গুজরাটের ভাবনগরের একটি সরকারি মেডিকেল কলেজে দুই ইন্টার্ন ছাত্রের সাথে মারধরের ঘটনা সামনে এসেছে। অভিযোগ, ভুক্তভোগী ছাত্ররা ইনস্টাগ্রামে কিছু রসিকতা শেয়ার করেছিল, যার ফলে তাদের ব্যাচমেট ও সিনিয়ররা ক্ষুব্ধ হয়েছিল।
গান্ধীনগর: গুজরাটের ভাবনগরে সরকারি মেডিকেল কলেজের দুই ইন্টার্ন ছাত্রের সোশ্যাল মিডিয়ায় রসিকতা শেয়ার করা তাদের জন্য ভারী পড়েছে। প্রকৃতপক্ষে, ইন্টার্ন ছাত্রদের সিনিয়র ও ব্যাচমেটরা তাদের বন্দী করে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করেছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মামলা রুজু করেছে। অন্যদিকে, কলেজ কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাকে র্যাগিং মনে করে চারজন অভিযুক্ত ছাত্রকে তৎক্ষণাৎ বরখাস্ত করেছে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছে, ইনস্টাগ্রামে তাদের শেয়ার করা রসিকতা নিয়ে তাদের কিছু ব্যাচমেট ও একজন সিনিয়র তাদেরকে কথিতভাবে আটকে রেখে মারধর করেছে।
কিভাবে বিবাদ শুরু হল?
ভুক্তভোগী ছাত্র ইশান কোটক ও অমন যোশীর মতে, এই ঘটনা তখন ঘটে যখন তাদের কিছু ব্যাচমেট ও একজন সিনিয়র ছাত্র কলেজে অনুষ্ঠিত খেলাধুলা ও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়েছিল। অমন যোশী জানিয়েছে, রাতের দেরিতে চারজন ব্যাচমেট ও একজন সিনিয়র তার হস্টেলের ঘরে ঢুকে তাকে জোর করে অন্য কক্ষে নিয়ে গিয়ে থাপ্পড় মারে, গালিগালাজ করে এবং হুমকি দেয়।
এইভাবেই ইশান কোটক তার অভিযোগে জানিয়েছে যে, তাকে হস্টেলের বাইরে ডেকে নিয়ে জোর করে একটি গাড়িতে তুলে নেওয়া হয় এবং শহরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে তার সাথে মারধর করা হয়।
কলেজ কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের ব্যবস্থা
ঘটনার অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে কলেজ কর্তৃপক্ষ এটিকে র্যাগিং মনে করে তৎক্ষণাৎ চার ছাত্রকে স্থগিত করে এবং তাদের প্রমাণপত্র জব্দ করার সিদ্ধান্ত নেয়। মেডিকেল কলেজের ডিন ডাঃ সুশীল ঝা জানিয়েছেন, ১১ সদস্যের একটি অ্যান্টি-র্যাগিং কমিটি এই ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। পুলিশ অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে বন্দীকরণ, ইচ্ছাকৃত আঘাত, শান্তিভঙ্গ ও জনসমক্ষে অশ্লীল ভাষা ব্যবহারের মতো বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এই ঘটনা শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টকে কেন্দ্র করে ক্ষোভের সাথে জড়িত নয়, বরং কলেজগুলিতে বেড়ে উঠা র্যাগিংয়ের প্রবণতাকেও তুলে ধরে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কঠোর আইন ও কলেজ কর্তৃপক্ষের সতর্কতা সত্ত্বেও র্যাগিংয়ের মতো ঘটনা থামছে না।