মূল্যস্ফীতির হ্রাস: WPI ০.৮৫%, CPI ৩.১৬% - RBI-এর আশ্বাস

🎧 Listen in Audio
0:00

২০২৫ সালের এপ্রিলে WPI মূল্যস্ফীতি ছিল ০.৮৫%, যেখানে CPI নেমে এসেছে ৩.১৬% এ। জ্বালানি দাম কমার প্রভাবে মূল্যস্ফীতির উপর প্রভাব পড়েছে। RBI ৪% পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের আশা প্রকাশ করেছে।

WPI: ভারতে পাইকারি মূল্যস্ফীতি (WPI)তে ২০২৫ সালের এপ্রিলে ব্যাপক হ্রাস লক্ষ্য করা গেছে। এপ্রিলে এটি ছিল ০.৮৫%, যা মার্চের ২.০৫% এর তুলনায় অনেক কম। এই হ্রাস মূলত পেট্রোল-ডিজেল, বিদ্যুৎ এবং কাঁচামালের দাম কমার কারণে। তবে, উৎপাদন সংক্রান্ত জিনিসপত্রের দামে তেমন কোনো পরিবর্তন হয়নি।

মূল্যস্ফীতি বলতে কি বোঝায়?

পাইকারি মূল্যস্ফীতি (WPI) হল সেই দাম যা দিয়ে কোম্পানিগুলি একে অপরের কাছ থেকে পণ্য ক্রয় বা বিক্রয় করে। এই সংখ্যাটি দেশে পণ্য সরবরাহ এবং চাহিদার ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করে। এটি থেকে বোঝা যায় যে কীভাবে বাজারে পণ্যের দাম পরিবর্তন হচ্ছে এবং এর সাধারণ মানুষের জীবনে কী প্রভাব পড়ছে।

খুচরা মূল্যস্ফীতিতেও হ্রাস

যদি আমরা খুচরা মূল্যস্ফীতি (CPI)র কথা বলি, তাহলে ২০২৫ সালের এপ্রিলে এটি ছিল ৩.১৬%। এই সংখ্যাটি গত ৫ বছরে সর্বনিম্ন। গত কয়েক মাসে খাদ্যপণ্যের দাম কমেছে, যার ফলে এই সংখ্যায় কিছুটা স্বস্তি মিলেছে। শাকসবজি, ডাল, ফল, মাংস এবং ধানের দাম আগে থেকেই কমে গেছে। এমনকি ব্যক্তিগত যত্নের পণ্যের দামেও হ্রাস দেখা গেছে। প্রখর গরমের পরও ভাল ফসল হওয়ার কারণে দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

RBI-এর পূর্বাভাস: মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব

ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্ক (RBI) তার আর্থিক নীতি সভায় অনুমান করেছে যে ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে খুচরা মূল্যস্ফীতি ৪% এর কাছাকাছি থাকতে পারে, যদি মৌসুমি বৃষ্টিপাত স্বাভাবিক হয়। বিশেষ করে, এপ্রিল থেকে জুনের মধ্যে মূল্যস্ফীতির হার ৩.৬% থাকতে পারে, যা পূর্বের অনুমান (৪.৫%) থেকে অনেক কম। এর অর্থ হল আগামী কয়েক মাসে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

RBI মূল্যস্ফীতির ত্রৈমাসিক অনুমানও প্রকাশ করেছে, যেখানে বলা হয়েছে যে:

  • এপ্রিল থেকে জুন ত্রৈমাসিকে মূল্যস্ফীতি ৩.৬% থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।
  • জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মূল্যস্ফীতিতে কিছুটা বৃদ্ধি হতে পারে, যা ৩.৯% পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে।
  • অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মূল্যস্ফীতি আবার কমে ৩.৮% হতে পারে।
  • এবং জানুয়ারী থেকে মার্চ ২০২৬ এর মধ্যে এটি ৪.৪% পর্যন্ত যেতে পারে।

এর অর্থ কি সাধারণ মানুষের জন্য ভালো?

মূল্যস্ফীতির এই সংখ্যার সরাসরি প্রভাব সাধারণ মানুষের জীবনে পড়ে। যদি মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে থাকে, তাহলে এর অর্থ হল পণ্য ও সেবার দাম বেশি বাড়বে না। এর ইতিবাচক প্রভাব মানুষের ক্রয় ক্ষমতার উপর পড়বে। বিশেষ করে, খাদ্যপণ্য এবং দৈনন্দিন ব্যবহারের জিনিসপত্রের দাম কমার ফলে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেতে পারে।

Leave a comment