ভারত-পাক সীমান্ত উত্তেজনার মধ্যে কেন্দ্র সরকার সকল মন্ত্রণালয়কে সংকট ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতির নির্দেশ দিয়েছে। কৃষি, কর্মসংস্থান, খাদ্য সরবরাহ এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর নজরদারি করা হচ্ছে।
India-Pak Tensions: ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে চলমান সীমান্ত উত্তেজনার কারণে কেন্দ্র সরকার সম্পূর্ণ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সচিবদের সাথে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করার পর এখন সকল প্রধান মন্ত্রণালয়কে সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে। সরকার সকল মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে যে তারা সম্ভাব্য সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য তাদের প্রস্তুতির চূড়ান্ত রূপ দিন।
কৃষি মন্ত্রণালয় কৃষকদের জন্য রণনীতি তৈরি করেছে
কৃষিমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন যে সীমান্তবর্তী রাজ্যের কৃষকরা যেন বোনায় কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হয়। যদি কোনও এলাকায় গ্রাম খালি করতে হয়, তাহলে জম্মু-কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবের মত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের সাথে আলোচনা করা হবে।
মন্ত্রী আশ্বস্ত করেছেন যে, যদি কৃষিকাজে কোনও কারণে বিলম্ব হয়, তাহলে সরকার তাদের সাহায্যকে অগ্রাধিকার দেবে। বৈঠকে খরিফ মৌসুমের রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে এবং জানানো হয়েছে যে দেশে ২.৬৭ কোটি টন গমের বাম্পার উৎপাদন হয়েছে।
কর্মসংস্থান এবং ত্রাণ কাজের উপর ফোকাস
সরকার মনরেগা (MGNREGA) এর অধীনে সংকটগ্রস্ত জেলায় বাস্তুচ্যুত মানুষদের কর্মসংস্থান দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। শিবরাজ সিং চৌহান গ্রামীণ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়কে বলেছেন যে এ ধরনের ব্যক্তিদের অবিলম্বে অস্থায়ী কর্মসংস্থান প্রদান করা উচিত।
খাদ্য এবং জরুরি পণ্য সম্পর্কে গুজব থেকে সতর্ক
উপভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে বলেছেন যে, “খাদ্যের অভাব নিয়ে চলমান গুজবে ধারণা না দেওয়া উচিত। দেশের কাছে প্রয়োজনের চেয়ে অনেক বেশি খাদ্যের মজুত রয়েছে।” মন্ত্রণালয় ব্যবসায়ীদের খাদ্য এবং জরুরি পণ্য মজুত করার থেকে বিরত থাকার জন্যও সতর্ক করেছে।
বিদ্যুৎ এবং সাইবার সুরক্ষা নিয়েও সতর্কতা
বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ও জানিয়েছে যে সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলিতে বিদ্যুৎ সরবরাহের উপর নজরদারি করা হচ্ছে। কোনও জরুরি অবস্থায় গ্রিডের স্থিতিস্থাপকতা বজায় রাখার জন্য সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তদুপরি, সাইবার আক্রমণ থেকে জাতীয় গ্রিডের সুরক্ষা নিয়েও সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার নির্দেশ
শ্রম মন্ত্রণালয় সকল রাজ্যকে বলেছে যে তারা ফ্যাক্টরি আইনের আওতায় শ্রমিকদের সুরক্ষা এবং কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবে। যেকোনো পরিস্থিতিতেই শ্রমিকদের সংকটের সম্মুখীন না হতে হবে, সেজন্য বিশেষ নজরদারি করা হচ্ছে।
