‘যে জওয়ানি হে দিওয়ানি’র পুনঃমুক্তি: বক্স অফিসে নতুন রেকর্ড

🎧 Listen in Audio
0:00

যৌবন হই দিওয়ানী: বলিউডের সুপারহিট তারকা রণবীর কাপুর ও দীপিকা পাড়ুকোনের ছবি ‘যে জওয়ানি হে দিওয়ানি’ (YJHD) বক্স অফিসে ঝড় তুলেছে। নির্মাতারা নতুন বছরের উপলক্ষে ৩ জানুয়ারী ২০২৫-তে ছবিটি আবারও সিনেমা হলে মুক্তি দিয়েছিলেন, এবং এরপর এটি ইতিহাস সৃষ্টি করে অনেক বড় বড় ছবি পেছনে ফেলে নতুন রেকর্ড গড়েছে।

ছবির অসাধারণ উদ্বোধন

‘যে জওয়ানি হে দিওয়ানি’র পুনঃমুক্তি বক্স অফিসে চমৎকার সূচনা করে। ছবিটি প্রথম দিন ১.৯০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল। এই সংখ্যাটিই ছবির সাফল্যের গল্প বলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। এরপর, ছবির পর্দার সংখ্যা বাড়ানো হয় এবং প্রথম সপ্তাহান্তে ছবিটি ৬ কোটি টাকার ব্যবসা করে। প্রথম সপ্তাহের শেষে ছবিটি মোট ১৩ কোটি টাকা আয় করে।

বক্স অফিসে এত চমৎকার সূচনা এটিকে পুনঃমুক্তির ক্ষেত্রে ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী ছবি করে তুলেছে। ছবিটি এখন পর্যন্ত ২১ কোটি টাকার অসাধারণ ব্যবসা করেছে, যা এটিকে এক অভাবনীয় সাফল্যের মুখোমুখি করেছে।

তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী পুনঃমুক্তিপ্রাপ্ত ছবি

‘যে জওয়ানি হে দিওয়ানি’ এখন ভারতে তৃতীয় সর্বোচ্চ আয়কারী পুনঃমুক্তিপ্রাপ্ত ছবি হয়ে উঠেছে। TOI-এর প্রতিবেদনের মতে, ছবিটি কোনও বড় প্রচার ছাড়াই বক্স অফিসে এক অসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছে। এই সাথে এটি ‘টুম্বাদ’ এবং ‘ঘিল্লি’র মতো ছবিগুলিকেও পিছনে ফেলে দিতে সক্ষম হয়েছে।

ভারতে সর্বোচ্চ আয়কারী পুনঃমুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলির তালিকা

•    টুম্বাদ – ৩৮ কোটি
•    ঘিল্লি – ২৬.৫ কোটি
•    যে জওয়ানি হে দিওয়ানি – ২১ কোটি
•    টাইটানিক – ১৮ কোটি
•    শোলে ৩ডি – ১৩ কোটি
•    রকস্টার – ১১.৫ কোটি
•    অবতার – ১০ কোটি

গল্প ও ছবির আকর্ষণ

‘যে জওয়ানি হে দিওয়ানি’র গল্প নতুন প্রজন্মের প্রেম, বন্ধুত্ব এবং কর্মজীবনের সংগ্রামকে সুন্দরভাবে তুলে ধরে। ছবিতে রণবীর কাপুর (নেট) এবং দীপিকা পাড়ুকোন (নাদিয়া)-এর চরিত্রের মধ্যকার সম্পর্ক দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছে। ছবিতে চার বন্ধুর যাত্রা দেখানো হয়েছে, যেখানে তারা নতুন অভিজ্ঞতা এবং জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি অন্বেষণ করে।

ছবির বিশেষ দিক ছিল এটি কেবলমাত্র একটি রোমান্টিক ছবি নয়, বরং এতে জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ দিককেও কার্যকরভাবে তুলে ধরা হয়েছে। বিশেষ করে কলেজ এবং কর্মজীবনের সমস্যা, বন্ধুত্ব এবং প্রেমের মধ্যে ভারসাম্য খোঁজা এবং আত্মবিশ্বাস নিয়ে তরুণদের সংগ্রামকে ছবিতে ভালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

ছবির গান ও সঙ্গীতের আধিপত্য

‘যে জওয়ানি হে দিওয়ানি’র গানগুলিও ছবির সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ‘দিল ধড়কনে দো’, ‘বেডতামিজ দিল’, ‘কবীর’ এবং ‘ইলাহী’র মতো গানগুলি কেবল ছবির গল্পের সাথে মিলে যায়নি, বরং প্রতিটি তরুণের অন্তরে বাস করেছে। ছবির সঙ্গীতও দর্শকদের সিনেমা হলে ফিরিয়ে আনতে বড় ভূমিকা পালন করেছে।

‘যে জওয়ানি হে দিওয়ানি’র সাফল্যের পর

‘যে জওয়ানি হে দিওয়ানি’র পুনঃমুক্তির পর আবারও এই ছবিটি তার পুরানো ও নতুন দর্শকদের আকর্ষণ করছে। এটি একটি কালজয়ী রোমান্টিক নাটক হয়ে উঠেছে, যা প্রতিটি প্রজন্ম পছন্দ করেছে। এছাড়াও, ছবিটি বলিউডের কিছু সর্বোচ্চ আয়কারী ছবি যেমন ‘রকস্টার’, ‘টাইটানিক’, ‘লেইলা মজনু’ এবং ‘শোলে ৩ডি’কেও পিছনে ফেলে দিয়েছে।

রণবীর কাপুর এবং দীপিকা পাড়ুকোনের এই ছবিটি আবারও বক্স অফিসে তার আধিপত্য দেখাচ্ছে। ‘যে জওয়ানি হে দিওয়ানি’র সাফল্য প্রমাণ করে যে, যদি কোনও ছবি অন্তর থেকে তৈরি করা হয়, তাহলে সেটি সময়ের সাথে সাথেও একই সাফল্য পেতে পারে। ছবিটি যেখানে একদিকে পুরানো দর্শকদের আবারও সিনেমা হলে টেনে এনেছে, সেখানে অন্যদিকে নতুন দর্শকদের অন্তরেও তার জায়গা করে নিয়েছে।

আপনি যদি এই ছবির অনুরাগী হন এবং এটি আবার দেখতে চান, তাহলে আপনি এই পুনঃমুক্তির অংশ হতে পারেন। ছবির অসাধারণ গল্প, সঙ্গীত এবং অভিনয় আবারও উপভোগ করার এটি একটি চমৎকার সুযোগ।

Leave a comment