দিল্লি নির্বাচন ২০২৫: কংগ্রেসের পুনরুত্থানের আশা, বিজেপি ও আপ-এর চ্যালেঞ্জ

🎧 Listen in Audio
0:00

২০২৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে ৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ এবং ৮ই ফেব্রুয়ারি ফলাফল ঘোষণা করা হবে। কংগ্রেস জনসমর্থন ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করছে, আর বিজেপির জন্য ২৭ বছরের বনবাস শেষ করার চ্যালেঞ্জ।

দিল্লি নির্বাচন ২০২৫: ২০২৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য ৫ই ফেব্রুয়ারি ভোটগ্রহণ এবং ৮ই ফেব্রুয়ারি ফলাফল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচনের তারিখ কাছে আসার সাথে সাথে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলির নেতারা জনসংযোগ তীব্র করে তুলছেন। কংগ্রেস, যারা গত দুটি বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিযোগিতার বাইরে ছিল, এখন তাদের হারানো শক্তি ফিরে পাওয়ার জন্য মাঠে নেমেছে। অন্যদিকে, বিজেপির সামনে ২৭ বছরের বনবাস শেষ করার চ্যালেঞ্জ রয়েছে। आम आदमी पार्टी (AAP) কে তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে। এই সবের মাঝে, কংগ্রেস তাদের রাজনীতিতে পুনরায় অস্তিত্ব স্থাপনের জন্য পুরো শক্তি দিয়ে সংগ্রাম করছে।

কংগ্রেসে বৃদ্ধি পেয়েছে উৎসাহ: হারানো জনসমর্থন ফিরে পাওয়ার আশা

কংগ্রেস নেতাদের মধ্যে এবার নির্বাচন নিয়ে প্রচুর উৎসাহ রয়েছে। কংগ্রেসের প্রবীণ নেতাদের দাবি, এবার দল কেবল তাদের হারানো জনসমর্থন ফিরে পাবে না, বরং প্রতিটি আসনেই তারা শক্তিশালীভাবে প্রতিযোগিতা করবে। তাদের ধারণা, সরকার বিরোধী ঢেউ এবং आम आदमी पार्टी-এর বিরুদ্ধে ‘অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি’ একটি গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র হিসেবে দেখা হচ্ছে। কংগ্রেস আরও বলছে, দিল্লিতে পরিবর্তনের মনোভাব দেখা যাচ্ছে এবং দলের ঘোষণায় জনগণের সমস্যার সমাধান লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

গত নির্বাচনে কংগ্রেসের অবস্থান

২০১৫ এবং ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের কর্মক্ষমতা হতাশাজনক ছিল, কারণ সে সময় প্রধান লড়াই आम आदमी पार्टी এবং বিজেপির মধ্যে ছিল। কিন্তু এবার কংগ্রেস তাদের পুরো শক্তি 쏟কে দিয়েছে এবং কর্মী থেকে নেতা সবাই উৎসাহিত। গত দুটি নির্বাচনে কংগ্রেস মাত্র ৯টি আসন পেয়েছিল, কিন্তু এখন দল দিল্লির ক্ষমতায় ফিরে আসার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।

কংগ্রেসের নতুন কৌশল: শক্তিশালী প্রার্থী এবং পরিবর্তনের ঘোষণা

কংগ্রেস এবার তাদের নির্বাচনী কৌশলে পরিবর্তন এনেছে এবং পুরো রাজ্যে সংগঠনকে শক্তিশালী করেছে। দল এবার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তাদের প্রার্থীদের তালিকা সময়ের আগেই প্রকাশ করেছে। কংগ্রেসের ধারণা, শীলা দীক্ষিতের ১৫ বছরের শাসনামলে দিল্লিতে যে উন্নয়ন হয়েছিল, তা আজও মানুষের মনে রয়েছে। দল সমাজের সকল শ্রেণীর জন্য কেবল ঘোষণা দেয়নি, বরং নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণের প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতিও জানিয়েছে। দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি দেবেন্দ্র যাদব বলছেন, কংগ্রেসই দিল্লিকে স্থায়ী এবং শক্তিশালী সরকার দিতে পারে।

কংগ্রেসের ঘোষণাপত্র: বিনামূল্যে গ্যারান্টি এবং সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনা

কংগ্রেস এবার বিনামূল্যে গ্যারান্টি এবং সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনার ঘোষণা করেছে। দলের দাবি, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড, হিমাচল প্রদেশ এবং তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস তাদের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পুরোপুরি পালন করেছে এবং এখন দিল্লিতেও একই সাফল্য পুনরাবৃত্তি হবে। যাদবের মতে, কংগ্রেসের পরিকল্পনা এবং দৃষ্টিভঙ্গি দেখে দিল্লির জনতা এবার দলকে সমর্থন দেবে।

কংগ্রেসের প্রার্থীদের তালিকা: সকল ৭০ আসনে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায়

কংগ্রেস ২০২৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ করেছে। সকল ৭০ আসনে কংগ্রেস তাদের প্রার্থী দিয়েছে এবং দলের ধারণা, প্রতিটি আসনে প্রতিযোগিতা হবে। গুরুত্বপূর্ণ আসনগুলিতে কংগ্রেস শক্তিশালী প্রার্থীদের দিয়েছে যারা দলের আশা পূরণ করার জন্য পুরোপুরি পরিশ্রম করবে।

নারেলা: অরুণা কুমারী (কংগ্রেস)
বুরারি: মঙ্গেশ ত্যাগী (কংগ্রেস)
তিমারপুর: লোকেন্দ্র চৌধুরী (কংগ্রেস)
আদর্শনগর: শিবঙ্ক সিংহল (কংগ্রেস)
বাদলি: দেবেন্দ্র যাদব (কংগ্রেস)
রিঠালা: সুশান্ত মিশ্র (কংগ্রেস)
বাবনা: সুরেন্দ্র কুমার (কংগ্রেস)
মুন্ডকা: ধর্মপাল লকড়া (কংগ্রেস)
কিরারি: রাজেশ গুপ্তা (কংগ্রেস)
সুলতানপুর মাজরা: জয়কিশন (কংগ্রেস)
ন্যাঙ্গলোই জাট: রোহিত চৌধুরী (কংগ্রেস)

কংগ্রেসের কৌশল এখন পর্যন্ত সকল ৭০টি বিধানসভা আসনে স্পষ্ট এবং দল তাদের পুরো শক্তি দিয়ে এই আসনগুলিতে জোরালো প্রতিযোগিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। প্রার্থী নির্বাচন থেকে জনসংযোগ পর্যন্ত, কংগ্রেস এবার নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেতে তাদের পুরো পরিকল্পনা তৈরি করেছে।

বিজেপি এবং AAP-এর সামনে চ্যালেঞ্জ

আম आदमी पार्टी-এর সামনে তাদের ক্ষমতা ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ রয়েছে, আর বিজেপির জন্য ২৭ বছর পর দিল্লিতে ফিরে আসার পথ সহজ নয়। বিজেপি গত ছয়টি বিধানসভা নির্বাচনে দিল্লির জনতার কাছ থেকে কখনও ৩২%, কখনও ৩৪% এবং কখনও ৩৮% ভোট পেয়েছে, কিন্তু এবার বিজেপিকে তাদের অবস্থান শক্তিশালী করার জন্য প্রতিটি ভোটের গুরুত্ব বুঝতে হবে।

শেষ পর্যন্ত, কংগ্রেসের ধারণা, ২০২৫ সালের দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনে তারা তাদের হারানো শক্তি ফিরে পাবে এবং সরকার বিরোধী ঢেউয়ের সুযোগ নিয়ে একটি শক্তিশালী সরকার গঠন করতে পারবে।

Leave a comment