সরকার পুরনো এবং ব্যবহৃত গাড়ির উপর জিএসটি আরোপ নিয়ে ওঠা প্রশ্নের উত্তর FAQ-এর মাধ্যমে দিয়েছে। যদি গাড়ি বিক্রিতে কোনো লাভ না হয়, তাহলে জিএসটি প্রযোজ্য হবে না। শুধুমাত্র ব্যবসায়িক বিক্রির উপরই জিএসটি দিতে হবে।
পুরনো গাড়ির উপর জিএসটি: সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো এবং ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রির উপর জিএসটি আরোপ করা নিয়ে সরকারের সমালোচনা চলছে। 21 ডিসেম্বর, 2024-এ জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে পুরনো এবং ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রির উপর 18% জিএসটি আরোপ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহনও (EV) অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই সিদ্ধান্তের পর অনেক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে এবং সরকারের উপর অভিযোগ ওঠে যে তারা জনগণের কাছ থেকে লুকিয়ে গাড়ির উপর জিএসটি চাপিয়েছে।
সরকারের সাফাই এবং FAQ প্রকাশ
গণ সমালোচনার মধ্যে সরকার 3 দিন পর এই বিষয়ে তাদের বক্তব্য পেশ করেছে। সরকার FAQs (প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্নাবলী)-এর মাধ্যমে পুরনো গাড়ির বিক্রির উপর জিএসটি আরোপ নিয়ে ওঠা বিভ্রান্তি দূর করার চেষ্টা করেছে। এতে সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, যদি পুরনো গাড়ি বিক্রিতে কোনো লাভ না হয় এবং মার্জিন নেতিবাচক থাকে, তাহলে তার উপর জিএসটি দিতে হবে না।
জিএসটি কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত কী ছিল?
প্রশ্ন ছিল যে জিএসটি কাউন্সিলের 55তম বৈঠকে পুরনো এবং ব্যবহৃত গাড়ির জন্য কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? উত্তরে সরকার জানিয়েছে যে পুরনো এবং ব্যবহৃত গাড়ি, যার মধ্যে বৈদ্যুতিক যানবাহনও (EVs) অন্তর্ভুক্ত, এর উপর 18% জিএসটি ধার্য করা হবে। এর আগে বিভিন্ন হারে জিএসটি ধার্য করা হত, কিন্তু এখন একটি অভিন্ন হার কার্যকর করা হয়েছে।
কাকে জিএসটি দিতে হবে?
সরকার স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, জিএসটি শুধুমাত্র সেই সমস্ত রেজিস্টার্ড ব্যক্তিদের দিতে হবে, যারা পুরনো এবং ব্যবহৃত গাড়ি বিক্রির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।
ব্যক্তিগত বিক্রিতে কি জিএসটি প্রযোজ্য হবে?
যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তিকে পুরনো গাড়ি বিক্রি করে, তাহলে তার উপর জিএসটি প্রযোজ্য হবে না।
বিক্রয় মূল্যের উপর জিএসটি
যখন একজন রেজিস্টার্ড ব্যক্তি পুরনো গাড়ি বিক্রি করেন, তখন জিএসটি শুধুমাত্র সরবরাহকারীর মার্জিন মূল্যের উপর ধার্য করা হবে, অর্থাৎ বিক্রয় মূল্য এবং অবচয়িত মূল্যের মধ্যেকার পার্থক্যের উপর। যখন মার্জিন নেতিবাচক হবে, তখন জিএসটি লাগবে না।
সরকার কর্তৃক প্রদত্ত উদাহরণ থেকে স্পষ্টতা
সরকার জিএসটি বিষয়টিকে স্পষ্ট করার জন্য উদাহরণও দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ:
উদাহরণ 1: মনে করুন, একজন রেজিস্টার্ড ব্যক্তি একটি পুরনো গাড়ি 10 লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন, যেখানে তার ক্রয় মূল্য ছিল 20 লক্ষ টাকা এবং তিনি 8 লক্ষ টাকার অবচয় দাবি করেছেন। সেক্ষেত্রে তাকে জিএসটি দিতে হবে না, কারণ তার মার্জিন নেতিবাচক হবে।
উদাহরণ 2: যদি ক্রয় মূল্য 12 লক্ষ টাকা এবং বিক্রয় মূল্য 15 লক্ষ টাকা হয়, তাহলে সরবরাহকারীকে 3 লক্ষ টাকার মার্জিনের উপর 18% জিএসটি দিতে হবে।
উদাহরণ 3: যদি ক্রয় মূল্য 12 লক্ষ টাকা এবং বিক্রয় মূল্য 10 লক্ষ টাকা হয়, তাহলে সরবরাহকারীর মার্জিন নেতিবাচক এবং তাকে জিএসটি দিতে হবে না।
সরকারের সারসংক্ষেপ
সরকার তাদের সাফাইতে স্পষ্ট করে জানিয়েছে যে, এই নতুন জিএসটি নিয়মের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র সেই গাড়িগুলির উপর কর আরোপ করা, যেগুলির বিক্রয় মূল্য ক্রয় মূল্যের চেয়ে বেশি। যদি কোনো লাভ না হয়, তাহলে কোনো জিএসটি লাগবে না। সরকার আরও জানিয়েছে যে, এই নিয়ম ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে প্রযোজ্য, ব্যক্তিগত বিক্রির ক্ষেত্রে নয়।
