দিল্লির বেসরকারি স্কুলের ফি নিয়ন্ত্রণে নতুন আইন

🎧 Listen in Audio
0:00

দিল্লির কেবিনেট স্কুল ফি আইনকে অনুমোদন দিল, যার ফলে বেসরকারি স্কুলগুলির ফি বৃদ্ধির উপর নিয়ন্ত্রণ থাকবে। এই আইনের ফলে ১৬৭৭টি স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও তাদের অভিভাবকরা স্বস্তি পাবেন।

দিল্লি সংবাদ: দিল্লির লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীর অভিভাবকদের জন্য একটি বড় সুসংবাদ এল। দিল্লি সরকারের কেবিনেট স্কুল ফি আইনকে অনুমোদন দিয়েছে, যার ফলে বেসরকারি স্কুলগুলির ইচ্ছামত ফি বৃদ্ধির উপর নিয়ন্ত্রণ আসবে। এই সিদ্ধান্ত বিশেষ করে সেইসব অভিভাবকদের জন্য বড় স্বস্তি এনে দেবে, যারা প্রতি বছর বাড়তে থাকা ফি নিয়ে চিন্তিত ছিলেন।

এখনও পর্যন্ত ফি নিয়ন্ত্রণের কোনও আইন ছিল না

দিল্লির বেসরকারি স্কুলগুলির ফি নির্ধারণ এবং বৃদ্ধিকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এখনও পর্যন্ত কোনও স্পষ্ট আইন ছিল না। শিক্ষামন্ত্রী আশীষ সুদ জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল অভিভাবকদের সমস্যা শুনে এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন এবং স্কুলগুলিকে নোটিশও জারি করেছেন। কিন্তু স্থায়ী সমাধানের জন্য আইন প্রয়োজন ছিল। এই কারণেই 'দিল্লি স্কুল এডুকেশন ট্রান্সপারেন্সি ইন ফিক্সেশন অ্যান্ড রেগুলেশন অফ ফি-২০২৫' কে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

৬৫ দিনে তৈরি হল বিল, ১৬৭৭ স্কুলে প্রভাব পড়বে

সরকারের দাবি, এই বিল মাত্র ৬৫ দিনে তৈরি হয়েছে, যা সুশাসনের উদাহরণ। এর প্রয়োগের ফলে দিল্লির ১৬৭৭টি বেসরকারি স্কুল এবং সেখানে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকরা সরাসরি স্বস্তি পাবেন। এর আগে ১৯৭৩ সালের শিক্ষা আইনে ফি বৃদ্ধির উপর কোনও কঠোর নিয়ন্ত্রণ ছিল না।

তিনস্তরীয় কমিটি ফি নির্ধারণ করবে

এই আইনের অধীনে তিন স্তরে কমিটি গঠন করা হবে, যারা ফি বৃদ্ধির উপর নজরদারি করবে:

স্কুল স্তরীয় কমিটি – ১০ সদস্যের কমিটি হবে, যাতে স্কুল কর্তৃপক্ষ, শিক্ষক এবং ৫ জন অভিভাবক থাকবেন। এতে SC/ST এবং নারী প্রতিনিধির অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক হবে। এই কমিটি স্কুলের প্রয়োজন এবং অবকাঠামোর উপর ভিত্তি করে ফি নির্ধারণ করবে।

জেলা স্তরীয় কমিটি – ডেপুটি ডিরেক্টর অফ এডুকেশনের অধ্যক্ষতায় গঠিত এই কমিটি তখন সক্রিয় হবে যখন স্কুল স্তরে সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে না।

রাষ্ট্রীয় স্তরীয় কমিটি – ৭ সদস্যের এই কমিটি চূড়ান্ত আপিলের শুনানি করবে। যদি স্কুলের ১৫% অভিভাবক কোনও সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট হন, তাহলে তারা আপিল করতে পারবেন।

নিয়ম ভাঙলে ভারী জরিমানা এবং স্বীকৃতি বাতিল

যদি কোনও স্কুল এই আইন লঙ্ঘন করে, তাহলে তার উপর ১ লক্ষ থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা যেতে পারে। সাথে সাথে স্কুলের স্বীকৃতি বাতিল এবং কর্তৃপক্ষ ভেঙে সরকারের অধীনে আনার পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব।

এই নয়, যদি ফি না দেওয়ার জন্য কোনও শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা হয়, তাহলে প্রতি শিক্ষার্থীর জন্য ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। যদি ২০ দিনের মধ্যে সমাধান না হয়, তাহলে এই জরিমানা তিনগুণ হবে এবং স্কুলের স্বীকৃতিও বাতিল হতে পারে।

Leave a comment