চন্দৌলি: মদ পাচারে ৬ মহিলা গ্রেফতার, ৮৬.৫ লিটার মদ উদ্ধার

🎧 Listen in Audio
0:00

চন্দৌলির উত্তরপ্রদেশ-বিহার সীমান্তে মদ পাচারের জন্য নারীদের ব্যবহার করা হচ্ছে। মুগলসরাই পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৬ জন মহিলা পাচারকারীকে গ্রেফতার করেছে, যাদের কাছ থেকে ৮৬.৫ লিটার অবৈধ মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে।

চন্দৌলি: উত্তরপ্রদেশ ও বিহারের সীমান্তে মদ পাচার ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিহারে যদিও মদ নিষিদ্ধ, তবুও অবৈধ মদের সরবরাহ অব্যাহত রয়েছে। মদ মাফিয়া এখন পাচারের জন্য নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে, এবং এখন তারা নারীদেরও ব্যবহার করতে শুরু করেছে। চন্দৌলি পুলিশ সম্প্রতি একটি বড় অভিযান চালিয়ে ৬ জন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে, যারা মদ পাচারে জড়িত ছিল। তাদের কাছ থেকে ৮৬.৫ লিটার অবৈধ ইংরেজি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়েছে। এই ঘটনা প্রশাসনকে আবারও সতর্ক করে তুলেছে।

পুলিশ গোপন তথ্য পেয়েছে, অভিযানে বড় তথ্য উঠে এসেছে

চন্দৌলি জেলার মুগলসরাই থানা এলাকা থেকে একটি বড় খবর পাওয়া গেছে। পুলিশ গোপন সূত্র থেকে তথ্য পেয়েছে যে কিছু মহিলা প্রচুর পরিমাণে অবৈধ মদ নিয়ে ডিডিইউ নগরে উপস্থিত আছে এবং তারা মদ বিহারে পৌঁছে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে পুলিশ সতর্ক হয়ে ওঠে এবং দ্রুত সুভাষ পার্কের কাছে তল্লাশি অভিযান চালায়।

এই তল্লাশির সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে ৬ জন মহিলাকে গ্রেফতার করে, যাদের কাছ থেকে মোট ৮৬.৫ লিটার ইংরেজি মদ ও বিয়ার উদ্ধার করা হয়। সমস্ত মহিলাদের ঘটনাস্থলেই গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃত মহিলারা বিহারের বাসিন্দা এবং মদ পাচারে আগে থেকেই জড়িত থাকতে পারে। বর্তমানে তাদের সকলের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে যাতে জানা যায় তারা কোনও বড় দলের সাথে জড়িত কিনা নাকি নিজেরাই পাচার করছিল।
মহিলাদের মাধ্যমে মদ পাচার: পাচারকারীদের নতুন ও চালাক কৌশল

গ্রেফতার মহিলাদের পরিচয় ও তাদের সম্পর্ক

পুলিশ চন্দৌলির মদ পাচারের অভিযোগে ৬ জন মহিলাকে গ্রেফতার করেছে, যারা বিহারের বাসিন্দা। এই মহিলাদের নাম সোনি দেবী, রাধিকা, খুশবু, প্রীতি দেবী, ফুলমতি এবং সুনীতা। পুলিশ এখন তদন্ত করছে যে এই মহিলারা একা মদ পাচার করছিল নাকি কোনও বড় পাচার নেটওয়ার্কের অংশ ছিল। এই গ্রেফতারের পর পুলিশ মদ পাচার নিয়ে আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা করছে।

মহিলাদের মাধ্যমে মদ পাচার – পাচারকারীদের নতুন কৌশল

এখন মদ পাচারকারীরা পুলিশের নজরদারি থেকে বাঁচতে নারীদের ব্যবহার করতে শুরু করেছে। পাচারকারীদের মনে হয় নারীদের উপর পুলিশের সন্দেহ কম হয়, এই চিন্তাভাবনার ফলে তারা তাদের মদ বহন করার কাজে লাগাচ্ছে। বিশেষ করে যুপি-বিহার সীমান্তের মতো এলাকায় যেখানে মদ নিষিদ্ধ থাকার ফলে অবৈধ মদের ব্যবসা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে, সেখানে এখন নারীরাও পাচারে ব্যবহৃত হচ্ছে।

চন্দৌলির সাম্প্রতিক অভিযান এ কথার সত্যতা প্রমাণ করে। এখানে পুলিশ একসাথে ৬ জন মহিলাকে অবৈধ ইংরেজি মদ ও বিয়ারসহ ধরেছে। এই মহিলারা বিহারের বাসিন্দা ছিলেন এবং প্রচুর পরিমাণে মদ নিয়ে যাচ্ছিলেন। এর আগেও এ ধরনের অনেক ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু এবার একসাথে এত মহিলাকে ধরা পড়া দেখায় যে এটি কোনও সাধারণ ঘটনা নয়, বরং পাচারকারীদের একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ।

মহিলারা কি নিজেরাই মদ পাচারের জন্য কিনছিল?

চন্দৌলির গ্রেফতারকৃত ৬ মহিলাদের নিয়ে এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উঠছে—এই মহিলারা কি নিজেরাই মদের দোকান থেকে মদ কিনছিল, নাকি কোনও বড় পাচারকারী দলের অংশ ছিল যারা শুধু তাদের ব্যবহার করছিল? বর্তমানে এই প্রশ্নের উত্তর সম্পূর্ণ স্পষ্ট নয়, তবে এটা অবশ্যই সত্য যে ঘটনাটি গুরুতর এবং তদন্তের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ মোড়।

Leave a comment