বিহারের রাজনীতিতে মহাজোটের প্রস্তুতি আবারও গতি পেয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রীয় জনতা দল (রাজদ)-এর প্রধান তেজস্বী যাদবকে আগামী বিধানসভা নির্বাচনের জন্য মহাজোট মুখ্যমন্ত্রী পদে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই সিদ্ধান্তের নিশ্চিতি ভিআইপি পার্টির অধ্যক্ষ মুকেশ সাহনী গঠবন্ধনের চতুর্থ রণনৈতিক বৈঠকের পর দিয়েছেন।
তেজস্বীতে আবারও আস্থা প্রকাশ
বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপচারিতায় মুকেশ সাহনী স্পষ্ট করে বলেছেন, তেজস্বী যাদবই মহাজোটের মুখ্যমন্ত্রী পদের প্রার্থী হবেন। সকল দল এই বিষয়ে একমত হয়েছে। মহাজোটের এই বৈঠকে রাজদ, কংগ্রেস, ভাকপা মালে, ভাকপা, মাওবাদী ও ভিআইপি সহ প্রায় ৯টি দলের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করেছেন।
বৈঠকের উদ্দেশ্য ছিল কেবলমাত্র আসন বণ্টন নির্ধারণ করা নয়, বিহারের আইনশৃঙ্খলা ও সামাজিক সমস্যা নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের রূপরেখাও নির্ধারণ করা।
আসন বণ্টনের বিস্তারিত তথ্য চাওয়া হয়েছে
বৈঠকে সকল দলের কাছে তাদের অতীত সাফল্য এবং শক্তিশালী এলাকার হিসাব চাওয়া হয়েছে, যাতে আগামী নির্বাচনে আসন বণ্টনের সূত্র তৈরি করা যায়। সূত্র মতে, এইবার গঠবন্ধন "জমির দখলের ভিত্তিতে আসন বণ্টন"-কে অগ্রাধিকার দেবে, যাতে কোনও দলকে অযৌক্তিক সুবিধা বা ক্ষতি না হয়।
বিহারের অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রণনীতি
মহাজোট রাজ্যের অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, মহিলাদের বিরুদ্ধে বর্ধিত অপরাধ, দলিতদের উপর নির্যাতন এবং যুব বেকারত্বকে নির্বাচনী ইস্যু হিসেবে গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মুকেশ সাহনী বলেছেন, রাজ্যে অপহরণ, হত্যা এবং ডাকাতির ঘটনা সাধারণ হয়ে উঠেছে। জনগণ ভয়ে আছে। মহাজোট এখন এই বিষয়গুলো নিয়ে রাজ্যব্যাপী আন্দোলন করবে। এই প্রসঙ্গে জুনের শেষের মধ্যে সকল জেলায় প্রতিবাদ ও পদযাত্রার পরিকল্পনার উপর একমত হওয়া হয়েছে।
তেজস্বীর বর্ধিত গ্রহণযোগ্যতা
রাজদ প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের অনুপস্থিতিতে তেজস্বী যাদবই গত কয়েক বছর ধরে গঠবন্ধনের মুখ হিসেবে রয়েছেন। ২০২০ সালের নির্বাচনে তিনি বিরোধী দলের পক্ষ থেকে প্রভাবশালী প্রদর্শন করেছিলেন। এখন তাকে আবার নেতৃত্ব দেওয়া এই ইঙ্গিত দেয় যে বিরোধী দল তাকে স্থিতিশীল, অভিজ্ঞ এবং জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্য মুখ হিসেবে মনে করে।
বৈঠকের সময় কোন দলই তেজস্বীর নাম নিয়ে আপত্তি জানায়নি এবং সকল দল ঐক্যবদ্ধতার বার্তা দিয়েছে। কংগ্রেসের একজন শীর্ষ নেতা বলেছেন, বিহারে পরিবর্তনের প্রয়োজন এবং এর জন্য মহাজোটকে সম্পূর্ণ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।