সোনাক্ষী সিনহার ‘জটাধারা’ ছবির শুটিং সম্পূর্ণ হয়েছে, যার খবর তিনি সম্প্রতি একটি পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন। এদিকে তার পরবর্তী ছবি ‘নিকিতা রায়’-এর মুক্তির তারিখও প্রকাশিত হয়েছে।
মনোরঞ্জন: বলিউড অভিনেত্রী সোনাক্ষী সিনহা বর্তমানে তাঁর তেলুগু অভিষেক চলচ্চিত্র ‘জটাধারা’ নিয়ে আলোচনায় রয়েছেন, যার শুটিং সম্প্রতি শেষ হয়েছে। দর্শকরা ছবিটির মুক্তির অপেক্ষায় আছেন, কিন্তু তার আগেই সোনাক্ষী তাঁর ভক্তদের আরও একটি সারপ্রাইজ দিয়েছেন। তাঁর নতুন ছবি ‘নিকিতা রায়’-এর প্রথম ঝলক পোস্টার প্রকাশিত হয়েছে এবং এর সাথে সাথে ছবির মুক্তির তারিখও জানানো হয়েছে।
‘নিকিতা রায় অ্যান্ড দ্য বুক অফ ডার্কনেস’, একটি মনোবৈজ্ঞানিক থ্রিলার যা দর্শকদের এর গভীরতা, রহস্য এবং উত্তেজনায় মুগ্ধ করবে। ছবিটি ২০২৫ সালের ৩০শে মে সিনেমাহলে মুক্তি পাবে।
ছবির বিশেষত্ব: গল্প এবং চরিত্রে গভীরতা
‘নিকিতা রায়’ শুধুমাত্র একটি সাধারণ থ্রিলার নয়, বরং এই ছবি মানব মস্তিষ্ক এবং তার ভেতরে লুকিয়ে থাকা জটিলতাকে উন্মোচন করার চেষ্টা করে। ছবির পোস্টার থেকেই স্পষ্ট যে দর্শকরা এতে অন্ধকার, রহস্যময় এবং তীব্র বিষয়বস্তু দেখতে পাবেন, যা ভাবতে বাধ্য করবে। ছবিতে সোনাক্ষী সিনহা, অর্জুন রামপাল, পরেশ রাওয়াল এবং সুহেল নয়্যারের মতো অভিজ্ঞ শিল্পীরা মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। এই শিল্পীদের অভিনয় ছবির গল্পকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে, যা প্রতি মুহূর্তে দর্শকদের বন্দী করে রাখবে।
কুশ এস সিনহার পরিচালনা এবং পবন কৃপালানীর গল্প
ছবিটি পরিচালনা করেছেন কুশ এস সিনহা, যিনি সোনাক্ষী সিনহার ভাই। কুশের এই পরিচালনার প্রচেষ্টা দেখায় যে তিনি সিনেমায় গভীরতা এবং উদ্ভাবনের প্রতি গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর পরিচালনায় একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দেখা যায়, যা ঐতিহ্যবাহী গল্প থেকে সরে নতুন কিছু উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। এই থ্রিলারের গল্প এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন পবন কৃপালানী, যিনি থ্রিলার ধারার একজন অনবদ্য লেখক হিসেবে পরিচিত।
তাঁর গল্পগুলির বিশেষত্ব হলো, এগুলি দর্শকদের শেষ পর্যন্ত গল্পের সাথে জড়িয়ে রাখে এবং ‘নিকিতা রায়’-এও এমন অভিজ্ঞতা দেখা যাবে।
শক্তিশালী দল এবং প্রযোজনার সহযোগিতা
‘নিকিতা রায় অ্যান্ড দ্য বুক অফ ডার্কনেস’ প্রযোজনা করেছেন কিঞ্জল অশোক ঘোনে, নিক্কি ভগনানী, ভিক্কি ভগনানী, অঙ্কুর টুকারানী, দীনেশ রতিরাম গুপ্তা এবং ক্রেটোস এন্টারটেইনমেন্ট। এদের নেতৃত্বে এই ছবি নিকিতা পাই ফিল্মস লিমিটেডের ব্যানারে তৈরি হয়েছে। এছাড়াও ছবিটি সহ-প্রযোজনা করেছেন আনন্দ মেহতা, প্রকাশ নন্দ বিজলানী, শক্তি ভট্টনাগর, মেহনাজ শেখ এবং প্রেম রাজ জোশী, যা এটিকে প্রযোজনার দিক থেকে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।
প্রযোজকদের উৎসাহ: ‘প্রতিটি দর্শকের কাছে পৌঁছাবে এই গল্প’
ছবির প্রযোজক নিক্কি এবং ভিক্কি ভগনানী ছবিটি নিয়ে তাঁদের আনন্দ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এই ছবিটি আমাদের অন্তরের খুব কাছের। এতে এমন বিষয় এবং ধারা দেখানো হয়েছে যা ঐতিহ্যবাহী বলিউডে খুব কমই দেখা যায়। আমাদের বিশ্বাস, আজকের দর্শক এই ধরণের আলাদা বিষয়বস্তু অন্বেষণ করার জন্য প্রস্তুত।
ছবির অভিনয়শিল্পী, এর গভীর গল্প এবং কুশ এস সিনহার পরিচালনা এটিকে অত্যন্ত বিশেষ একটি অভিজ্ঞতা করে তুলেছে। আমরা অত্যন্ত উত্তেজিত যে বিশ্ব বড় পর্দায় ‘নিকিতা রায়’ দেখবে।’
মনোবৈজ্ঞানিক থ্রিলার: চিন্তা করতে বাধ্যকারী বিষয়বস্তু
‘নিকিতা রায়’-এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর মনোবৈজ্ঞানিক থ্রিলার এবং রহস্য ধারা। এই ছবি দর্শকদের শুধু ভয় দেখানোর চেষ্টা করে না, বরং মানসিকভাবেও চ্যালেঞ্জ করে। ছবিতে শুধু উত্তেজনা এবং টুইস্ট নেই, বরং এটি মানুষের মানসিক সংগ্রাম এবং তার সিদ্ধান্তের পেছনে লুকিয়ে থাকা গভীর চিন্তাকেও উন্মোচন করে।
এই ছবি মানুষের ভেতরে লুকিয়ে থাকা সেই অন্ধকার কোণার দিকেও ইঙ্গিত করে, এবং এটি খুব কম ছবিতেই এত গভীরভাবে দেখানো হয়।
সোনাক্ষী সিনহার জন্য বিশেষ ছবি
সোনাক্ষীর কর্মজীবনে এই ছবি একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিয়ে আসবে। অ্যাকশন এবং নাটক থেকে সরে এ ছবিতে তার চরিত্র সম্পূর্ণরূপে তীব্র, ধূসর এবং উত্তেজনাপূর্ণ, যা তার অভিনয়ের নতুন একটি স্তর দর্শকদের সামনে তুলে ধরবে। ‘জটাধারা’র আগে ‘নিকিতা রায়’ মুক্তি পাওয়া দর্শকদের জন্য একটি দ্বিগুণ আনন্দের অনুভূতি হতে পারে।