দীপশিখা নাগপালের সাহসী সাক্ষাৎকার: দুটি ব্যর্থ বিবাহের পরও বিবাহে অবিচল বিশ্বাস

🎧 Listen in Audio
0:00

বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী এবং টেলিভিশনের পরিচিত মুখ দীপশিখা নাগপাল সম্প্রতি এক সাহসী সাক্ষাৎকারে তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন।

দীপশিখা নাগপাল বিবাহ সম্পর্কে: দীপশিখা নাগপাল ‘বাদশাহ’ এবং ‘সিर्फ তুম’ ছবিতে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন, তবে বলিউডে তিনি সেই সাফল্য পাননি যা হয়তো তিনি আশা করেছিলেন। এছাড়াও তিনি টেলিভিশনে অনেক প্রকল্পে কাজ করেছেন। সম্প্রতি দীপশিখা তার ব্যক্তিগত জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেছেন এবং তার দুটি ব্যর্থ বিবাহ নিয়ে সৎভাবে তার অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন।

দুবার বিবাহবিচ্ছেদ, তারপরও বিবাহ থেকে ভয় পান না দীপশিখা

দীপশিখা নাগপাল তার কর্মজীবনের শুরু বলিউড থেকে করেছিলেন, যেখানে তিনি ‘বাদশাহ’ এবং ‘সিर्फ তুম’ এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। যদিও বলিউডে তিনি সেই জনপ্রিয়তা পাননি যা তিনি আশা করেছিলেন, কিন্তু টেলিভিশনে তিনি নিজের পরিচয় তৈরি করেছেন। কিন্তু তার ব্যক্তিগত জীবন তেমন সহজ ছিল না।

তার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে দীপশিখা জানিয়েছেন যে তিনি এ পর্যন্ত দুবার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন, এবং উভয় বিবাহই ভেঙে গেছে। প্রথম বিবাহটি ছিল অভিনেতা জিত উপেন্দ্রর সাথে, যা ২০০৭ সালে শেষ হয়। এরপর ২০২২ সালে তিনি কেশব অরোড়ার সাথে দ্বিতীয় বিবাহ করেন, যা ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদে শেষ হয়।

কিন্তু তিনি স্পষ্ট করে বলেছেন যে তার আগের বিবাহগুলির পরও তিনি বিবাহ থেকে একদমই ভয় পান না। তিনি বলেছেন, “আমি তিনবার, চারবারও বিবাহ করতে পারি। এতে আমার কোন লজ্জা নেই। আমি আমার জীবনযাপন করছি এবং আমি ভালোবাসা এবং বিবাহে বিশ্বাস করি।”

ভুল সময়ে বিবাহ, কারো উপর দোষারোপ নেই

দীপশিখা স্বীকার করেছেন যে তার দুটি বিবাহই কেন সফল হয়নি, তার জন্য অন্য কেউ নয়, বরং ভুল সময়ই দায়ী। তিনি তার প্রাক্তন সঙ্গীদের দোষ দেন না। তার মতে, তিনি নিজেও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি। “আমি সবসময় ভুল কারণে বিবাহ করেছি। বিবাহ সবসময় সঠিক কারণে হওয়া উচিত। তাই আমি কাউকে দোষ দিচ্ছি না। আমি একজন কট্টর রোমান্টিক এবং ভালোবাসায় বিশ্বাস করি।”

তার মতে, যখন দুজন মানুষ একসাথে থাকতে পারে না, তখন নিজের জীবন নষ্ট করার পরিবর্তে এগিয়ে যাওয়া উত্তম। এই চিন্তাধারাই তাকে জীবনে শক্তি দেয়।

সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে লেগেছে পাঁচ-ছয় বছর

দীপশিখা তার মানসিক অবস্থা সম্পর্কেও বেশ স্পষ্টভাবে কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন যে তার পক্ষে কোন সম্পর্ক শেষ করা খুব কঠিন। তার মানসিকতা এমন ছিল যে সে সহজেই কোন সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে পারত না এবং তাতেই আটকে থাকত। তিনি বলেছেন, “আমাকে পাঁচ থেকে ছয় বছর সময় লেগেছে নিজেকে এ থেকে বের করে আনতে। আমি নিজেকে দোষী মনে করতাম, কিন্তু পরে আমি বুঝতে পেরেছি যে আমাকে এই চক্র ভাঙতে হবে।” এই প্রক্রিয়ায় তিনি বৌদ্ধ জীবনধারা গ্রহণ করেছিলেন, যা থেকে তিনি শান্তি পেয়েছেন এবং নিজেকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন।

নিজেকে উন্নত করেছে, এখন বিবাহের জন্য প্রস্তুত

এই আত্মপর্যবেক্ষণের পর দীপশিখা তার জীবনের মানদণ্ড এবং শক্তি বৃদ্ধি করেছেন। তিনি নিজের উপর কাজ করেছেন যাতে আবার একই ভুল পছন্দ না করেন। “এখন আমি জানি আমার কী চাই এবং আমি সঠিক মানুষের অপেক্ষা করছি। গত সাত বছর ধরে একা, কিন্তু আমার একাকীত্ব লাগে না। সঠিক ব্যক্তি যখন আসবে, আমি প্রস্তুত থাকব।”

দীপশিখা নাগপালের গল্প সেই সমস্ত নারীর জন্য অনুপ্রেরণা যারা জীবনে অনেকবার ব্যর্থতার সম্মুখীন হয়েছেন, কিন্তু তারপরও হাল ছাড়েননি। তার এই স্পষ্ট চিন্তাধারা এবং সাহস সাব্যস্ত করেছে যে বিবাহবিচ্ছেদের মতো সামাজিক বাধা থেকে ভয় পাওয়া উচিত নয়, বরং জীবন পুরোপুরিভাবে উপভোগ করা উচিত।

তিনি সেই সমাজের চিন্তাধারাকেও চ্যালেঞ্জ করেছেন যা বিবাহবিচ্ছেদা নারীদের বারবার পিছনে ঠেলে দেয়। দীপশিখা স্পষ্ট করে বলেছেন যে বিবাহ এবং প্রেমের ক্ষেত্রে কোন সীমা থাকা উচিত নয় এবং বারবার নতুন সম্পর্কের জন্য প্রস্তুত থাকা উচিত।

Leave a comment