্তিক কর্মীদের বরখাস্ত নিয়ে রাজনীতি গরম হয়ে উঠেছে। কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং সাংসদ রandeep সিং সুরজেওয়ালা দাবি করেছেন যে, এইচএসইআরসি-এর অধীনে ১.২০ লক্ষ যুবকের মধ্যে ১.১০ লক্ষ যুবকের নিয়োগ ২০২০-২১ অথবা তার পরে হয়েছিল। তিনি বলেছেন যে, এই কর্মীরা ৫ বছরের কম সময় ধরে কর্মরত আছেন, যার ফলে সরকার যেকোনো সময় তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে পারে।
সুরজেওয়ালার গুরুতর অভিযোগ
শনিবার দিল্লিতে গণমাধ্যমের সাথে আলাপকালে সুরজেওয়ালা জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ১২০০ ঠিকাভিত্তিক কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন যে, ২৫ মার্চ প্রকাশিত একটি আদেশ অনুসারে, যদি কোনো কর্মীকে ৩১ মার্চের পরে চাকরিতে রাখা হয়, তাহলে হরিয়ানা কর্মী নির্বাচন কমিশন (এইচএসএসসি) এবং অর্থ বিভাগের লিখিত অনুমোদন অপরিহার্য হবে। অনুমোদন ছাড়া হাজার হাজার কর্মীকে চাকরি থেকে বাদ দেওয়া যেতে পারে।
মুখ্য সচিবের আদেশের উল্লেখ
সুরজেওয়ালা মুখ্য সচিব কর্তৃক জারি আদেশের উল্লেখ করে বলেছেন যে, কেবলমাত্র সেই কর্মীরা যাদের নিয়োগ ১৫ আগস্ট ২০১৯-এর আগে হয়েছিল, তারাই চাকরির নিরাপত্তা পাবে। এর পরে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মীদের "প্রথমে আসা, প্রথমে যাওয়া" নীতি অনুসারে বরখাস্ত করা হবে। তিনি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনিয়মেরও প্রশ্ন তুলেছেন এবং বলেছেন যে, নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় এবং বাইরের প্রার্থীদের চাকরি দেওয়া হয়।
কোন কোন বিভাগে ছাঁটাই হয়েছে
- ২ এপ্রিল ২৫২ জন পিজিটি শিক্ষককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।
- ১৯ মার্চ সেচ বিভাগে ১২৮ জন ঠিকাভিত্তিক কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়।
- ৩১ মার্চ বন বিভাগ ফতেহাবাদ, সিরসা এবং পানিপত-এ ঠিকাভিত্তিক কর্মীদের বরখাস্ত করে।
- ৩১ মার্চ পঞ্চায়েত রাজ বিভাগ কর্নাল, জাগাধরী এবং ছছরৌলি-তে কর্মীদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করে।