এয়ার ইন্ডিয়ার AI180 ফ্লাইটে প্রযুক্তিগত ত্রুটি: কলকাতায় জরুরি অবতরণ

🎧 Listen in Audio
0:00

স্যান ফ্রান্সিসকো থেকে মুম্বই যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI180-এ একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে। মঙ্গলবার এই ফ্লাইট কলকাতা বিমানবন্দরে তার নির্ধারিত স্টপেজে পৌঁছেছিল, কিন্তু বাম ইঞ্জিনে প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে ফ্লাইটটি থামাতে হয়েছিল।

Air India: ভারতের প্রধান বিমান পরিবহন সংস্থা এয়ার ইন্ডিয়া আবারও প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে শিরোনামে উঠে এসেছে। স্যান ফ্রান্সিসকো থেকে মুম্বই আসা ফ্লাইট AI180 কলকাতা বিমানবন্দরে নির্ধারিত স্টপেজের সময় প্রযুক্তিগত ত্রুটির সম্মুখীন হওয়ার পর যাত্রীদের বিমান থেকে নামতে হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে এমন সময়ে যখন দেশে গত কয়েকদিন ধরে বেশ কয়েকটি ফ্লাইট সংক্রান্ত ঘটনার পরে বিমান ভ্রমণের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।

AI180 ফ্লাইটের সাথে কি ঘটেছে?

AI180 ফ্লাইট নির্ধারিত সময়ে স্যান ফ্রান্সিসকো বিমানবন্দর থেকে উড়াল শুরু করে এবং মঙ্গলবার ভোরে প্রায় ১২:৪৫ টায় কলকাতার নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে। নির্ধারিত স্টপেজের সময় বাম ইঞ্জিনে প্রযুক্তিগত ত্রুটি ধরা পড়ে, যার ফলে ফ্লাইটের পরবর্তী পর্যায়— অর্থাৎ কলকাতা থেকে মুম্বই যাত্রা—স্থগিত করা হয়।

বিমানে থাকা ২০০-র বেশি যাত্রীকে প্রথমে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি। কিন্তু প্রায় চার ঘন্টা পর, ভোর ৫:২০ টায়, যাত্রীদের জানানো হয় যে নিরাপত্তার কারণে তাদের বিমান থেকে নামতে হবে। ফ্লাইটের অধিনায়ক যাত্রীদের স্পষ্ট করেছেন যে এই সিদ্ধান্ত যাত্রীদের নিরাপত্তাকে অগ্রাধিকার দিয়ে নেওয়া হয়েছে।

গত কয়েকদিনের অন্যান্য ঘটনা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে

AI180-এর এই ঘটনা গত কয়েকদিনে ফ্লাইট সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ঘটনার পরে ঘটেছে, যার ফলে যাত্রীদের মধ্যে ভয় এবং অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছে।

আহমেদাবাদ বিমানবন্দরে বড় দুর্ঘটনা: কয়েকদিন আগে আহমেদাবাদ থেকে লন্ডন যাওয়া AI-171 ফ্লাইট টেক-অফের পরপরই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিজে মেডিকেল কলেজের ছাত্রাবাসে আঘাত হানে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় ২৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে ২৩০ জন যাত্রী এবং ১১ জন ক্রু সদস্য ছিলেন। কেবলমাত্র একজন ব্রিটিশ নাগরিক এই দুর্ঘটনায় বেঁচে গেছেন।

হংকং-দিল্লি ফ্লাইটের মিড-এয়ার প্রযুক্তিগত ত্রুটি: AI315 ড্রিমলাইনার, যা হংকং থেকে দিল্লি আসছিল, উড়ানের সময় প্রযুক্তিগত সমস্যার সন্দেহের কারণে ফিরে আসতে হয়েছিল। এই ফ্লাইটটি বোয়িং 787-8 ড্রিমলাইনার দিয়ে পরিচালিত হয়, যা আগেও প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছে।

লন্ডন-চেন্নাই ফ্লাইটকে ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিং করতে হয়েছিল: ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের BA35 ফ্লাইট, যা হিথ্রো থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল, টেক-অফের কয়েক মিনিটের মধ্যেই ফ্ল্যাপ সিস্টেমের ত্রুটির ইঙ্গিত পেয়েছিল। ফলে, বিমানটিকে প্রায় ১ ঘন্টা ৪৫ মিনিট ধরে আকাশে ঘোরাঘুরি করতে হয়েছিল যাতে জ্বালানি ঝেড়ে ওজন কমিয়ে নিরাপদে ল্যান্ডিং করা যায়।

লুফথান্সার ফ্লাইটে বোমা হুমকি

লুফথান্সার হায়দ্রাবাদ যাওয়া ফ্লাইট LH752 বোমা হুমকির পর ফ্রাঙ্কফুর্ট বিমানবন্দরে ফিরে আসতে হয়েছিল। তদন্তকারী সংস্থাগুলি ১৫ জুন সন্ধ্যায় ৬:০১ টায় ইমেইলের মাধ্যমে হুমকি পেয়েছিল। SOP অনুযায়ী অবিলম্বে সকল নিরাপত্তা প্রোটোকল গ্রহণ করা হয় এবং বিমানটিকে নিরাপদে নামানো হয়। সৌদি আরব থেকে জেদ্দা হয়ে লখনউ যাওয়া ফ্লাইটটি ল্যান্ডিংয়ের সময় এর চাকা থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা গিয়েছিল। তবে, সময়মতো ARFF (Airport Rescue & Fire Fighting) এবং সৌদি দলের প্রস্তুতি কোনও দুর্ঘটনা এড়াতে সক্ষম হয়েছিল।

Leave a comment