সর্বভারতীয় মুসলিম ব্যক্তিগত আইন বোর্ড (AIMPLB) ২০২৪ সালের ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে ২৬শে মার্চ, ২০২৫ তারিখে পটনায় বৃহৎ বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।
বিহার: সর্বভারতীয় মুসলিম ব্যক্তিগত আইন বোর্ড (AIMPLB) ২০২৪ সালের ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে ২৬শে মার্চ, ২০২৫ তারিখে পটনায় বৃহৎ বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। AIMPLB-এর অভিযোগ, এই বিল ওয়াকফ সম্পত্তির জন্য হুমকি সৃষ্টি করতে পারে এবং এটি প্রত্যাহার করা উচিত। এই বিক্ষোভে বিভিন্ন বিরোধী দল এবং ধর্মীয় সংগঠনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
সারা দেশে AIMPLB অন্যান্য প্রধান শহরগুলিতেও বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে, যার মধ্যে রয়েছে দিল্লি, হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু। পটনায় অনুষ্ঠিতব্য বিক্ষোভে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং অন্যান্য বিরোধী দলের নেতারাও অংশগ্রহণ করবেন। AIMPLB-এর লক্ষ্য হল বিলের বিরুদ্ধে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া এবং এর প্রতিবাদ করা।
পটনা বিক্ষোভে নেতাদের আহ্বান
AIMPLB পটনায় অনুষ্ঠিতব্য বিক্ষোভে বেশ কয়েকজন প্রধান নেতাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে, যার মধ্যে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও রয়েছেন। এছাড়াও, জেডি(ইউ), আরজেডি, কংগ্রেস এবং লোক জনশক্তি পার্টির নেতাদেরও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এই বিক্ষোভ পটনার গর্দানীবাগে সকাল ১০টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
পটনার পাশাপাশি তেলেগু দেশম, ওয়াইএসআর কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বামপন্থী দলগুলিকেও বিক্ষোভে যোগদানের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে, যার ফলে এই বিক্ষোভ আরও ব্যাপক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সারা দেশে হবে বিক্ষোভ
AIMPLB সারা দেশে বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে, যার মধ্যে হায়দ্রাবাদ, কলকাতা, মুম্বই এবং বেঙ্গালুরু শহরগুলি অন্তর্ভুক্ত। ১৭ই মার্চ দিল্লিতে বৃহৎ বিক্ষোভের পর AIMPLB ওয়াকফ সংশোধনী বিলের বিরুদ্ধে এই দেশব্যাপী আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে।
ওয়াকফ সংশোধনী বিল নিয়ে AIMPLB-এর প্রতিক্রিয়া
AIMPLB-এর মুখপাত্র ডাঃ সৈয়দ কাসিম রসুল ইলিয়াস বলেছেন, বিক্ষোভের পর এটা স্পষ্ট হয়েছে যে এই বিল নিয়ে মুসলিম সংগঠন এবং নাগরিক সমাজের সমর্থন পাওয়া যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, এই বিলকে "বিরোধপূর্ণ, বৈষম্যমূলক এবং ক্ষতিকারক" বলে অভিহিত করা হয়েছে এবং এটি সম্পূর্ণরূপে বাতিল করা হবে।
এই আন্দোলনের প্রথম ধাপে পটনা (২৬শে মার্চ) এবং বিজয়ওয়াড়া (২৯শে মার্চ)তে বৃহৎ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই বিক্ষোভগুলিতে AIMPLB-এর শীর্ষস্থানীয় নেতারা এবং বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় সংগঠনের প্রতিনিধিরাও অংশগ্রহণ করবেন।
রাজনৈতিক দলগুলির কাছে সমর্থনের আবেদন
AIMPLB সকল রাজনৈতিক দলের কাছে আবেদন করেছে যাতে তারা তাদের সংসদ সদস্যদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য অনুপ্রাণিত করে। এই সাথে, তাদের এই বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, বিজেপির সহযোগীরা যদি বিলের সমর্থনে থাকে, তাহলে তাদের সমর্থন হারানোর ঝুঁকি থাকবে।
দেশব্যাপী আন্দোলনের জন্য বিস্তারিত পরিকল্পনা
AIMPLB একটি বিস্তারিত দেশব্যাপী আন্দোলনের পরিকল্পনা করেছে, যার অধীনে সকল রাজ্যের রাজধানীতে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান সমাবেশ, ধর্ণা, মানব শৃঙ্খল এবং সোশ্যাল মিডিয়া অভিযানের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও, জেলা পর্যায়ে জনসভা, সেমিনার এবং ধর্ণাও হবে এবং ভারতের রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপিও দেওয়া হবে। এইভাবে AIMPLB-এর আন্দোলনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র বিলের বিরোধিতা নয়, এর বিরুদ্ধে দেশব্যাপী সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়াও।