সুপ্রিম কোর্টে তিন নতুন বিচারপতির শপথগ্রহণ

সুপ্রিম কোর্টে তিন নতুন বিচারপতির শপথগ্রহণ
সর্বশেষ আপডেট: 30-05-2025

দেশের সর্বোচ্চ ন্যায়িক সংস্থা, সুপ্রিম কোর্ট আবারও পূর্ণ শক্তি অর্জন করেছে। আজ সুপ্রিম কোর্টের তিনজন নতুন বিচারপতি, জাস্টিস এন. ভি. অঞ্জনীয়া, জাস্টিস বিজয় বিষ্ণোই এবং জাস্টিস অতুল এস. চন্দুরকর প্রধান বিচারপতি বি. আর. গাওয়াইয়ের উপস্থিতিতে শপথ গ্রহণ করেছেন।

SC Judge Oath: আজ সুপ্রিম কোর্টে তিনজন নতুন বিচারপতি শপথ গ্রহণ করেছেন, যার ফলে উচ্চতম আদালতে ৩৪ জন বিচারপতির পূর্ণ সংখ্যা পুনরায় স্থাপিত হয়েছে। জাস্টিস এন. ভি. অঞ্জনীয়া, জাস্টিস বিজয় বিষ্ণোই এবং জাস্টিস অতুল এস. চন্দুরকর সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। প্রধান বিচারপতি বি. আর. গাওয়াই তাদের শপথবাক্য পাঠ করিয়েছেন। বিশেষত, জাস্টিস বিজয় বিষ্ণোই হিন্দিতে শপথ গ্রহণ করেছেন।

এই নিয়োগগুলি সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম ২৬ মে সুপারিশ করেছিল, যা ২৯ মে রাষ্ট্রপতি অনুমোদন করেছিলেন এবং এরপর কেন্দ্রীয় সরকার অধিসূচনা জারি করেছিল।

নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং সুপারিশ

তিনজন বিচারপতির নিয়োগ ২৬ মে ২০২৫ সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়ামের সুপারিশের ভিত্তিতে হয়েছিল। এরপর ২৯ মে রাষ্ট্রপতি এই নিয়োগগুলি অনুমোদন করেন। কেন্দ্রীয় সরকার অবিলম্বে অধিসূচনা জারি করে এই বিচারপতিদের সুপ্রিম কোর্টে পদোন্নতির বিষয়টি নিশ্চিত করে। এই নিয়োগের মাধ্যমে উচ্চতম আদালত দীর্ঘদিন ধরে চলা বিচারপতি সংকট দূর করে একটি শক্তিশালী ও দক্ষ প্যানেল গঠন করেছে।

নতুন বিচারপতিদের পটভূমি

নতুন বিচারপতিদের মধ্যে প্রথমে জাস্টিস এন. ভি. অঞ্জনীয়া রয়েছেন, যিনি পূর্বে কর্ণাটক উচ্চ ন্যায়ালয়ের প্রধান বিচারপতি ছিলেন। তাঁর মূল সংযোগ গুজরাট উচ্চ ন্যায়ালয়ের সাথে। জাস্টিস বিজয় বিষ্ণোই গুয়াহাটি উচ্চ ন্যায়ালয়ের সাবেক প্রধান বিচারপতি এবং তাঁর মূল সংযোগ রাজস্থান উচ্চ ন্যায়ালয়ের সাথে। অন্যদিকে, জাস্টিস অতুল এস. চন্দুরকর বোম্বে হাইকোর্টের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি বি. আর. গাওয়াই এই উপলক্ষে বলেছেন যে, ন্যায়বিচারের শক্তিশালীকরণের জন্য পুরো দলের উপস্থিতি অপরিহার্য। তিনি নতুন বিচারপতিদের স্বাগত জানিয়ে আশা প্রকাশ করেছেন যে তারা দেশের ন্যায়বিচার ব্যবস্থাকে আরও নির্ভরযোগ্য ও শক্তিশালী করবে। বিশেষত, জাস্টিস বিজয় বিষ্ণোই হিন্দিতে শপথ গ্রহণ করেছেন, যা এই অনুষ্ঠানকে আরও দেশপ্রেমে ভরা করে তুলেছে।

ন্যায়িক কর্মকাল

নতুন বিচারপতিদের কর্মকাল এবার বেশ দীর্ঘ হবে, যা ভারতীয় ন্যায়বিচারের জন্য একটি ইতিবাচক লক্ষণ।

  • জাস্টিস এন. ভি. অঞ্জনীয়ার কর্মকাল ২৩ মার্চ ২০৩০ পর্যন্ত।
  • জাস্টিস বিজয় বিষ্ণোই ২৫ মার্চ ২০২৯ পর্যন্ত ন্যায়িক সেবায় থাকবেন।
  • জাস্টিস অতুল এস. চন্দুরকরের কর্মকাল ৭ এপ্রিল ২০৩০ পর্যন্ত।

সুপ্রিম কোর্টের বর্তমান অবস্থা

এই নিয়োগগুলির পর সুপ্রিম কোর্ট তার পূর্ণ বিচারপতি সংখ্যা ৩৪ এ পৌঁছেছে, যা ভারতের সর্ববৃহৎ সাংবিধানিক আদালতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে আদালতের বিভিন্ন মামলার শুনানিতে ত্বরাণ্বিত হওয়ার আশা করা হচ্ছে, কারণ গত কয়েক সময় বিচারপতি সংকটের কারণে মামলার চাপ বেড়েছিল।

তবে, ৯ জুন ২০২৫-তে জাস্টিস বেলা এম. ত্রিবেদীর অবসর গ্রহণের পর আবার একটি আসন শূন্য হবে, তবে তারপরেও আদালতের কার্যক্ষমতার উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে। বর্তমান নিয়োগগুলি ইঙ্গিত দেয় যে সরকার ও ন্যায়পালিকা মিলে দেশের ন্যায়বিচার ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর করার দিকে কাজ করছে।

ন্যায়পালিকায় দ্রুত উন্নতির আশা

এই নতুন নিয়োগগুলি নিয়ে ন্যায়িক আইনজীবী ও সাধারণ জনতার মধ্যে উৎসাহ দেখা যাচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বিচারপতি সংকটের কারণে অনেক মামলার শুনানি ব্যাহত হচ্ছিল, যার ফলে ন্যায়বিচারে বিলম্ব হচ্ছিল। এখন সুপ্রিম কোর্ট পুরোদমে কাজ করবে বলে আশা করা হচ্ছে যে দেশের সাংবিধানিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মামলার নিষ্পত্তি দ্রুতগতিতে হবে।

Leave a comment