হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সেনী মঙ্গলবার দিল্লিতে বিজেপি অধ্যক্ষ জেপি নড্ডার সাথে সাক্ষাৎ করবেন, যেখানে অনিল বিজের ঘটনা এবং নগরপালিকা নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
Haryana News: হরিয়ানায় বিজেপির অভ্যন্তরীণ কলহের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সেনী মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে উপস্থিত হন। এখানে তিনি বিজেপির জাতীয় অধ্যক্ষ জেপি নড্ডার সাথে সাক্ষাৎ করেন। সূত্রের খবর, এই সাক্ষাতের সময় সেনী ও নড্ডার মধ্যে হরিয়ানার মন্ত্রী অনিল বিজের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এই আলোচনায় জানানো হয় যে, বিজের সাথে বড়ৌলির ফোনে কথা হয়েছে এবং তাকে নোটিশের জবাব দিতে তিন দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। দলের মতে, বিজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া জরুরি ছিল এবং এখন তিনি শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকবেন।
অনিল বিজকে তিন দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে
বিজেপি সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারি সিএম সেনী এবং দলের রাজ্য অধ্যক্ষ মোহন লাল বড়ৌলির বিরুদ্ধে বক্তব্য দেওয়ার ঘটনায় অনিল বিজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠিয়েছে। দল তিন দিনের মধ্যে বিজের কাছ থেকে জবাব চেয়েছে। তবে, বিজ বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে আছেন, কিন্তু তিনি সন্ধ্যা নাগাদ ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে এবং এরপর নোটিশের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন। সোমবার বড়ৌলি নোটিশ জারির কথা নিশ্চিত করে বলেন যে, এখনও পর্যন্ত তিনি বিজের কাছ থেকে কোনো জবাব পাননি।
সিএম সেনীর বিরুদ্ধে অনিল বিজের বক্তব্য
অনিল বিজ সম্প্রতি নিজের সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সেনীর প্রতি ক্ষুব্ধ। তিনি সম্প্রতি সিএম সেনীর উপর ব্যঙ্গ করে বলেছিলেন যে, সেনী মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই তিনি ‘উড়ন খটোলা’য় উড়ে বেড়াচ্ছেন। বিজ এটাও বলেছিলেন যে, এটা শুধু তার মতামত নয়, বরং সকল বিধায়ক, সাংসদ ও মন্ত্রীদের কথা। তার দাবি, সিএম সেনী কখনো নিচে নামেন না, আর যদি তিনি তা করতেন, তাহলে তিনি জনগণের সমস্যা শুনতে পেতেন।
দলের পক্ষ ও নোটিশে অভিযোগ
বিজের ধারাবাহিক বক্তব্যের পর বিজেপি তাকে নোটিশ জারি করেছে, যেখানে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তিনি দলের জাতীয় অধ্যক্ষ এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সর্বজনীনভাবে বক্তব্য দিয়েছেন। নোটিশে এটাও বলা হয়েছে যে, এই ধরণের বক্তব্য দলের আদর্শের বিরুদ্ধে, বিশেষ করে যখন দল প্রতিবেশী রাজ্যে নির্বাচনী প্রচার চালাচ্ছে। নির্বাচনের সময় এই ধরণের বক্তব্য দিলে দলের ভাবমূর্তিকে ক্ষতি হতে পারে। দল শুধুমাত্র শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্যই নয়, নির্বাচনী পরিবেশকে মাথায় রেখে এই পদক্ষেপ নিয়েছে।
নোটিশে কী লেখা ছিল?
বিজেপির রাজ্য অধ্যক্ষ মোহন লাল বড়ৌলির পক্ষ থেকে জারি করা নোটিশে বলা হয়েছে, “আপনি দলের অধ্যক্ষ এবং মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সর্বজনীনভাবে বক্তব্য দিয়েছেন, যা গুরুতর অভিযোগ। এই পদক্ষেপ দলের আদর্শের বিরুদ্ধে এবং সেই সময়ে হয়েছে, যখন দল নির্বাচনী প্রচারে ব্যস্ত ছিল। নির্বাচনের সময় এই ধরণের বক্তব্য দিলে দলের ভাবমূর্তিকে ক্ষতি হবে।” নোটিশে এটাও বলা হয়েছে যে, এই বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়া হোক।
নোটিশের প্রতিক্রিয়া
বিজ বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে আছেন, কিন্তু তিনি দিল্লিতে ফিরে আসার পর এই নোটিশের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ পেতে পারে। দলের পক্ষ থেকে জবাবে কোনো ধরণের ঢিলামি করা হবে না, এবং এখন দেখার বিষয় হলো বিজ কীভাবে তাঁর ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন।
বিজেপির অভ্যন্তরে রাজনৈতিক উত্তেজনা
হরিয়ানায় বিজেপির অভ্যন্তরে রাজনৈতিক উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে, যার ফলে দলের ভাবমূর্তি এবং নির্বাচনী কৌশল প্রভাবিত হতে পারে। অনিল বিজের বক্তব্য এবং এর প্রতি উঠে আসা প্রশ্ন দলের অভ্যন্তরীণ মতবিরোধকে উন্মোচন করছে, যা আগামী নির্বাচনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হতে পারে।