ট্রাম্পের চীন সফরের ইঙ্গিত: জিনপিং-এর সাথে সাক্ষাতের প্রস্তাব

🎧 Listen in Audio
0:00

আমেরিকা ও চীনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা উত্তেজনার পরিস্থিতি এখন ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। পূর্বে যেখানে ট্যারিফ যুদ্ধে সাময়িক বিরতি ঘোষণা করা হয়েছিল, সেখানে এখন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প স্পষ্টভাবে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করে সম্পর্কের নতুন সূচনায় ইঙ্গিত দিয়েছেন।

আমেরিকা-চীন সম্পর্কের নতুন উদ্যোগ, ট্রাম্প চীন সফরের ইঙ্গিত দিয়ে জিনপিং-এর সাথে সাক্ষাতের প্রস্তাব দিলেন। আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বর্ধমান ঘনিষ্ঠতার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ খবর সামনে এসেছে। প্রাক্তন আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, তিনি বিদেশ নীতি এবং অর্থনৈতিক বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য চীন সফরে যেতে প্রস্তুত। ট্রাম্পের এই ইচ্ছা উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের একটি ইতিবাচক পরিবর্তনের ইঙ্গিত বলে মনে করা হচ্ছে।

ট্রাম্প জিনপিং-এর সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন

প্রাক্তন আমেরিকান রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৬ মে ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তিনি চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর সাথে সাক্ষাত করতে চান। যখন তাকে জিজ্ঞাসা করা হয় যে, তিনি কি জিনপিং-এর সাথে দেখা করতে চান, তখন ট্রাম্প স্পষ্টভাবে বলেছেন, "অবশ্যই।" তিনি আরও বলেছেন যে, আমেরিকা ও চীনের মধ্যে সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই দিকে যোগাযোগ প্রয়োজন।

এই বক্তব্য এমন সময় এসেছে যখন আমেরিকা ও চীনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। উভয় দেশই সম্প্রতি ট্যারিফ যুদ্ধে ৯০ দিনের জন্য সাময়িক বিরতি ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই চুক্তির অধীনে আমেরিকা চীনা আমদানিতে ট্যারিফ ১৪৫% থেকে কমিয়ে ৩০% করেছে, অন্যদিকে চীনও আমেরিকান পণ্যের উপর শুল্ক ১০% সীমাবদ্ধ করেছে।

ট্রাম্প এর আগেও তার সম্ভাব্য দ্বিতীয় মেয়াদে শি জিনপিং-এর সাথে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। তিনি এটাও ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, শীঘ্রই উভয় নেতার মধ্যে টেলিফোনে আলোচনা হতে পারে। এ সব ইঙ্গিত দেয় যে, বিশ্বের দুটি বৃহত্তম অর্থনীতি এখন তাদের উত্তেজনাকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করার দিকে এগিয়ে চলেছে।

ট্রাম্পের আরব দেশগুলির উপর ফোকাস

যদিও ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর সাথে দেখা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, তবে তার সাম্প্রতিক পশ্চিম এশিয়া সফরের সময় তিনি স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত দিয়েছেন যে, আমেরিকা চায় না চীনের প্রভাব আরব দেশগুলিতে বাড়ুক।

ট্রাম্প সৌদি আরব, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর শেষ করেছেন এবং এই সাক্ষাতগুলিতে তিনি বিশেষ করে আমেরিকা-আরব সম্পর্ককে দৃঢ় রাখার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, "এই সব দেশ চীনের দিকে ঝুঁকে পড়ছিল, কিন্তু এখন তা হচ্ছে না। আমাদের এগুলিকে আমেরিকার সাথে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"

ট্রাম্পের এই অবস্থান বুঝায় যে, যদিও তিনি চীনের সাথে সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের জন্য প্রস্তুত, তবে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে, যেমন উপসাগরীয় দেশ, তিনি চীনকে প্রভাব বিস্তার করতে দেবেন না। এটিকে আমেরিকার বিদেশ নীতিতে ভারসাম্য বজায় রাখার প্রচেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে, যাতে সহযোগিতা এবং প্রতিযোগিতা উভয়ই অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

Leave a comment