NIA দিল্লি থেকে একজন CRPF জওয়ানকে গ্রেফতার করেছে। অভিযোগ, সে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানকে গোপন তথ্য পাঠাচ্ছিল। অপারেশন সিন্দুরের অধীনে এটি একটি বড় অভিযান।
India Pakistan Tension: ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (NIA) দিল্লি থেকে এক অবাক করা তথ্য প্রকাশ করেছে। একজন CRPF জওয়ানকে গ্রেফতার করা হয়েছে যার উপর পাকিস্তানকে ভারতের গোপন তথ্য পাঠানোর অভিযোগ আছে। এই গ্রেফতারির পর দেশের সুরক্ষা সংস্থাগুলির সতর্কতা ও নজরদারির বিষয়ে আবারও আলোচনা শুরু হয়েছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ধরা পড়া জওয়ানটির সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানের গোয়েন্দা এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ হয়েছিল। এরপর সে নিয়মিত সংবেদনশীল তথ্য পাকিস্তানে পাঠাচ্ছিল। এর বিনিময়ে সে টাকাও পেত। এই সম্পূর্ণ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিন্দুর’, যার অধীনে দেশজুড়ে গোয়েন্দাগিরির ঘটনাগুলি ট্র্যাক করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরই অধীনে সম্প্রতি ইউটিউবার জ্যোতি মলহোত্রাকেও গ্রেফতার করা হয়েছিল, যার উপরও পাকিস্তানি এজেন্টদের গোপন তথ্য দেওয়ার অভিযোগ আছে।
সোশ্যাল মিডিয়া গোয়েন্দাগিরির নতুন আস্তানা
জানা গেছে, এই CRPF জওয়ানটি সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে পাকিস্তানে বসবাসকারী এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করেছিল। সে WhatsApp, Facebook এবং অন্যান্য অ্যাপ ব্যবহার করছিল। এজেন্টরা তাকে টাকা দিয়ে ভারতের ভেতরের সংবেদনশীল তথ্য, সুরক্ষা ঘাঁটির অবস্থান এবং সেনাবাহিনীর চলাচলের মতো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে বলেছিল। এই জওয়ান বারবার এই তথ্য পাঠিয়েছিল।
CRPF জওয়ানকে বরখাস্ত করেছে, তদন্তে ব্যস্ত NIA
গ্রেফতারির পর CRPF জওয়ানটিকে নিয়ম অনুযায়ী চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। NIA-এর দল তার সাথে নিয়মিত জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এখন এই নেটওয়ার্কে আরও কেউ জড়িত কিনা তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এখন জওয়ানের কাছে জিজ্ঞাসা করা হচ্ছে যে সে কতগুলি তথ্য পাকিস্তানে পাঠিয়েছে, কতবার টাকা পেয়েছে এবং কতজন এই ঘটনায় জড়িত।
অপারেশন সিন্দুরের পর অনেক গুপ্তচর ধরা পড়েছে
এটি প্রথম ঘটনা নয়। অপারেশন সিন্দুরের অধীনে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে গুপ্তচর ধরা পড়েছে। জ্যোতি মলহোত্রা নামের ইউটিউবারের নামও বেশ আলোচনায় ছিল। জ্যোতির উপর অভিযোগ, সে পাকিস্তান হাই কমিশনের মাধ্যমে পাকিস্তানি গোয়েন্দা এজেন্টদের সাথে যোগাযোগ করেছিল এবং তাদের ভারত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিচ্ছিল।
